Hepatitis Disease: উপসর্গহীন হেপাটাইটিস ছেয়ে গেছে গোটা রাজ্যে! চিন্তা বাড়চ্ছে চিকিৎসকদের

Hepatitis Disease: উপসর্গহীন হেপাটাইটিসকে ডাক্তারি পরিভাষায় বলে অ্যানিকটেরিক হেপাটাইটিস

 

হাইলাইটস:

  • জন্ডিস হয়েছে শরীরে এমন কোন উপসর্গই নেই
  • অথচ রক্তপরীক্ষায় হেপাটাইটিস-এ ধরা পড়ছে
  • এই মরশুমে ব্যাপক হারে ছেয়ে গিয়েছে অ্যানিকটেরিক হেপাটাইটিস

Hepatitis Disease: ত্বক, চোখ, কিংবা নখে হলদেটে ভাবের রেশটুকুও নেই। এমনকি প্রস্রাবের রং-ও স্বাভাবিক রয়েছে। অর্থাৎ জন্ডিসের কোন উপসর্গই নেই শরীরে। অথচ রক্তপরীক্ষায় জানা যাচ্ছে, লিভার এনজ়াইম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে রয়েছে। পরে রক্তপরীক্ষা করে হেপাটাইটিস-এ ধরা পড়ছে। ডাক্তারি পরিভাষায় এটি হল অ্যানিকটেরিক হেপাটাইটিস (Anicteric Hepatitis)। অর্থাৎ, যে সব হেপাটাইটিসে দেহে বিলিরুবিনের মাত্রা বাড়ে না। ফলে শরীরে হলদেটে ভাব দেখা যায় না। অর্থাৎ জন্ডিসে আক্রান্ত হয় না।

We’re now no WhatsApp – Click to join

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই মরশুমে এমন সমস্যা শিশু-কিশোরদের মধ্যে ব্যাপক হারে ছেয়ে গিয়েছে। চিকিৎসকদের একাংশের আক্ষেপ, সরকারি টিকাকরণ কর্মসূচিতে ‘হেপাটাইটিস-এ’র ভ্যাকসিন অন্তর্ভুক্ত করা নেই। এই প্রতিষেধক পাওয়া যায় বেসরকারি ক্ষেত্রে। ফলে অধিকাংশ শিশুই এই টিকাটি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। চিকিৎসকদের পরামর্শ, হেপাটাইটিস-এ হলে, তা অ্যানিকটেরিক হোক কিংবা না-হোক, বিশ্রামে থেকে সহজপাচ্য বাড়ির খাবার খেলেই ধীরে ধীরে সেরে ওঠা সম্ভব।

We’re now on Telegram – Click to join

এক শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ জানাচ্ছেন, এ বছর অ্যানিকটেরিক হেপাটাইটিস (Anicteric Hepatitis) ছেয়ে গিয়েছে। এ ক্ষেত্রে এসজিপিটি এবং এসজিওটি-র মতো লিভার এনজ়াইম স্বাভাবিকের চেয়ে প্রচুর মাত্রায় বেশি, অথচ বিলিরুবিন খুব কম বেড়েছে বা প্রায় স্বাভাবিকের গন্ডিতেই রয়েছে। শরীরে মারাত্মক দুর্বলতা ছাড়া আর তেমন কোনও সমস্যা নেই। একমাত্র রক্তপরীক্ষায় ধরা পড়ছে এই রোগটি। তিনি বলেন, এই সমস্যায় সামান্য বমি বমি ভাব, খিদে চলে যাওয়ার মতো উপসর্গ থাকে। এই রোগের বিপদ হলো, রোগটা চুপিসারে শরীরের ভেতরে বেড়ে চলে। ফলে সেখান থেকেই অনেকের জটিলতা দেখা দেয়। তাঁর পরামর্শ- বেসরকারি থেকে হলেও শিশুদের হেপাটাইটিস-এ ভ্যাকসিন নিয়ে নেওয়া উচিত। পরিশুদ্ধ পানীয় জলের পাশাপাশি হাত পরিস্কার রাখার দিকেও জোর দেওয়া দরকার।

Read more:- এইসব ছোটখাট লক্ষণ দেখা মাত্রই সতর্ক হন! নাহলেই লিভার ডিজিজের মতো গুরুতর অসুখে পড়ার আশঙ্কা বাড়বে

বিশেষ করে ৬ বছরের কম বয়সিদের শিশুদের মধ্যে এই মরশুমে প্রচুর অ্যানিকটেরিক হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা সামনে আসছে। এই সমস্যায় দুর্বলতার, পেটের গোলমালের পাশাপাশি সামান্য জ্বর ছাড়া আর কোনও উপসর্গ নেই।

গ্রীষ্মকালে রাস্তার জল, খাবার, কাটাফল ইত্যাদি খেলে এই অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই বেড়ে যায়। অপরিচ্ছন্ন সুইমিং পুলে সাঁতার কাটলেও রোগটা হতে পারে। হেপাটাইটিস-এ’র চিকিৎসা হল বিশ্রাম, ল্যাক্সেটিভ, ভিটামিনএবং ওআরএস। অধিকাংশই কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠেন। তবে লিভারের পাশাপাশি যাদের কিডনিতেও প্রভাব পড়ে, তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা প্রয়োজন।

এইরকম স্বাস্থ্য এবং জীবনধারা সম্পর্কিত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.