Lifestyle Tips: অর্থোপার্জন ও সাফল্যের পিছনে ছুটতে গিয়ে জীবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে আনন্দ? হাজারও ব্যস্ততার মাঝে কী ভাবে ভালো থাকবেন?
কাজ যতই জটিল হোক না কেন, তা একাই সামলে নিতে পারবেন বলেই মনে করেন অনেকে। যার ফলে কাজের চাপ এবং জটিলতা দুই-ই বাড়ে। অথচ সে কাজে প্রয়োজন মতো অন্যের সাহায্য নেওয়া যেতেই পারে।
Lifestyle Tips: সাফল্যের প্রতিযোগিতায় নেমে জীবন থেকে আনন্দ-আহ্লাদ হারিয়ে যাচ্ছে অধিকাংশ মানুষের
হাইলাইটস:
- কাজের ব্যস্ততা, সংসারের চাপ, অর্থোপার্জনের বাধ্যবাধ্যকতা অনেক সময় জীবনকে মাত্রাতিরিক্ত জটিল করে দেয়
- লক্ষ্যপূরণের জন্য শুধু কাজ নয়, কাজের ফাঁকে কিছুটা বিরতিও দরকার
- তাই যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে নিজেকে প্রথমে প্রশ্ন করা দরকার
Lifestyle Tips: কাজ, চাপ নিয়েই তো জীবন তাই কোনওটাই বদলাবে না। অথচ ব্যস্ত জীবনের মধ্যেই ভালো থাকতে হবে। কাজের ব্যস্ততা, সংসারের চাপ, অর্থোপার্জনের বাধ্যবাধ্যকতা অনেক সময় জীবনকে মাত্রাতিরিক্ত জটিল করে দেয়। যার ফলে জীবন থেকে আনন্দ-আহ্লাদ বাদ চলে যায়। যান্ত্রিক হয়ে ওঠে জীবন। কিন্তু আপনি কি জানেন, কোনও কিছু না বদলালেও ছোট্ট কয়েকটি কৌশলে ভালো থাকা যায়, এমনই মনে করেন মনোবিদরা।
We’re now on WhatsApp – Click to join
ভুল মানেই ব্যর্থতা নয়: ভুল মানে আসলে ব্যর্থতা, এ ভাবেই দেখেন অনেকে। তবে মনোবিদরা বলেন, মানুষ মাত্রই ভুল হয়। তবে ভুল হওয়াকে স্বাভাবিক ভাবে মেনে না নিয়ে সকলেই মনে করেন, সব কাজই নির্ভুল ভাবে সম্পাদন করতে হবে। ভুল কাজ করেও যে অভিজ্ঞতা হয়, সেটা ভবিষ্যতের সাফল্যের জন্য অত্যন্ত জরুরি। তাই ভুলকে ব্যর্থতা হিসাবে না দেখে তা ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পাথেয় রূপে হিসাবে দেখা যেতে পারে। এতে জীবন অনেক বেশি সহজ হয়ে যায়।
সাহায্য নেওয়া দরকার: কাজ যতই জটিল হোক না কেন, তা একাই সামলে নিতে পারবেন বলেই মনে করেন অনেকে। যার ফলে কাজের চাপ এবং জটিলতা দুই-ই বাড়ে। অথচ সে কাজে প্রয়োজন মতো অন্যের সাহায্য নেওয়া যেতেই পারে। মনোবিদরা মনে করেন, অনেক সময় ব্যক্তিগত সাফল্যের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে অন্যান্য মানুষের সাহায্যও। তাই প্রয়োজন মতো সাহায্য নেওয়া উচিত।
We’re now on Telegram – Click to join
বিরতি এবং অবসর জরুরি: লক্ষ্যপূরণের জন্য শুধু কাজ নয়, কাজের ফাঁকে কিছুটা বিরতিও দরকার। হাজার ব্যস্ততার মাঝেও কিছুটা ভালো সময় কাটানো পরিবারের সাথে কাটানো উচিত। শুধু তাই নয়, ভালো থাকার জন্য প্রতিদিন কাজের ফাঁকে বা কাজের শেষে নিজের জন্যও সময় বার করা একান্ত জরুরি। উইকেন্ডে কিছুটা ভালো সময় কাটালে তা মনোনিবেশে সহায়ক হয়।
জীবনে কোনটি জরুরি?
জীবনের অগ্রাধিকার কোনটি পাবে, সেটা আগে বোঝা উচিত। তাই যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে নিজেকে প্রথমে প্রশ্ন করা দরকার। তবে বোঝা দরকার, সেই কাজ করতে গিয়ে ব্যক্তিগত ইচ্ছা, চাহিদা, শখ আদেও কি বজায় থাকছে? একই সঙ্গে মাথায় রাখা প্রয়োজন মূল্যবোধের দিকটিও।
ছোট ছোট লক্ষ্য: আপনার লক্ষ্য যদি বড় হয়, তার জন্য প্রথমে ছোট ছোট ধাপ তৈরি করা দরকার। তাই লক্ষ্যপূরণের জন্য যা যা করা প্রয়োজন, সেই কাজগুলিকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে এক একটি কাজ শেষ করার নিজস্ব সময়সীমা বেঁধে দিতে পারেন। এর ফলে প্রতিটি ধাপের সাফল্য ধীরে ধীরে আপনাকে সর্বোচ্চ লক্ষ্যে পৌঁছে দেবে।
এই রকম জীবনধারা বিষয়ক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।