YouTube: কমিউনিটি গাইডলাইন ভাঙার জের, ভারতের ২২ লক্ষের বেশি ভিডিও সরিয়ে দিল ইউটিউব

YouTube: ভারত থেকে আপলোড হওয়া ২২ লাখ ৫০ হাজারের বেশি ভিডিও নিজেদের প্ল্যাটফর্ম থেকে সরালো ইউটিউব

হাইলাইটস:

  •  ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ভারত থেকে আপলোড হওয়া যত সংখ্যক ভিডিও সরানো হয়েছে তা ৩০টি দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ
  •  ভারতের পর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সিঙ্গাপুর, তাদের ১২ লাখ ৪৩ হাজার ৮৭১টি ভিডিও সরিয়ে দিয়েছে ইউটিউব
  •  তৃতীয় স্থানে থাকা আমেরিকার ৭ লক্ষ ৮৮ হাজার ৩৫৪টি ভিডিও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে

YouTube: সংস্থার কমিউনিটি গাইডলাইন (Community guidelines) ভাঙার অভিযোগ সত্যি প্রমাণ হতেই ভারত থেকে আপলোড হওয়া ২২ লাখ ৫০ হাজারের বেশি ভিডিও নিজেদের প্ল্যাটফর্ম থেকে সরালো বিশ্বের বৃহত্তম সার্চ ইঞ্জিন গুগলের (Google) মালিকানাধীন ইউটিউব(YouTube)। মঙ্গলবার একটি রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে আপলোড হওয়া ওই ভিডিওগুলি জনপ্রিয় ভিডিও স্টিমিং প্ল্যাটফর্ম (video streaming platform) ইউটিউব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ইউটিউবের তরফে একটি রিপোর্টে জানানো হয়েছে যে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এ দেশ (India) থেকে আপলোড হওয়া যত সংখ্যক ভিডিও সরানো হয়েছে তা ৩০টি দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। ভারতের পর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সিঙ্গাপুর। তাদেরও ১২ লাখ ৪৩ হাজার ৮৭১টি ভিডিও সরানো হয়েছে। তৃতীয় স্থানে রয়েছে আমেরিকা। তাদের ৭ লক্ষ ৮৮ হাজার ৩৫৪টি ভিডিও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

২০২৩ সালের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে গোটা বিশ্বের ৯০ লাখ ভিডিও নিজেদের প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে দিয়েছে ইউটিউব। সংস্থার তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, এই ভিডিওগুলির মধ্যে ৯৬ শতাংশের ক্ষেত্রে নিয়ম ভাঙার (Rules violation) বিষয়টি প্রথমে মেশিন দ্বারা শনাক্ত করা হয়েছে। আর ৫৩.৪৬ শতাংশ ভিডিও কেউ দেখার আগেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানেও ২৭.০৭ শতাংশ ভিডিও ১টি থেকে ১০টি ভিউ হওয়ার মধ্যেই সরানো হয়েছে।

এই বিষয়ে ইউটিউবের তরফে জানানো হয়েছে, ইউটিউবের কমিউনিটি গাইডলাইন ভাঙা হচ্ছে কিনা তার উপর কড়া নজরদারি চলে। যে আপলোড করছে তার সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া হয়, কীভাবে কোথা থেকে আপলোড করা হচ্ছে তাও খতিয়ে দেখা হয়। যখন কমিউনিটি গাইডলাইন ভাঙার জন্য কোনও ভিডিও সরানো হয় তখন তা বিশ্বজুড়েই করা হয় এবং মেশিন আর মানুষ দ্বারা পরীক্ষা করার পরেই পুরো বিষয়টি সম্পূর্ণ হয়। ৯০ লক্ষ ভিডিও-র পাশাপাশি ২০২৩ সালের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে ভুল তথ্য ও ছবি ছড়ানোর জন্য এবং প্রতারণার চেষ্টা ও অন্যান্য বেআইনি প্রলোভন দেখানোর জন্য ২ কোটির বেশি ইউটিউব চ্যানেলও বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়া ১ কোটি ১০ লক্ষের বেশি মন্তব্য উড়িয়ে দিয়েছে ইউটিউব যার মধ্যে অধিকাংশই স্পাম ছিল। আর ৯৯ শতাংশ মন্তব্য অটোমেটিক্যালি শনাক্ত হয়েছে।

টেক দুনিয়ার আরও অনেক আপডেট পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.