ঐতিহ্যবাহী রান্না শুক্তো তৈরির রেসিপি
বাঙালির যেকোনও অনুষ্ঠানে শুক্তো থাকবেই
ঐতিহ্যবাহী রান্না শুক্তো ছাড়া বাঙালির কোনও অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ হয় না। প্রতিটি অনুষ্ঠানেই প্রথম পাতে শুক্তো দেওয়ার চল প্রাচীনকাল থেকেই প্রচলিত। প্রাচীন সাহিত্যেও শুক্তোর কথা উল্লেখ আছে। প্রত্যেক বাঙালির অত্যন্ত প্রিয় একটি পদ হল শুক্তো। এই তিক্ত-মিষ্টি রান্নার রেসিপিটি জেনে নিন-
শুক্তো তৈরির উপকরণগুলি হল:
•আলু ১টি
•রাঙা আলু ১টি
•বেগুন ১টি
•সজনে ডাটা ২টি
•গাজর ১টি
•হলুদ গুঁড়ো ১/২ চামচ
•কাঁচকলা ১টি
•তেজপাতা ২-৩ টি
•দুধ ১ কাপ
•শুকনো লঙ্কা ২ টি
•পেঁপে ১/২ টি
•শিম ৭-৮ টি
•পাঁচফোড়ন ২ চামচ
•উচ্ছে ১টি
•বড়ি ৫০ গ্রাম
•গোটা জিরে ১চামচ
•রাঁধুনি বাটা ১ চামচ
•লবণ পরিমাণ মতো
•চিনি ১/২ চামচ
•আদা বাটা ১ চামচ
•সরষে বাটা ১ চামচ
•ঘি ২ চামচ
•তেল পরিমাণ মতো
শুক্তো তৈরির পদ্ধতি:
•প্রথমে সবজিগুলি ভালো করে জল দিয়ে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে লম্বা লম্বা করে কেটে নিতে হবে।
•এবার শুক্তোর মশলা বানানোর জন্য একটি প্যানে এক চামচ পাঁচফোড়ন ও গোটা জিরে শুকনো খোলায় নেড়ে নিতে হবে। মশলাগুলি থেকে গন্ধ বের হলে প্যান থেকে নামিয়ে নিয়ে একটি পাত্রে গুঁড়িয়ে নিতে হবে।
•এরপর প্যানে তেল দিতে হবে। তেল গরম হয়ে এলে তাতে বড়িগুলি দিয়ে লাল লাল করে ভেজে নিতে হবে।
•বড়িগুলি তুলে নেওয়ার পর সেই তেলেই বেগুনগুলি দিয়ে দিতে হবে ভাজার জন্য।
•তারপর বেগুন ভাজা হয়ে গেলে আরও একটু তেল দিয়ে বাকি কেটে রাখা সবজিগুলিও ভেজে নিতে হবে।
•সবজি ভাজা হয়ে গেলে ওই প্যানেই অল্প তেল দিয়ে শুকনো লঙ্কা, পাঁচফোড়ন ও তেজপাতা ফোঁড়ন দিতে হবে।
•তারপর তাতে ভাজা সবজিগুলি দিতে হবে এবং ৪-৫ মিনিট নেড়ে নিতে হবে।
•এরপর তাতে সরষে বাটা ও হলুদ গুঁড়ো দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে পরিমাণ মতো জল ও লবণ দিয়ে সবজিগুলি ভালো করে সেদ্ধ করে নিতে হবে।
•সবজিগুলি সেদ্ধ হয়ে এলে তাতে দুধ, আদা বাটা ,রাঁধুনি বাটা ও সামান্য চিনি দিয়ে দিতে হবে।
•রান্নাটি ৫ মিনিটের জন্য ঢাকা দিতে হবে।
•তারপর ঢাকা খোলার পর দিতে হবে আগে থেকে বানিয়ে রাখা গুঁড়ো মশলাটি।
•সবশেষে রান্নাটির ওপর দিয়ে ঘি ছড়িয়ে দিলেই আপনার ঐতিহ্যবাহী রান্না শুক্তো তৈরি।