Morning Sickness: গর্ভাবস্থায় মর্নিং সিকনেসের সমস্যা দূর করতে ভরসা রাখুন এই ৫টি ঘরোয়া টোটকার উপর
গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন অনেক মায়েরা সকালে ঘুম থেকে উঠলেই বমি বা বমি বমি ভাবেই শিকার হন। এর সঙ্গে লেজুড় হতে পারে পেটে ব্যথা এবং অস্বস্তিভাবও। সাধারণত এই সমস্যাকেই বলা হয় মর্নিং সিকনেস (Morning Sickness)।
Morning Sickness: গর্ভাবস্থায় নিজের এবং গর্ভস্থ সন্তানের খেয়াল রাখাটা জরুরি
হাইলাইটস:
• গর্ভাবস্থায় বমি বা বমি বমি ভাব এবং মাথা ঘোরা একটি সাধারণ সমস্যা
• গর্ভাবস্থায় এই সমস্যাকে বলা হয় মর্নিং সিকনেস
• মর্নিং সিকনেস দূর করতে আমাদের দেওয়া ঘরোয়া টোটকাগুলি দেখে নিন
Morning Sickness: গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন অনেক মায়েরা সকালে ঘুম থেকে উঠলেই বমি বা বমি বমি ভাবেই শিকার হন। এর সঙ্গে লেজুড় হতে পারে পেটে ব্যথা এবং অস্বস্তিভাবও। সাধারণত এই সমস্যাকেই বলা হয় মর্নিং সিকনেস (Morning Sickness)। গর্ভাবস্থায় ষষ্ঠ সপ্তাহ থেকে এই মর্নিং সিকনেসের সমস্যা শুরু হয়। অষ্টম ও নবম সপ্তাহে গিয়ে তা চূড়ান্ত আকার নেয়। দশজনের মধ্যে প্রায় আটজনেরই এই সময়ে মর্নিং সিকনেসের সমস্যা হয়। এমনিতে গর্ভবতী মায়েদের শরীরে এই সময় নানা হরমোনাল পরিবর্তন হওয়ার কারণে এমনিতেই নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। তবে মর্নিং সিকনেস তার মধ্যে অন্যতম। চিকিৎসকদের মতে, ভাবী মায়েদের শরীরে বিশেষ কিছু হরমোনের ক্ষরণ ঠিক মতো না হওয়ার কারণে যেমন এমন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়, তেমনই হজম ক্ষমতা কমে যাওয়া এবং বিশেষ কিছু গন্ধ সহ্য করতে না পারার কারণেও বারে বারে বমি হওয়ার মতো ঘটনা ঘটে থাকে। তাই গর্ভাবস্থায় নিজের ও গর্ভের শিশুর খেয়াল রাখার জন্য মাকে বিশেষভাবে নিজের খেয়াল রাখতে হয়। সঠিক সময়ে পুষ্টিকর খাদ্যগ্রহণ ও পর্যাপ্ত বিশ্রাম যেমন প্রয়োজন, তেমনই কোনও ধরনের স্ট্রেস নেওয়া একেবারেই চলে না। এই মর্নিং সিকনেসের সমস্যা থেকে বাঁচতে এই ৫টি ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করলে কিছুটা হলেও উপকার পাওয়া সম্ভব। ঘরোয়া টোটকাগুলি দেখে নিন –
১. আদা:
মর্নিং সিকনেস দূর করতে আদা কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করে। বমি বা বমি ভাব থেকে বাঁচতে গর্ভবতী মায়েরা কয়েক কুচি আদা মুখে রাখতে পারেন। অথবা আদা চা খেতে পারেন। আদায় রয়েছে জিজ্ঞেরল নামক একটি উপকারী উপাদান। এই উপাদানটি মূলত আদার অ্যাক্টিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট। ফলে এই উপাদানটি যেমন মর্নিং সিকনেসের মতো সমস্যার প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা নেয় ঠিক তেমনই প্রেগন্যান্সি সংক্রান্ত অন্যান্য নানা সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে। তাই বলা যায়, গর্ভবতী মায়েরা যদি মর্নিং সিকনেসের শিকার হন তবে আপনাদের প্রথম পছন্দ আদা হতে পারে।
২. মৌরি:
মর্নিং সিকনেস দূর করার ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে মৌরি। বাঙালি বাড়িতে মৌরি থাকবে না এটা হতেই পারে না। দুপুরে খাওয়ার পর আমরা প্রত্যেকেই জোয়ান অথবা মৌরি চিবিয়ে থাকি। কারণ এতে খাবার হজম খুব ভালো হয়। আবার মর্নিং সিকনেস দূর করতেও এর জুড়ি মেলা ভার। গর্ভবতী মায়েরা সকালে ঘুম থেকে উঠেই যদি মর্নিং সিকনেসের শিকার হন তবে মৌরি মুখে দিয়ে দেবেন। এতে আপনার মর্নিং সিকনেসের সমস্যা অনেকাংশে রোধ পায়।
৩. পর্যাপ্ত পরিমানে জল পান করা জরুরি:
জলশূন্যতা আমাদের জন্য অনেক বড় সমস্যার কারণ হতে পারে। মর্নিং সিকনেসও এর মধ্যে অন্যতম। তাই শরীরকে ভেতর থেকে আর্দ্র রাখা জরুরি। আর সেজন্য প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমানে জল পানের অভ্যাস করুন। মর্নিং সিকনেসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে গর্ভবতী মায়েদের প্রতি ঘণ্টায় এক গ্লাস করে জলপান করতে হবে। বিশেষত প্রস্রাব ও মলত্যাগের আগে জল পান করা জরুরি। এতে শরীরে জলের ঘাটতি দূর হবে, সেইসঙ্গে দূর হবে মর্নিং সিকনেসও।
৪. পাতিলেবু:
মর্নিং সিকনেসের সমস্যা থেকে বাঁচতে পাতিলেবু হতে পারে গর্ভবতী মায়েদের সেরা পছন্দ। লেবুকে লেবুর জল হিসাবেও ব্যবহার করা যায় এবং অনেকে মর্নিং সিকনেস দূর করতে মিনিটে মিনিটে পাতি লেবুর গন্ধ নিয়ে খানিকটা উপকার পান। তাছাড়া লেবুর জল খাওয়া শরীরের জন্য উপকার। যার ফলে এই সময় গর্ভবতী মায়েদের শরীরে শক্তির সঞ্চয় ঘটে।
৫. ডাবের জল:
মর্নিং সিকনেসের সমস্যা মুক্তি পেতে চাইলে গর্ভবতী মায়েদের নিয়মিত ডাবের জল খেতে হবে। এতে উপস্থিত ভিটামিন, মিনারেল এবং ফাইবার মর্নিং সিকনেসের চিকিৎসায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এবং তার সাথে দেহে ইলেকট্রোলাইটসের ভারসাম্যও বজায় রাখে। আর যদি ডাবের জলে এক চামচ পাতি লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন, তাহলে তো কথাই নেই। কারণ, সেক্ষেত্রে আরও দ্রুত উপকার মিলবে। তবে আগে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ডাবের জল খাওয়া শুরু করতে হবে।
সুতরাং বলা যায়, উপরে দেওয়া ঘরোয়া টোটকাগুলির সাহায্য নেওয়ার পরেও যদি মর্নিং সিকনেসের সমস্যা দূর না হয় তবে দেরি না করে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
এইরকম স্বাস্থ্য এবং জীবনধারা সম্পর্কিত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।