health

ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকারগুলি জেনে নিন

ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন হল গোপনাঙ্গজনিত একপ্রকার রোগ

ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন খুবই অস্বস্তিদায়ক একটি রোগ। এই রোগে তলপেটে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। পুরুষের তুলনায় নারীরা এ রোগে বেশি আক্রান্ত হন। ইউরিন ইনফেকশনের আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে।

তাই প্রস্রাবে যেন কোনোরকম সংক্রামণ না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। আর এই রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে হবে।

মহিলাদের মূত্রদ্বার উন্মুক্ত, সেই কারণে হতে পারে নানারকম ইনফেকশন। এছাড়াও হাইজিন না থাকা, যেখানে সেখানে প্রস্রাব করার মতো কারণ থেকেও হতে পারে ইউরিন ইনফেকশন।

ইউরিন ইনফেকশনের কারণ:

১. বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়া এবং কিছু ক্ষেত্রে ফাঙ্গাস, প্রোটিয়াস, ক্লেবসিলা, সিউডোমনাসের কারণে হতে পারে ইনফেকশন। এছাড়া অনেকের এলার্জিজনিত কারণেও ইনফেকশন হয়।

২. মূত্রনালির সংক্রমণ খুব বেশি হয় মেয়েদের। কারণ মেয়েদের মূত্রনালির দৈর্ঘ্য ছেলেদের তুলনায় ছোট।

৩. মেয়েরা অনেকসময় দীর্ঘক্ষণ প্রস্রাব আটকে রাখে, ফলে এইক্ষেত্রে প্রস্রাবে সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।

৪. দীর্ঘসময় মূত্রতন্ত্রে জীবাণু অবস্থান করলেই ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের লক্ষণগুলি দেখা যায়।

৫. মেয়েদের মূত্রদ্বার ও যোনিপথ খুব কাছাকাছি, মাসিক ঋতুস্রাবের সময় অনেক মেয়ে ময়লা, ছেঁড়া ও নোংরাজাতীয় কাপড় ব্যবহার করেন। এতে জীবাণু প্রথমে যোনিপথে ও পরে সংলগ্ন মূত্রনালিকে সংক্রমিত করে।

ইউরিন ইনফেকশন কাদের বেশি হয়?

•আগে ইনফেকশন হয়েছে

•প্রেগন্যান্সি

•শারীরিক ঘনিষ্ঠতার সময় সচেতন না থাকা

•হাইজিন মেনে না চলা

ইউরিন ইনফেকশনের লক্ষণগুলি হল:

•তলপেটে ব্যথা

•জ্বর আসতে পারে

•বারবার প্রস্রাব পায়

•প্রস্রাব পরিষ্কার না হওয়ার অনুভূতি

•ইউরিনে রক্ত

প্রতিরোধের উপায়গুলি হল:

১. এই রোগ প্রতিরোধে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন নিয়মিত ও পরিমিত জল পান করা। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এক গ্লাস জল খান। আর প্রতিদিন ২ থেকে ৩ লিটার জল পান করুন।

২.শারীরিক ঘনিষ্ঠতার পর প্রস্রাব করুন।

৩. রোজ স্নান করার সময় জল দিয়ে গোপনাঙ্গ ভালো করে পরিষ্কার করুন।

৪.গোপনাঙ্গে কোনো স্প্রে, পাওডার অহেতুক ব্যবহার করতে যাবেন না

৫. প্রস্রাব আটকে না রেখে যখনই বেগ আসবে তখনই প্রস্রাব করুন।

৬. পাবলিক টয়েলেট ব্যবহার করবেন না। এই টয়েলেট ব্যবহারে এই সমস্যা বহুগুণ বাড়তে পারে।

৭. ডায়াবেটিসে আক্রমণ হলে আরও বেশি সতর্ক হতে হবে এই বিষয়ে।

৮. মহিলাদের মাসিক চলাকালীন স্যানিটারি প্যাড ঘন ঘন বদলে নিতে হবে।

এই বিষয়গুলি ছাড়াও ইনফেকশন হলে চিকিৎসকের কাছে যান। কারণ এই অসুখ বহু ক্ষেত্রে সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button