health

Symptoms of Worms In Kids: কৃমির প্রকোপে শিশুদের বৃদ্ধি ও বিকাশ থমকে যায়, কৃমির সংক্রমণ – কারণ, লক্ষণ এবং প্রতিকার জেনে নিন

Symptoms of Worms In Kids: বিশেষ করে কৃমি থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু ঘরোয়া টোটকাও হয়েছে

হাইলাইটস:

• বড়োদের থেকে বাচ্চাদের শরীরে কৃমির উপদ্রব বেশি থাকে

• কৃমির প্রকোপে শিশুদের বৃদ্ধি ও বিকাশ প্রক্রিয়া থমকে যায়

• তাই অভিভাবকদের সবসময় সচেতন থাকা উচিত

Symptoms of Worms In Kids: শিশুদের অন্ত্রে বসবাসকারী এক ধরনের পরজীবী হল কৃমি। তারা শিশুদের খাদ্যের মাধ্যমে পুষ্টি অর্জন করে। তারপর দ্রুত বংশবিস্তার করে। ফলে বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। এটি শিশুদের মধ্যে পেটে ব্যথার প্রধান কারণগুলির মধ্যে একটি। এই সংক্রমণ খুব সাধারণ এবং সহজেই এর চিকিৎসা করা যেতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, ঠিক সময়ে এই সমস্যা চিহ্নিত না করতে পারলে শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশ পর্যন্ত আটকে যেতে পারে। তাই অভিভাবকদের এই সমস্যার লক্ষণ (Symptoms of Worms In Kids), চিকিৎসা ও প্রতিরোধ সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। তবেই সঠিক সময়ে ব্যবস্থা নেওয়া নিতে পারবেন তারা।

শিশুর শরীরে একটি কৃমি প্রায় ২ বছর পর্যন্ত বাস করতে পারে। শিশুদের খাদ্যের মাধ্যমেই তাদের জীবনযাপন চলে। কৃমিগুলি লম্বায় প্রায় ১৩ ইঞ্চি পর্যন্ত হতে পারে। তবে শিশুর অন্ত্রে কেবলমাত্র একটি না একসঙ্গে অসংখ্য কৃমি বাস করে। ফলে অভিভাবকদের বাচ্চার প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখা উচিত। নাহলেই মারাত্মক বিপদ।

 

বিশেষত কাদের ঝুঁকি বেশি?​

আমাদের দেশ অর্থাৎ ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে এমন সমস্যার প্রকোপ বেশি। কিন্তু উন্নত দেশগুলিতে এই সমস্যা প্রায় হয় না। কারণ তারা অনেক আধুনিক। আমাদের দেশে অনেক বাচ্চা এখনও ঠিক করে খেতে পর্যন্ত পায় না। অনাহারে দিন কাটে তাদের। বিশেষ করে যেসব পরিবার অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল তাদের পরিবারে বেড়ে ওঠা শিশুটি কৃমির কবলে পড়তে পারে। আমাদের দেশে অনেক জায়গাতেই নিকাশি ব্যবস্থার সমস্যা রয়েছে। সেসব জায়গার বাচ্চারাও কৃমির কবলে পড়তে পারে। আবার গ্রামাঞ্চলে ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে সার হিসাবে ব্যবহার হয় মানববর্জ্য পদার্থ। ফলে এই ধরনের পরিস্থিতিতে যেসব বাচ্চা বড়ো হয়ে উঠছে তাদের কৃমির কবলে পড়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।

শিশুদের কৃমি সংক্রমণের কারণ কী কী?

শিশুদের এবং অল্পবয়সী ছেলেমেয়েদের ক্রমাগত হামাগুড়ি দেওয়া এবং বাইরে খেলার কারণে কৃমি সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পরিবারের জীবনধারার উপর নির্ভর করে, শিশুদের কৃমি হওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে। কৃমি সংক্রমণ হওয়ার সবচেয়ে সাধারণ কারণগুলি নীচে তালিকাভুক্ত করা হল:

• একটি সংক্রামিত পৃষ্ঠতলের সংস্পর্শে আসা

• সংক্রামিত খাদ্য বা জল খাওয়া

• অনুপযুক্ত স্বাস্থ্যবিধি বা পরিচ্ছন্নতার অভাব

• কাঁচা বা ভালোভাবে রান্না না করা খাদ্য গ্রহণ

• অপর্যাপ্তভাবে হাত ধোওয়া

• সংক্রামিত ব্যক্তির সান্নিধ্যে আসা

উপসর্গ কী কী?

শিশুর শরীরে কৃমি সংক্রমণের কোনো উপসর্গ দেখা যায় না। সংক্রমণ খুব হালকা হওয়ায় অনেকেই উপেক্ষা করা করেন। তবে উপেক্ষা করা একদমই ঠিক না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কয়েকটি উপসর্গ দেখা যায়, সেগুলি হল –

• পেট ব্যথা

• অবসাদ

• ডায়রিয়া

• ওজন হ্রাস পাওয়া

• বমি

• মলে কৃমির উপস্থিতি

• অত্যধিক কাশি এবং জ্বর

• ক্ষুধামান্দ্য

• ঘুমের অভাব

• জন্ডিস

• খিটখিটেভাব

• পেটে অস্বস্তি

• পেট খারাপ

• উচ্চতা হ্রাস

• কোষ্ঠকাঠিন্য

• আচরণগত পরিবর্তন

• ঘন ঘন গ্যাস এবং পেট ফাঁপা

উপরের এই লক্ষণগুলির মধ্যে আপনার সন্তানের কোনও একটি লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

প্রতিরোধ এবং চিকিৎসা পদ্ধতি:

স্টুল টেস্ট অথবা অন্য কোনও টেস্টের মাধ্যমেই একমাত্র কৃমি ধরা পড়লেই চিকিৎসা শুরু হয়ে যায়। কৃমি নিধনকারী আধুনিক সব ওষুধ রয়েছে। বিশেষত চিকিৎসকরা আপনার বাচ্চার সঠিক বয়স, ওজন এবং তার জীবনধারা সম্বন্ধে ভালো করে জেনে তবেই ওষুধের ডোজ দেন। অনেক ক্ষেত্রে অভিভাবকদেরও কৃমির ওষুধ দেওয়া হয়। কারণ ধরেই নেওয়া হয় তাদের শরীরেও কৃমি বাসা বেঁধেছে। তাই চিকিৎসকরা পরিবারের সকলকেই ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন।

প্রতিরোধের উপায়:

বাচ্চাদের শরীরে কৃমির উপদ্রব প্রতিরোধ করতে এই কয়েকটি নিয়ম মেনে চলুন –

• ঘন ঘন শিশুর নখ কেটে দিন।

• শিশুকে মুখে হাত দিতে বারণ করুন।

• ফল এবং সবজি পরিষ্কার জলে ভাল করে ধুয়ে নিন।

• শিশুকে ফোটানো এবং পরিশ্রুত জল পান করান।

• শিশুর বিছানা পরিষ্কার রাখুন।

• নিয়মিত বাচ্চাদের ন্যাপিগুলি পরিবর্তন করুন এবং সাথে সাথে আপনার হাত ধুয়ে ফেলুন।

• সন্তান মল-মূত্র ত্যাগ করার পর তার হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে দিন।

• বাচ্চাদের শরীরে কৃমি প্রতিরোধের জন্য খাবার ভালোভাবে রান্না করা উচিত এবং কাঁচা খাবার দেওয়া উচিত নয়।

অন্যদিকে ঘরোয়া টোটকাতেও আপনি কৃমি প্রতিরোধ করতে পারেন। কাঁচা পেঁপে, রসুন, কড়লা, নিম, গাজর, হলুদ ইত্যাদি কৃমি প্রতিরোধে সাহায্য করে।

এইরকম স্বাস্থ্য এবং জীবনধারা সম্পর্কিত সবরকম আপডেট পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button