Mamata Banerjee Election Campaign: উত্তরবঙ্গ বিজেপির শক্ত ঘাঁটি হিসাবে পরিচিতি লাভ করলেও সেই উত্তরবঙ্গকেই পাখির চোখ করে দেখছে তৃণমূল নেতৃত্ব
হাইলাইটস:
• সোমবার থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার শুরু করবেন তৃণমূলনেত্রী
• উত্তরবঙ্গ থেকে শুরু হবে তাঁর নির্বাচনী প্রচার
• আগামীকাল কোচবিহার যাবেন তিনি
Mamata Banerjee Election Campaign: আগামী ৮ই জুলাই একদফায় রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ফলে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সব রাজনৈতিক দলগুলি নিজেদের প্রচার পর্ব শুরু করে দিয়েছে। শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসও যেমন ইতিমধ্যে ঘুঁটি সাজাতে শুরু করে দিয়েছে, তেমন অন্যদিকে বিরোধী শিবিরও কোনও অংশে পিছিয়ে নেই। তারাও গ্রামবাংলার ভোট পেতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে ভোটের ময়দানে।
২৩শে জুন, শুক্রবার বিহারের পটনা শহরে বসেছিল চাঁদের হাট। অর্থাৎ চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিজেপি বিরোধী ১৫টি রাজনৈতিক দলকে দেখা গিয়েছিল একছাতার তলায়। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের উদ্যোগে গতকাল পটনায় ছিল বিজেপি বিরোধী দলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। এই বৈঠকে একদিকে যেমন উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তেমনই জাতীয় কংগ্রেসের তরফে উপস্থিত ছিলেন রাহুল গান্ধী।
তৃণমূল সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে এবার ময়দানে নামছেন খোদ তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার উত্তরবঙ্গ সফর দিয়ে শুরু করবেন তাঁর নির্বাচনী প্রচার। ফলে আগামীকাল অর্থাৎ রবিবার বিকেলে তিনি রহনা দেবেন উত্তরবঙ্গের উদ্দেশ্যে। এখানে তাঁর একাধিক জনসভা করার কথা রয়েছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনেরও সারা ভারতবর্ষ দেখেছে ‘মমতা ম্যাজিক’। এবার পঞ্চায়েতের ময়দানেও ‘মমতা ম্যাজিক’ কতটা কাজ করবে তা বলবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল।
দলীয় সূত্রে খবর, তিনি প্রথমে যাবেন কোচবিহারে। সেখানে দক্ষিণ কোচবিহার বিধানসভা এলাকার অন্তর্ভুক্ত চ্যাংড়াবান্ধা এলাকায় পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রথম জনসভা করবেন তিনি। তারপর কোচবিহার জেলায় প্রচারপর্ব শেষ করে তিনি যাবেন জলপাইগুড়ির উদ্দেশ্যে। জলপাইগুড়ির মালবাজারে আরও একটি জনসভা করার কথা রয়েছে তাঁর। গতকাল রাতেই কোচবিহার তৃণমূল জেলা নেতৃত্বকে মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরের কথা জানানো হয়েছে। ফলে কোচবিহার তৃণমূল জেলা নেতৃত্বও যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে দিয়েছে।
দলনেত্রীর এই সফরের প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আসবেন বলে শুনেছি। সোমবার এখানে উনি জনসভা করতে পারেন। আমরা সেই কথা মাথায় রেখেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছি।” সূত্রের খবর, জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজার ছাড়াও উত্তরবঙ্গে আরও কয়েকটি জনসভা করতে পারেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্লকে ব্লকে তৃণমূল নেতারা কীভাবে প্রচার কর্মসূচি চালাবেন, সেই সম্পর্কেও এই জনসভা থেকে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিতে পারেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সম্প্রতি শেষ হয়েছে অভিষেকের নেতৃত্বে তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচি। গত ২৫শে এপ্রিল থেকে ১৬ই জুন অবধি প্রায় ২ মাসব্যাপি এই বিশাল কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিও উত্তরবঙ্গের কোচবিহার জেলা দিয়েই তাঁর এই জনসংযোগ কর্মসূচি শুরু করেছিলেন। একের পর এক জেলা ঘুরে এই কর্মসূচি শেষ হয়েছিল তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কাকদ্বীপের জনসভার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছিল তৃণমূলের এই বিশাল কর্মযজ্ঞ। সমাপ্তি সভায় একমঞ্চে দেখা গিয়েছিল মমতা-অভিষেককে।
সুতরাং বলা যায়, এবার শুধু তৃণমূলনেত্রী একা নন, তৃণমূল কংগ্রেসের ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে একাধিক জনসভা করবেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে এবারে শাসকদল তৃণমূলের হাতিয়ার রাজ্য সরকারের বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষামূলক প্রকল্প। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক বঞ্চনা সংক্রান্ত বিষকটিকেও ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে পারে শাসকদল। শুধু তাই নয়, ১০০ দিনের গ্রামীণ প্রকল্পের টাকা বন্ধ করে রাখা থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনা টাকা বন্ধ করে দেওয়া, একের পর এক কেন্দ্রীয় বঞ্চনার নিয়েও সরব হতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গ সফর সেরে তিনি পঞ্চায়েত নির্বাচনের লাগাতার প্রচার চালিয়ে যাবেন বলে দলীয় সূত্রে খবর।
এইরকম রাজনৈতিক বিষয়ক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।