Saudi Arab Country: এই দেশে নেই একটিও নদী! জলের চাহিদা মেটাতে প্রতিবছর জিডিপির ২ শতাংশ ব্যয় করে এই দেশ

Saudi Arab Country: এই দেশে প্রাকৃতিক জলের উৎস নগন্য হওয়ায় সমুদ্রের জলকে পানযোগ্য করে ব্যবহার করা হয়

হাইলাইটস:

• সৌদি আরবে একটিও নদী বা হ্রদ নেই

• ভূগর্ভস্থ জলের পরিমানও কম হওয়ায় সমুদ্রের জলকে পানযোগ্য করে তুলে ব্যবহার করা হয় এই দেশে

• সমুদ্রের জলকে শুদ্ধ করার প্রক্রিয়াটি যথেষ্ট ব্যয়বহুল

Saudi Arab Country: আমরা কখনো কল্পনাতেও জল ছাড়া বেঁচে থাকার কথা ভাবতে পারি না। এই জলের কারণেই পৃথিবীর সঙ্গে পার্থক্য তৈরী হয় মহাবিশ্বের আর পাঁচটা গ্রহের। উপযুক্ত আবহাওয়া এবং জলের কারণেই এই পৃথিবীতে প্রাণের সঞ্চার হয়েছিল। এই পৃথিবীর তিন ভাগ জল এক ভাগ স্থল হলেও সেই সব জল কিন্তু মানুষের ব্যবহারযোগ্য কিংবা পানযোগ্য নয়। দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় জলের ভান্ডার কিন্তু নির্দিষ্ট। বৃষ্টি তথা নদী হল জলের প্রধান উৎস। বৃষ্টির জল নদী বা অন্যান্য জলাশয়ে পড়লে সেই জলকে আমরা পানের উপযোগী করে তুলি। অর্থাৎ যেদেশ বৃষ্টি শুন্য সেই দেশে জলের অভাব দেখা দেবেই। দিনের পর দিন বাড়তে থাকা উষ্ণায়নের প্রভাবে বিশ্বের বহু দেশে বৃষ্টির পরিমাণ অনেকটাই কমে গেছে। ফলে ব্যবহার্য জলের সংকট দেখা দিয়েছে সেখানে। কিন্তু একেবারেই বৃষ্টি হয় না যে দেশে, সেখানে জলের চাহিদা পূরণ হবে কিভাবে?

প্রাচীনকাল থেকেই পৃথিবীর বেশিরভাগ সভ্যতাই কোনো বা কোনো নদীর তীরে গড়ে উঠেছিল। আধুনিক সময়ও সেই রীতি রয়ে গেছে। কিন্তু জানেন কি আই বিশ্বে এমন একটি দেশ আছে সেখানে কোনও নদী নেই? আর সেখানে বৃষ্টিও হয় না। সারা বছর ১-২ বার বৃষ্টি হয় সৌদি আরবে। তাহলে সেই দেশে জলের চাহিদা পূরণ হয় কীভাবে? আসুন তাহলে আজ জেনে নেওয়া যাক সেই দেশ সম্পর্কে কিছু অদ্ভুত তথ্য।

• এই দেশে কোনো নদী নেই:

সৌদি আরব হল বিশ্বের সেই দেশ যেখানে একটিও নদী বা হ্রদ নেই। তবুও বিশ্বের ধনী দেশগুলির মধ্যে অন্যতম দেশ সৌদি আরব। শুধু তাই নয়, সৌদি আরবে বৃষ্টি হয়না বললেই চলে। সারা বছর এখানে মাত্র এক থেকে দুই দিন বৃষ্টি হয়। তাই বৃষ্টির অভাবে ভূগর্ভস্থ জলও জমা হয় না এই দেশে।

• জলের জন্য জিডিপির ২% ব্যয় হয়: 

প্রাকৃতিক জলের উৎসের অভাবে সৌদিকে ব্যবহার্য জলের জন্য প্রচুর ব্যয় করতে হয়। প্রসঙ্গত, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে প্রতি বছর সৌদি আরব তার জিডিপির ২ শতাংশ জলের জন্য খরচ করে।

• জলের চাহিদা পূরণ করে ভূগর্ভস্থ জল:

সৌদি আরবের বেশিরভাগই অংশই ভূগর্ভস্থ জলের উপর নির্ভরশীল। এখানকার মানুষ জলের জন্য কূপ ব্যবহার করে থাকেন। তবে ওই ভূগর্ভস্থ জলও সমস্ত জনগোষ্ঠী জলের অভাব মেটাতে পারে না।

• সমুদ্রের জল পানযোগ্য করে ব্যবহার করা হয়:

পরিসংখ্যান বলছে, আরবের ভূগর্ভস্থ জলও খুব তাড়াতাড়ি শেষ হতে চলেছে। তাই সৌদি আরবে সমুদ্রের জলকে পানযোগ্য করে ব্যবহার করা হয়। যথেষ্ট ব্যয়বহুল এই প্রক্রিয়া।

• সাগর দ্বারা বেষ্টিত সৌদি আরব:

নদী না থাকলেও সৌদি আরব দুটি সাগর দ্বারা বেষ্টিত। এই দেশের পশ্চিমে রয়েছে লোহিত সাগর। এবং পারস্য উপসাগর দ্বারা পূর্বে বেষ্টিত। আরবের কাছে এই দুটি সমুদ্রই বাণিজ্যিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিখ্যাত সুয়েজ খাল গেছে লোহিত সাগরের মধ্য দিয়ে।

এইরকম আরও অজানা বিষয়ে প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.