Career Tips: কলেজে পড়তে পড়তেই নিতে পারবেন চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি! কীভাবে? উত্তরটি প্রতিবেদনে দেওয়া হল

Career Tips: এবার কলেজের পড়াশোনার পাশাপাশি করুন ইন্টার্নশিপ! এটি কতটি গুরুত্বপূর্ণ তা জানুন

হাইলাইটস:

• দ্বাদশ শ্রেণীর পরে আপনার কোন বিষয় নিতে পড়া উচিত?
• স্নাতক স্তরের পড়াশোনার পাশাপাশি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি কীভাবে নেবেন?
• স্নাতক স্তরে পড়াশোনার সময় ইন্টার্নশিপ করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ?

Career Tips: দ্বাদশ শ্রেণীর পর শিক্ষার্থীরা কী ধরণের ক্যারিয়ার বেছে নিতে পারে?

উচ্চশিক্ষায় অনেকেই তথাকথিত ‘নিরাপদ’ ক্যারিয়ারের পথ অনুসরণ করেন। কিন্তু আজকের বিশ্বে, এমনকি তাদের স্বপ্নও মূল্যবান। তাই আমি পরামর্শ দেব যে তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করা উচিত। অভিভাবকদের তাদের সন্তানদের আগ্রহের বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া উচিত। আপনার সন্তান কি পাঠ্যপুস্তকের চেয়ে ক্রিকেট কৌশল বেশি বিশ্লেষণ করে নাকি তথ্যবহুল ব্লগ তৈরি করে? তাহলে আপনার সন্তান ক্রীড়া ব্যবস্থাপনা বা গণমাধ্যমের মতো বিষয় পড়তে পারে। তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করার সময়, আপনার মনে রাখা উচিত যে তারা কোন বিষয় সম্পর্কে বেশি আগ্রহী। আপনাকে ভয়কে দূরে রেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

Read more – অফিসে শুধু ভালো কাজ করলেই হবে না, সহকর্মীদের সাথে কেমন আচরণ করবেন সেটাও জানা খুব দরকার

দ্বাদশ শ্রেণীর পরে আমার কোন বিষয় পড়া উচিত? আপনি কীভাবে সিদ্ধান্ত নেবেন?

এই ক্ষেত্রে আমরা যে সবচেয়ে বড় ভুলটি করি তা হল আমরা গ্রেড এবং প্রেমের বিষয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি করি। এটি কোনও দ্বন্দ্ব নয়। বিতর্কে ভালো একজন শিক্ষার্থী আইন পড়তে পারে। অন্যদিকে, যদি কেউ মানচিত্র আঁকতে ভালোবাসে বা মানচিত্রের প্রতি আগ্রহ থাকে, তাহলে তারা ভূগোল বা নগর পরিকল্পনার মতো বিষয় পড়তে পারে। এইভাবে, শিক্ষার্থীরা তাদের নিজস্ব পছন্দের বিষয় নির্ধারণ করতে পারে। এবং অভিভাবক এবং শিক্ষকরা এতে সাহায্য করতে পারেন।

We’re now on WhatsApp – Click to join

স্নাতক স্তরের পড়াশোনার পাশাপাশি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া কি সম্ভব?

অবশ্যই। কিন্তু সেক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। একটি সময়সূচী তৈরি করতে হবে। কেউ প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য ৬০-৭০ শতাংশ বরাদ্দ করতে পারে। আর বাকি সময় শুধুমাত্র স্নাতক স্তরের পড়াশোনার জন্য বরাদ্দ করা যেতে পারে। যদি সিলেবাসের বিষয়গুলি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় হয়, তাহলে সেখানে মক প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যেতে পারে। স্নাতক স্তরের পড়াশোনা এবং প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি একে অপরের পরিপূরক হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

সামগ্রিকভাবে, মানসিক প্রস্তুতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যদি কেউ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে চান, তাহলে তার প্রতিদিনের খবর সম্পর্কে সচেতন থাকা উচিত। এবং সেক্ষেত্রে, তাকে একজন ছাত্রের মতো না পড়ে নীতিনির্ধারকের মতো সংবাদ পড়া উচিত। আবার, এমবিএ প্রবেশের জন্য, সময়োপযোগী ধাঁধার মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণ সম্পর্কিত প্রশ্ন অনুশীলন করা প্রয়োজন।

স্নাতক স্তরে পড়াশোনার সময় কি ইন্টার্নশিপ গুরুত্বপূর্ণ?

নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তব অভিজ্ঞতাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছে। ইন্টার্নশিপ কেবল সিভিতে রাখার জন্যই নয়, বাস্তব জগতে অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইন্টার্নশিপ মানে কেবল একটি সার্টিফিকেট নয়। ইন্টার্নশিপের মাধ্যমে অনেক কিছু শেখা যায়, যা পরবর্তীতে কাজে লাগবে। আর আজকের বিশ্বে, নিয়োগের সময়, প্রশ্নটি ‘তুমি কী পড়াশোনা করেছো?’ নয়, বরং জিজ্ঞাসা করা হয় ‘তুমি কী করতে পারো?’

We’re now on Telegram – Click to join

শিক্ষার্থীদের উপর চাপ না দিয়ে কীভাবে বাবা-মা এবং স্কুল কর্তৃপক্ষ একসাথে কাজ করে ক্যারিয়ার বেছে নিতে পারে?

সহানুভূতির মধ্যে উত্তর নিহিত। স্কুল কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন কর্মশালা আয়োজন করতে পারে। এবং শিক্ষার্থীদের সেগুলিতে অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত করা উচিত। অথবা অভিভাবক বা স্কুল কর্তৃপক্ষের উচিত শিক্ষার্থীদের আগ্রহের বিষয়গুলিতে কর্মশালায় যোগদানের জন্য অনুপ্রাণিত করা। এইভাবে, শিক্ষার্থীদের তাদের পছন্দ এবং ভালোবাসার ক্ষেত্রটি বেছে নেওয়া উচিত।

এই ক্ষেত্রে, একটি বিষয় মনে রাখতে হবে যে, অভিভাবকদের স্বপ্ন এবং শিক্ষার্থীর প্রতিভার মধ্যে একটি ব্যবধান রয়েছে। এই বিষয়টি মনে রাখা উচিত যাতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় চাপ তৈরি না হয়। আমি একটি সহজ মন্ত্র বলতে চাই, ‘তুমি কত শতাংশ নম্বর পেয়েছ তা জিজ্ঞাসা করার পরিবর্তে, তোমার কোন দিকে আগ্রহী তা জিজ্ঞাসা করা উচিত। ভবিষ্যৎ তাদেরই যারা নির্ভীকভাবে চিন্তা করতে পারে।’

এইরকম ক্যারিয়ার বিষয়ক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।