Career Tips: আপনি কি পাইলট হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন? আপনি কি জানেন ভারতে পড়াশোনার মোট খরচ কত?
প্রথমত, পাইলট হতে হলে সাধারণত পদার্থবিদ্যা, গণিত এবং ইংরেজি সহ উচ্চমাধ্যমিক (১০+২) পাশ করা বাধ্যতামূলক। বেশিরভাগ বিমান চালনা প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে এই বিষয়গুলিতে ন্যূনতম ৫০% নম্বর পেতে হয়।
Career Tips: অনেকেই পাইলট হতে চায়, কিন্তু তার জন্য কি বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতে হয় জানেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক
হাইলাইটস:
- ভারতে পাইলট হওয়ার জন্য কী কী শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে?
- পাইলট হওয়ার বিভিন্ন ধাপগুলি সম্পর্কে জানতে হবে
- ভারতে পাইলট হওয়ার জন্য মোট খরচ কত পড়বে?
Career Tips: অনেকেই বড় হয়ে পাইলট হওয়ার স্বপ্ন দেখে। তারাও চায় আকাশে পাখির মতো উড়তে। সহজ কথায়, তারা পাইলট হওয়ার স্বপ্ন দেখে থাকে। কিন্তু পাইলট হওয়ার জন্য আপনাকে কী কী পড়াশোনা করতে হবে? আপনি কি জানেন? ভারতে পাইলট হওয়ার আনুমানিক খরচ কত? এই প্রতিবেদনে তা তুলে ধরা হয়েছে।
পাইলট হওয়ার জন্য কিছু শিক্ষাগত যোগ্যতা, প্রশিক্ষণ এবং লাইসেন্স প্রয়োজন।
We’re now on WhatsApp – Click to join
ভারতে পাইলট হওয়ার জন্য কী কী শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রয়োজন?
প্রথমত, পাইলট হতে হলে সাধারণত পদার্থবিদ্যা, গণিত এবং ইংরেজি সহ উচ্চমাধ্যমিক (১০+২) পাশ করা বাধ্যতামূলক। বেশিরভাগ বিমান চালনা প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে এই বিষয়গুলিতে ন্যূনতম ৫০% নম্বর পেতে হয়।
প্রাথমিকভাবে, স্টুডেন্ট পাইলট লাইসেন্স (SPL) পেতে হলে, একজনের বয়স কমপক্ষে ১৬ বছর হতে হবে। কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্স (CPL) পেতে হলে, একজনের বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে।
পাইলট হওয়ার জন্য, একজনকে সিভিল এভিয়েশন ডিরেক্টরেট জেনারেল (DGCA) কর্তৃক নির্ধারিত ক্লাস-১ মেডিকেল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ এবং শক্তিশালী থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পাইলট হওয়ার বিভিন্ন ধাপ রয়েছে –
ছাত্র পাইলট লাইসেন্স (SPL) – এটি প্রশিক্ষণের প্রাথমিক পর্যায়।
প্রাইভেট পাইলট লাইসেন্স (PPL) – নির্দিষ্ট সময়কাল উড্ডয়ন সম্পন্ন করার পরেই এটি অর্জন করা সম্ভব।
কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্স (CPL) – পেশাগতভাবে পাইলট হিসেবে কাজ করার জন্য, আপনার সিপিএল প্রয়োজন। সিপিএলের জন্য সাধারণত কমপক্ষে ২০০ ঘন্টা বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা প্রয়োজন।
Read more – উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পর ইলেকট্রনিক বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার ইচ্ছা আছে? চাকরির সুযোগ কি আছে জানুন
খরচ কত?
ভারতে পাইলট প্রশিক্ষণের খরচ তুলনামূলকভাবে বেশি। একটি বেসরকারি উড়ন্ত স্কুল থেকে সিপিএল প্রশিক্ষণ নিতে প্রায় ২৫ লক্ষ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। এটি ইনস্টিটিউট, অবস্থান এবং উড়ানের সময়ের উপর নির্ভর করে। ইন্দিরা গান্ধী ইনস্টিটিউট অফ অ্যারোনটিক্স (IGRUA) এর মতো সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ কিছুটা কম খরচে পাওয়া যেতে পারে, তবে ভর্তি হওয়া কঠিন। এই সুযোগটি খুব কঠিন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরেই আসে।
We’re now on Telegram – Click to join
পাইলট হওয়ার জন্য, আপনার একটি শক্তিশালী শিক্ষাগত ভিত্তি, ভাল শারীরিক সুস্থতা এবং উচ্চ মানসিক দৃঢ়তা প্রয়োজন। প্রশিক্ষণের খরচ বেশি হলেও, একটি সফল ক্যারিয়ার গড়ে তোলা সম্ভব। মনে রাখবেন যে বিমান চালানোর জন্য, আপনাকে গণিত এবং পদার্থবিদ্যায় ভাল হতে হবে। এই দুটি বিষয়ে ভাল দক্ষতা ছাড়া আপনি পাইলট হতে পারবেন না। এর পাশাপাশি, চিকিৎসা ফিটনেস প্রয়োজন। সঠিক পরিকল্পনা এবং প্রশিক্ষণ। এই সবকিছু মিলিয়ে, একজন ব্যক্তি একজন দক্ষ বাণিজ্যিক পাইলট হতে পারেন।
এইরকম ক্যারিয়ার বিষয়ক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।
