Mahatma Gandhi: গান্ধীজীর জীবন থেকে অনুপ্রেরণা নিন, মেনে চলুন সুস্থ শরীরের সঠিক ডায়েট

Mahatma Gandhi: মহাত্মা গান্ধী তাঁর কী টু হেলথ বইটিতে লিখেছিলেন, “ফুড ইজ লাইফ”

হাইলাইটস:

  • স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় গান্ধীজি মোট ১৭টি উপবাস গ্রহণ করেন
  • মহাত্মা গান্ধীর দীর্ঘতম উপবাস ছিল ২১ দিনের
  • গান্ধীজি জীবনের প্রথম থেকেই নিরামিষ খাদ্য আহার করে গেছেন

Mahatma Gandhi: ভারত স্বাধীন হওয়ার পিছনে যে মানুষটির অন্যতম অবদান রয়েছে তাঁর আজ জন্মদিন। অর্থাৎ আজ মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর ১৫৪তম জন্মবার্ষিকী। ভারতের অন্যতম সক্রিয় নেতা এবং একজন মহান ব্যক্তির আজ জন্মদিন। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় গান্ধীজি মোট ১৭টি উপবাস গ্রহণ করেন। গান্ধীজির দীর্ঘতম উপবাস ছিল ২১ দিনের। মহাত্মা গান্ধী তাঁর কী টু হেলথ বইতে লিখেছিলেন, “ফুড ইজ লাইফ”। তিনি আরও লিখেছিলেন যে, “এটা সত্য যে মানুষ জল এবং বাতাস ছাড়া বাঁচতে পারে না, কিন্তু শরীরকে যে জিনিসটি পুষ্ট করে তা হল খাদ্য।” এবং গান্ধীজি জীবনের প্রথম থেকেই নিরামিষ খাদ্য আহার করে গেছেন।

মহাত্মা গান্ধী তাঁর খাদ্যাভ্যাস নিয়ে পরীক্ষা করেছিলেন এবং ডায়েট অ্যান্ড ডায়েট রিফর্ম বইটির একটি অধ্যায়ে তাঁর খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে লিখেছেন। বইতে গান্ধীজি লিখেছেন, সাধারণত তিনি খান অঙ্কুরিত গম, সবুজ পাতা, লেবু, আমন্ড, এবং মধু। গান্ধীজি আরও লিখেছেন যে, তাঁর ভোজনের সময় দুটি ভাগে বিভক্ত, প্রথম খাবারটি তিনি সকাল ১১ টায় আহার করতেন এবং দ্বিতীয়টি সন্ধ্যা ৬.১৫ মিনিটে গ্রহণ করতেন। আগুন দ্বারা স্পর্শ করা একমাত্র খাদ্য হিসেবে তিনি শুধুমাত্র জল গ্রহণ করতেন। সকালে এবং দিনের মধ্যে গান্ধীজি আরও একবার গরম জলে লেবু ও মধু মিশিয়ে পান করতেন।

১৯১১ সালে মহাত্মা গান্ধী লবণ-মুক্ত খাদ্য খাওয়া শুরু করেছিলেন। খাবারে অতিরিক্ত নুন যোগ করার কট্টর বিরোধী ছিলেন তিনি। ১৯২০-এর দশকের শেষ দিকে, ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি আবার নুন খাওয়া শুরু করেন। তাঁর দ্য মোরাল বেসিস অফ ভেজিটেরিজম বইতে গান্ধীজি লিখেছিলেন, “আমি ৬ বছরের জন্য খাদ্যতালিকা থেকে দুধ বাদ দিয়েছিলাম।” তবে ১৯১৭ সালের পর তিনি আবার দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্য গ্রহণ করা শুরু করেন। গান্ধীজি ল্যাকটোজ মুক্ত পরীক্ষা অনুসরণ করার পর লিখেছিলেন, নিরামিষ খাদ্যতালিকায় দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার অন্তর্ভুক্ত করা আবশ্যক। গান্ধীজির এই খাদ্যাভাস থেকে এটা স্পষ্ট যে তিনি কোনও রকম প্রক্রিয়াজাত খাদ্য আহার করতেন না। তিনি মনে করতেন সুস্থ থাকতে হলে প্রক্রিয়াজাত খাদ্য গ্রহণ না করাই ভাল।

এইরকম স্বাস্থ্য এবং জীবনধারা সম্পর্কিত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.