Politics

Shantanu Thakur: মতুয়াধামের ঘটনার বিচার চেয়ে এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন শান্তনু ঠাকুর, অভিষেক ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

Shantanu Thakur: মতুয়াধামের ঘটনায় অভিষেক এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন শান্তনু ঠাকুর

হাইলাইটস:

• এবার মতুয়াধামের ঘটনার জল গড়ালো হাইকোর্টে

• অভিষেক ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলেন শান্তনু ঠাকুর

• তৃণমূলের লোকজন মন্দিরের সামনে ভিড় করেন এবং ভক্তদের হুমকি দেন বলে অভিযোগ

Shantanu Thakur: বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছেন। সম্প্রতি ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচি নিয়ে ঠাকুরনগরের মতুয়াধামে এসেছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঠাকুর বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সেই পরিস্থিতিতে সেখানে হাতাহাতি হয় তৃণমূল–বিজেপি কর্মীদের মধ্যে। রবিবার মতুয়াধামের কাছে মিছিল করতে চেয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু অভিযোগ ওঠে, মতুয়া সম্প্রদায় তা করতে না দেওয়ায় মতুয়া অনুগামীদের মারধর করেছে তৃণমূলের লোকজন।

এই অভিযোগের পরও প্রশাসনের তরফ থেকে কোনও রকম পদক্ষেপ করা হয়নি বলে দাবি করেন বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। তাঁর অভিযোগ, কাউকে না জানিয়ে মতুয়া মহা সঙ্ঘের মন্দিরের সামনে মিছিল করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্দিরের সামনে ভিড় করেন তাঁর দলের লোকজন। এমনকি তৃণমূলের লোকজন ভক্তদের হুমকি দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন শান্তনু ঠাকুর। মন্দিরের তরফে এই নিয়ে অভিযোগ জানানো হলেও সেটা নিয়ে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি প্রশাসনের পক্ষ থেকে। বদলে ওই দিনের ঘটনায় প্রেক্ষিতে মন্দির কমিটি-সহ ভক্তদের বিরুদ্ধে পাঁচটি এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। গ্রেফতারও করা হয়েছে বেশ কয়েকজন ভক্তকে। তাই এই ঘটনার বিচার চেয়ে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন শান্তনু ঠাকুর। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে মামলা দায়ের করেছেন তিনি। সূত্রের খবর, পুলিশ এবং অভিষেকের ভূমিকা নিয়ে হলফনামা দিয়ে তিনি বিচার চেয়েছেন শান্তনু বাবু। সম্ভবত এই মামলার শুনানি হবে আজ।

গত রবিবার, ১১ই জুন ঠাকুরনগরে মতুয়াধামে এসে মন্দিরে পুজো দেওয়ার কথা ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই কারণেই কয়েকশো তৃণমূল কর্মী সমর্থক সকাল থেকে ঠাকুরবাড়ির সামনে জমায়েত করেছিলেন মন্দির চত্বর সাজানোর জন্য। কিন্তু মতুয়া সম্প্রদায়ের একাংশের সম্মতি ছিল না তাতে। তা নিয়েই শুরু হয় বাগবিতণ্ডা। হঠাৎ বচসায় জড়িয়ে পড়েন মতুয়াদের একাংশ। ধীরে ধীরে এই বচসা রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে যায় যে বন্ধ করে দেওয়া হয় ঠাকুরবাড়ির মূল মন্দিরের ফটক। বিকালে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঠাকুরবাড়ি এলে, তাঁকেও মন্দিরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সেই কারণে পাশের অন্য একটি মন্দিরে পুজো দেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। তৃণমূল কর্মীরা অভিযোগ করেন, এই কাজ ঘটানো হয়েছে ওই এলাকারই সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের নেতৃত্বে। এবং বিজেপি কর্মীরাও এই বিশৃঙ্খলার সাথে যুক্ত। ঠাকুরবাড়িতে অভিষেকের জন্য তৈরি তোরণও ভেঙে ফেলার অভিযোগ জানান তৃণমূল কর্মীরা।

পাল্টা হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অশান্তি, মারপিটের জল গড়িয়ে যায় হাসপাতাল পর্যন্ত। হাসপাতালে আহতদের দেখতে গিয়ে দুপক্ষের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়ান। বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়াও এই ঝামেলার মাঝে পড়ে আহত হন।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ ক্ষুব্ধ হন এই ঘটনা দেখে। তিনি বিকেলে আসেন এখানে। দুপুরেই শুরু হয়ে গেছে গণ্ডগোল। কর্মীরা সেই ঝামেলার ছবি অভিষেকের মোবাইলে হোয়াটসঅ্যাপ করে দেন। তারপর অভিষেক বাবু সেখানে পৌঁছনোর পর মূল মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকায় মন্দিরের ভিতরে ঢুকতে পারেননি। তার পরিবর্তে পাশের একটি মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বাইরে এসে শান্তনু ঠাকুরের দিকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয় মতুয়াধাম। তিন মাস পর আমি আবার আসব। পারলে আটকান।’ এবার তার আগেই মতুয়াধামের ঘটনা নিয়ে শান্তনু ঠাকুর কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হলেন।

এইরকম রাজনৈতিক বিষয়ক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button