Sarada Devi Pravachan: জগৎ জননী মা সারদার বিখ্যাত এই ১০টি বাণী যা আজও আমাদের কঠিন সময়ে পথ দেখাতে সাহায্য করে
সকলকে তাঁর সন্তানরূপে দেখার অসাধারণ ক্ষমতা ছিল মা সারদার। সমাজ যাকে দূরে ঠেলে দিত, তাঁকেও তিনি কাছে টেনে আপন করে নিতেন।
Sarada Devi Pravachan: মা সারদা কে ছিলেন? কেন তাঁর অসীম ক্ষমতা ছিল? আজ মা সারদার বিশেষ ১০টি বাণীর সম্বন্ধে জেনে নেব
হাইলাইটস:
- মা সারদার ১০টি বাণী
- মা সারদা সকলকে তাঁর সন্তানরূপে দেখতেন
- স্বামী গম্ভীরানন্দজি তাঁর শেষ বাণীটি বলেছেন
Sarada Devi Pravachan: মা সারদা খুব সহজভাবে আমাদের সকলকে জীবনের কঠিন সমস্যার সমাধানের পথ দেখিয়ে গেছেন। গ্রামের সাধারণ একজন মহিলা যিনি প্রথাগত শিক্ষা ছাড়া যে ভাবে গভীর দর্শনের কথা বলেছেন, তা সত্যিই অতুলনীয়। সারদা দেবী হলেন রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের সহধর্মিনী। তিনি তাঁর মৃত্যুর আগের মুহূর্ত পর্যন্ত নিজের সন্তানদের দুঃখ দূর করার চেষ্টা করে গেছেন। তাঁর সারা জীবন সন্তানদের দুঃখ-কষ্ট দূর করার সাধনায় দিয়ে দিয়েছিলেন। সহজ ভাষায় বলতে গেলে ভগবত তত্ত্ব প্রচার করেছিলেন তিনি। তিনি সকলকে জীবনে কোন পথে, কী ভাবে চলতে হবে তা-ও শিখিয়ে গিয়েছিলেন।
সকলকে তাঁর সন্তানরূপে দেখার অসাধারণ ক্ষমতা ছিল মা সারদার। সমাজ যাকে দূরে ঠেলে দিত, তাঁকেও তিনি কাছে টেনে আপন করে নিতেন। তিনি বলেন, ‘আমি সতেরও মা, অসতরেও মা। আমি সত্যিকারের মা, কোনো গুরুপত্নী নয়, পাতানো মাও নয় – আমি সত্য জননী।’
Read more – জানুন ২০২৩ সালে কত ভক্ত বৈষ্ণোদেবী দর্শন করতে এসেছিল, গত ১০ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে
সারদা মায়ের কয়েকটি বিখ্যাত বাণী আছে যেগুলি নিবন্ধে দেওয়া হয়েছে –
১. স্বামী গম্ভীরানন্দজি মা সারদার মৃত্যুর আগে শেষ উক্তি সম্পর্কে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘শ্রী মায়ের দেহত্যাগ করার মাত্র পাঁচ দিন পূর্বে এক ভক্ত অন্নপূর্ণা মা-কে দেখতে এসেছিলেন। কিন্তু ভেতরে যেতে নিষেধ বলে ঠাকুরঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ পাশ ফিরে মা তাকে দেখিয়া ইশারা করে কাছে ডাকলেন। তিনি কাছে গিয়ে প্রণাম করে কাঁদতে কাঁদতে বলেছিলেন, ‘মা, আমাদের কি হবে?’ করুণভাবে ক্ষীণকণ্ঠে অভয় দিয়া মা আস্তে আস্তে বলেছিলেন, ‘ভয় কি? তুমি ঠাকুরকে দেখেছ, তোমার আবার ভয় কি?’
২. “আমি তোমাকে একটা কথা বলি। আপনি যদি মনের শান্তি চান তাহলে অন্যের দোষ খুঁজবেন না। বরং নিজের দোষ দেখতে শিখুন। পুরো পৃথিবীকে নিজের করে নিতে শিখুন। কেউ অচেনা নয়, সবাই আমার সন্তান; এই পুরো পৃথিবী তোমার নিজের।”
৩. “আমরা আমাদের নিজেদের কর্মের ফলস্বরূপ ভোগ করি, এর জন্য কাউকে দোষ দেওয়া অন্যায়।”
৪. “পৃথিবীতে সুখ হল ক্ষণস্থায়ী। আপনি যত কম বিশ্বের সাথে যুক্ত হবেন, তত বেশি আপনি মানসিক শান্তি উপভোগ করবেন।”
৫. “ভক্তির মাধ্যমে অসম্ভবও সম্ভব হয়।”
৬. “কথার দ্বারা অন্যকে আঘাত করা উচিত নয়। অপ্রয়োজনীয় অপ্রীতিকর সত্য কথা বলা উচিত নয়।”
We’re now on WhatsApp – Click to join
৭. “শুধু বই পড়লেই কি ঈমান আসে? অত্যধিক পড়া বিভ্রান্তি তৈরি করে। গুরু বলতেন, শাস্ত্র থেকে শিখতে হবে যে একমাত্র ঈশ্বরই বাস্তব এবং জগৎ মায়াময়।”
৮. “ঈশ্বর উপলব্ধি করে আর কী পাওয়া যায়? একজন কি দুটি শিং জন্মায়? না, মন শুদ্ধ হয় এবং শুদ্ধ মনের দ্বারা জ্ঞান ও জাগরণ লাভ হয়।”
We’re now on Telegram – Click to join
৯. “জীবন এমনই, আজ এখানে, কাল চলে গেল! একজনের সাথে কিছু যায় না, একজনের যোগ্যতা এবং দোষ ছাড়া; ভালো ও মন্দ কাজ মৃত্যুর পরও একটির অনুসরণ করে।”
১০. “ভয় পেও না। মানুষের জন্ম কষ্টে পরিপূর্ণ এবং ভগবানের নাম নিয়ে ধৈর্য ধরে সবকিছু সহ্য করতে হয়। শরীর ও মনের কষ্ট থেকে কেউ, এমনকি মানবরূপে ভগবানও রেহাই পায় না।”
এইরকম ধর্মীয় বিষয়ক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।