Gauri Khan’s Restaurant: ঝাঁ চকচকে গ্ল্যামারাস রেস্তোরাঁর মালিক এখন গৌরী খান, দেখে নিন ‘তরী’ অন্দরমহলের কারুকার্য
Gauri Khan’s Restaurant: ভ্যালেন্টাইনস ডে-র দিনে মুম্বাইয়ে নিজের বিলাসবহুল রেস্তোরাঁর উদ্বোধন করলেন শাহরুখ-পত্নী গৌরী খান
হাইলাইটস:
- ‘তরী’ হাত ধরে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী নামলেন গৌরী খান
- প্রেম দিবসের দিনেই নিজের রেস্তোরাঁর উদ্বোধন করেছেন তিনি
- দেখে নিন এই বিলাসবহুল রেস্তোরাঁর অন্দরমহলের ভিডিও
Gauri Khan’s Restaurant: একটা সময় ছিল যখন গৌরী খানের পরিচয় ছিল তিনি বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের স্ত্রী। তখন অবশ্য তিনি হাউস ওয়াইফই ছিলেন। তবে চিরাচরিত গন্ডি পেয়েছি তিনি এখন মুম্বইয়ের জনপ্রিয় অন্দরসজ্জা শিল্পী রূপে পরিচিতি লাভ করেছেন। এছাড়া বর্তমানে তিনি রেড চিলিজ প্রোডাকশনের কর্ণধারও বটে। এবার তিনি নেমে পড়লেন রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়।
বি-টাউনের প্রথম সারির অভিনেতা-অভিনেত্রী হোক কিংবা বড় কোনও শিল্পপতির বাড়ির অন্দরসজ্জা, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এর নেপথ্যে থাকেন শাহরুখ-পত্নী গৌরী খান। তাঁর ভাবনা এবং অন্দরসজ্জার এক এক রকমের কারুকার্য মন ছুঁয়ে যায় সকলেরই। গৌরী খান এবার নেমেছেন রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়। তিনি নিজের খুলেছেন রেস্তোরাঁ। এই রেস্তোরাঁর অন্দরমহলে অন্দরসাজের ভাবনাও যে তাঁরই মস্তিস্কপ্রসূত তা বলাই বাহুল্য। আর এই অন্দরসজ্জা দেখলে যে কেউ বলবে, ‘বাহ! কী দারুন কারুকার্য’। সত্যি বলতে যেমন রঙের বাহার, তেমনই বাহারি কারুকার্য। সবমিলিয়ে ছিমছাম কিন্তু দারুণ গ্ল্যামারাস। গোটা রেস্তোরাঁতেই যেন রয়েছে এক আভিজাত্যের ছোঁয়া।
We’re now on WhatsApp – Click to join
প্রেম দিবস অর্থাৎ ভ্যালেন্টাইনস ডে-র দিনেই নিজের প্রথম রেস্তোরাঁ ‘তরী’র উদ্বোধন করেছেন গৌরী খান। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের রেস্তোরাঁ ছবি ও ভিডিও শেয়ারও করেছেন তিনি। আর উদ্বোধনের দিন চাঁদের হাট বসেছিল তাঁর রেস্তোরাঁয়। উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং শাহরুখ খানও। জানা যাচ্ছে, গৌরীর এই রেস্তোরাঁয় পাওয়া যাবে সমস্ত প্যান এশিয়ান ফুড। মায়ানগরীতে এশিয়ান ফুডের তেমন কোনও রেস্তোরাঁ নেই। গৌরী বলেছেন, অনেকদিন ধরেই নাকি নিজের রেস্তোরাঁ খোলার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। আর এই পরিকল্পনা শুরু হয়েছিল লকডাউনের সময় থেকে। এতদিনের স্বপ্ন তাঁর পূরণ হল।
গৌরীর স্বপ্নের ‘তরী’ অন্দরমহল কেমন?
গৌরী খানের এই রেস্তোরাঁর একঝলক দেখলে মনে হবে রাজপ্রাসাদ। ভেতরের কারুকার্য পুরো রাজকীয়। রেস্তোরাঁর অন্দরমহলের পুরোটা লাল-সবুজ এবং সোনালী রঙের কম্বিনেশনে ডিজাইন করা। এছাড়া নানা রকম ইন্টেরিয়র প্ল্যান্টস দিয়েও সাজিয়েছেন গৌরী খান। গালা সেলিব্রেশন থেকে শুরু করে একান্তে সময় কাটানোর জায়গা, সবটাই রয়েছে রেস্তোরাঁর অন্দরে।
এদিকে রেস্তোরাঁর ফ্লোর থেকে সিলিং গ্লাস ডোর, উইনডোর সবকিছুতেই রয়েছে আভিজাত্যের এবং আধুনিকতার ছোঁয়া। এমনকিরঙের খেলাও রয়েছে দেখার মতো। গৌরী বলেছেন, “তরী মানে হল মন্দিরের দরজা। তবে আমার কাছে এই রেস্তোরাঁর মূল্য তার থেকেও অনেক বেশি।” তিনি এই রেস্টুরেন্ট ব্যবসার জার্নিটি তাঁর সহকর্মী তানাজ ভাটিয়া ও অভয়রাজ কোহলির সঙ্গে শুরু করলেন।
এইরকম বিনোদন জগতের প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।