health

Mother’s Day 2023: স্তন্যদানকারী মায়েদের শরীরে পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে খাদ্যতালিকায় এই ৫টি খাবার রাখা জরুরি

Mother’s Day 2023: একটি সদ্যোজাত শিশুর জন্য মাতৃদুগ্ধ খুবই প্রয়োজনীয়

হাইলাইটস:

মাতৃত্ব প্ৰতিটি নারীর অহংকার

সদ্যোজাত শিশুর ৬ মাস বয়স পর্যন্ত মাতৃদুগ্ধ ছাড়া অন্য কোনও খাবার না খাওয়ানোই উচিত

শিশুর সাথে সাথে মায়ের শরীরের খেয়াল রাখাও জরুরি

Mother’s Day 2023: মা হওয়া এই বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর একটি অনুভূতি। মাতৃত্ব প্ৰতিটি নারীর অহংকার। এমনকি মাতৃত্ব যে তাদের জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি তাও বলেন প্রতিটি মহিলা। অনুভূতি প্রকাশ করা যায় না, যখন একজন মহিলা ৯ মাসের ব্যথার পরে প্রথমবার তার নিজের সন্তানকে তার কোলে রাখেন। মা হল পৃথিবীর সেই মানুষটি যাকে চোখ বন্ধ ভরসা এবং বিশ্বাস করা যায়। নিজের সন্তানের ভালো জন্য পৃথিবীর সকল বাধা অতিক্রম করতে পারেন একজন মা-ই। তবে সবসময় সন্তানের খেয়াল রাখলে চলবে না। বরং মায়ের শরীরের দিকেও নজর রাখা জরুরি। বিশেষত সন্তানকে মাতৃদুগ্ধ পান করানো মায়েদের যদি পুষ্টির ঘাটতি হয়, তবে সেটি কার্যত বিপদ সংকেত নিয়ে আসে।

তবে চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে, সদ্যোজাতদের জন্য মাতৃদুগ্ধের থেকে উপকারী কোনও খাবার নেই। বিশেষ করে ৬ মাস বয়স অবধি শিশুদের একমাত্র খাবার মাতৃদুগ্ধ। এতেই তাদের মধ্যে বাড়তে থাকে ইমিউনিটি। মেলে প্রয়োজনীয় পুষ্টি। পৃথিবীতে সকল কিছুর মূল্য পরিশোধ করা হলেও মায়ের ভালোবাসা আমার স্নেহ মাতৃত্ব বোধের কখনো দাম দেওয়া সম্ভব নয়। তাই মায়েদের স্বাস্থ্যের প্রতি নজর ফেরানোর জন্য প্রতিবছর মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার পালন করা হয় বিশ্ব মাতৃ দিবস। এই বছর বিশ্ব মাতৃ দিবস আগামী ১৪ই মে (Mother’s Day 2023)। মায়েদের খাদ্যতালিকায় থাকা উচিত উপকারী প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন ও খনিজের ভাণ্ডার। তবেই সে সুস্থ থাকতে পারবে। আজ আমরা এমনই ৫টি পুষ্টিকর খাবারের কথা বলেছি, যেগুলি স্তন্যদানকারী মায়েদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। এই খাবারগুলি খেলে মায়েদের শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। তাহলে দেরি না করে দেখে নিন পুষ্টিকর খাবারগুলি –

১. খাদ্যতালিকায় সবার প্রথমে থাকবে ​সবুজ শাক-সবজি:

সবুজ শাক-সবজি সবসময়ই ধন্বন্তরি​ হিসাবে কাজ করে। এটি থেকে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম, আয়রন, বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন C এবং ফোলেট ইত্যাদি পাওয়া যায়। যা স্তন্যপান করানো মায়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই স্তন্যপান করানোর সময় এই ধরনের খাবার খাওয়ার পরিমাণ আরও বাড়াতে হবে। কারণ বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, সবুজ শাক-সবজিতে থাকা ফাইটোইস্ট্রোজেনস মাতৃদুগ্ধ উৎপাদনে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, মায়ের দুধের উৎপাদনকেও বাড়ায়। বিশেষ করে পালংশাক এবং ব্রকোলি জাতীয় সবুজ শাক-সবজি প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখা জরুরি।

২. দুগ্ধজাত খাদ্য রাখা জরুরি:

স্তন্যদানকারী মায়েদের খাদ্যতালিকায় দুগ্ধজাত খাদ্যকে বাদ দেওয়া কিন্তু যাবে না। কারণ এই ধরনের খাবারে রয়েছে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ফলে এই খাবারগুলি প্রতিদিন খেলে মায়ের শরীর সুস্থ এবং সতেজ থাকে। এমনকি দুগ্ধজাত খাদ্যে থাকা ক্যালশিয়াম এবং ভিটামিন D মায়ের পাশাপাশি শিশুর স্বাস্থ্যেরও উন্নতি ঘটায়। তাই স্তন্যদানকারী মায়েদের খাদ্যতালিকায় প্রতিদিন দুধ, ছানা ইত্যাদি রাখুন।

৩. প্রোটিনে ভরপুর বাদাম:

প্রোটিন এবং এসেনশিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ হল বাদাম। এতে উপস্থিত থাকে ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, প্রোটিন, ফ্যাট এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এই ফ্যাটি অ্যাসিড কিন্তু মায়েদের শরীর সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে। নবজাতকের মায়েরা যদি ক্লান্ত অনুভব করেন তাহলে এক মুঠো বাদাম খান। এর ফলে দুধের সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে। দুধের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে কাজু, পিস্তা, আমন্ড, ওয়ালনাট ইত্যাদি বাদামগুলি। আবার দুধের সাথে বাদাম ব্লেন্ড করে মিশিয়ে পান করতে পারেন। বাদামে ভালো ফ্যাট ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও থাকে। ফলে ডেলিভারির পরপর থেকেই মায়েদের খাদ্যতালিকায় কিছুটা পরিমাণ বাদাম রাখুন।

৪. ​অ্যাভোকাডোকে সঙ্গী বানাতে পারেন:

অ্যাভোকাডো একটি বিদেশী ফল। তবে এখন ভারতের বাজারেও এই ফলের চাহিদা তুঙ্গে। এই ফলে রয়েছে রয়েছে ভিটামিন B, ভিটামিন K এবং ভিটামিন C। এই ভিটামিনগুলি সদ্য মা হওয়া মহিলাদের জন্য খুবই উপকারী। কারণ এই ভিটামিনগুলি মায়ের দেহের পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে সাহায্য করে। আবার এই ফলে উপস্থিত ফ্যাট শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। তাই স্তন্যদানকারী মায়েদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এই ফল রাখা জরুরি।

৫. গোটা দানা শস্য জাতীয় খাবার রাখুন পাতে:

গোটা দানা শস্য জাতীয় খাবার খুবই উপকারী একটি খাবার। বিশেষ করে ওটস, বার্লি ইত্যাদি স্তন্যদানকারী মায়েদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যুক্ত করলে মায়ের শরীরে ব্লাড সুগার, প্রেশার ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে। এমনকী কোষ্ঠকাঠিন্যও রোধ পায়। তার সাথে মায়েদের শরীরে হরমোনের ভারসাম্য ফেরায় এই জাতীয় খাদ্য। ফলে মাতৃদুগ্ধ উৎপাদনে সুবিধা হয় অনেকেটাই। তাই স্তন্যদানকারী মায়েদের পাতে রাখতে হবে গোটা দানা শস্য জাতীয় খাবার।

সুতরাং বলা যায়, স্তন্যদানকারী মায়েদের শরীর সুস্থ রাখতে এই খাবারগুলি তার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে ভুলবেন না।

এইরকম স্বাস্থ্য সম্পর্কিত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button