Prosenjit Chatterjee in KIFF: ‘তিনিই তো সিনেমার ঈশ্বর’, KIFF-এ ‘মিস্টার ইন্ডাস্ট্রি’ ফিরে গেলেন ঋত্বিক ঘটকের স্মৃতিচারণায়
উৎসব চত্বরে নস্ট্যালজিক শোনাল অভিনেতা প্রসেনজিৎকে। ‘একত্রিশ বছর ধরে এই ফিল্ম ফেস্টিভালের সাথে সম্পর্ক আমার। একসময় দৌড়ে দৌড়ে দেখতাম ছবি।
Prosenjit Chatterjee in KIFF: প্রবাদপ্রতিম পরিচালক ঋত্বিক ঘটকের শতবর্ষে কী বললেন প্রসেনজিৎ?
হাইলাইটস:
- এ বছর আয়োজিত হয়েছে ৩১তম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব
- এবার প্রবাদপ্রতিম পরিচালকের শতবর্ষ উদযাপিত হচ্ছে
- এদিন কিংবদন্তির প্রসঙ্গে কী বললেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়?
Prosenjit Chatterjee in KIFF: চলচ্চিত্র উৎসব চলাকালীন প্রথম ছুটিরবার এটাই। বিকেলের পর থেকেই নন্দন-রবীন্দ্রসদন চত্বরে দেখা গিয়েছে জনস্রোত। সবচেয়ে বড়সড় চমক, সন্ধে নামার মুখেই উৎসবে যোগ দেন বুম্বাদা ওরফে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তীকে একদম হঠাৎ করেই ফোন করে চলে আসেন তিনি নিছকই ছবি দেখতে।
We’re now on WhatsApp- Click to join
উৎসব চত্বরে নস্ট্যালজিক শোনাল অভিনেতা প্রসেনজিৎকে। ‘একত্রিশ বছর ধরে এই ফিল্ম ফেস্টিভালের সাথে সম্পর্ক আমার। একসময় দৌড়ে দৌড়ে দেখতাম ছবি। নন্দন, রবীন্দ্রসদনের মাটিতে বসেই দেখতাম বেশিরভাগ সময় ছবি। ছোটবেলায় রেবতিজি, কমল হাসনের মতো ব্যক্তিত্বদেরকেও উৎসবে দেখেছি। কাঁধে ব্যাগ নিয়ে ব্যাজ লাগিয়ে ঘুরে বেড়াতাম। চলচ্চিত্র উৎসবের ছবির দেখার মজাই যেন আলাদা। আমাদের বেড়ে ওঠার সময়ে এত আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম ছিল না ছবি দেখার,’ আক্ষেপ তাঁর।
We’re now on Telegram- Click to join
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে কলকাতা আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভাল বললেও বাংলার সাথে আঞ্চলিক ভাষার অন্যান্য ছবিগুলোও যেভাবে আনা হচ্ছে সেটা খুব ভালোলাগার জায়গা আমার কাছে। যতদিন গৌতমদা আছেন তিনিই আমাদের চেয়ারম্যান। একজন চেয়ারম্যানের যোগাযোগ তৈরি হতে তিন থেকে পাঁচ বছর লাগে। একটা ফেস্টিভাল শেষ হলেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায় পরের বছরের, নয়তো এই দশ দিনের মহাযজ্ঞ একেবারে সম্ভব নয়। এখানে আমি একজন দর্শক। যদি মনে হয় ছবি দেখতে পারব এককোণে দাঁড়িয়ে, তবে সেইভাবেই দেখব।’ তাঁর ফেডারেশন প্রসঙ্গে বক্তব্য, আসা-যাওয়া সবাই করবে, যখন যার সময় সুযোগ হবে। আমাদেরই তো ফেডারেশন। তারা আসবে নিশ্চয়ই। গত পরশুদিন, ‘অরণ্যের দিনরাত্রির’ ঝকঝকে রেস্টোর্ড ভার্সন প্রিয়াতে দেখে মুগ্ধ তিনি।
View this post on Instagram
এদিকে, ঋত্বিক ঘটকের স্মৃতিচারণায় ‘মিস্টার ইন্ডাস্ট্রি’ ফিরে গেলেন। প্রবাদপ্রতিম পরিচালকের শতবর্ষ এবার উদযাপিত হচ্ছে। কিংবদন্তির প্রসঙ্গে বলেছেন, “ঈশ্বরের আশীর্বাদে বেশ কিছু চলচ্চিত্র উৎসবে বহু বার গিয়েছি। সে কান হোক বা টরন্টো, বুদ্ধদার ছবিও যেখানে সিলেক্টেড হয়েছিল, সেখানেও গিয়েছিলাম। ইন্ডিয়ান সিনেমার প্যাভেলিয়নে তিনজন মানুষের ছবিই তো রাখা হয়। ঋত্বিক ঘটকের কথা বলছি, তিনিই সিনেমার ঈশ্বর। আমার তাঁর কোলে চাপার সৌভাগ্য হয়েছে। আমাদের বম্বের বাড়িতে ঋত্বিক জেঠুকে বাবা নিয়ে গিয়েছিলেন। তখন হয়তো আমার ছয়-সাত বছর বয়স। বাবা অসামান্য একটি কাজ করেছিলেন। এ জন্য বিশেষ ধন্যবাদ। ‘রক্তাক্ত বাংলা’ বলেই একটা তথ্যচিত্রের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। যেখানে মাদার ইন্ডিয়া নার্গিসজি করেছিলেন, বাবা সোলজার কিংবা আর্মি করেছিলেন।” কিছুক্ষণের জন্য যেন কয়েক যুগ আগে ফিরে গেলেন প্রসেনজিৎ।
Read More- উত্তম-সুচিত্রার ছবি দিয়ে উৎসবের সূচনা! কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে থাকছে আর কোন মহাচমক?
এদিন চন্দ্রাশিস রায়ের ‘পড়শি’ ছবিটি প্রসেনজিৎ উপস্থাপন করেন, সঙ্গে ছিলেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ও। এ কথা প্রসঙ্গে তিনি জানান যে, ফেডারেশনের সাথে আর কোনও আইনি লড়াইয়ে যেতে চান না। এই উৎসবে এসেছিলেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ও।
এইরকম আরও গুরুত্বপূর্ণ বিনোদন জগতের প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।







