Turkey Helps Bangladesh Jamaat: পাকিস্তানের পর এবার বাংলাদেশে টাকা ঢোকাচ্ছে এই দেশ, কাকে দিচ্ছে জানেন? এ দেশ তো পাকিস্তানের চেয়েও এক কাঠি ওপরে
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এই পুরো ষড়যন্ত্রের তৃতীয় প্রান্ত হল পাক আইএসআই। তবে অর্থ সরবরাহ করছে তুরস্ক। তৈরি করছে আইএসআই নেটওয়ার্ক। তা বাস্তবায়িত করছে জামাত।
Turkey Helps Bangladesh Jamaat: তবে ভারতের বিরুদ্ধে কী নতুন করে ষড়যন্ত্রের ফাঁদ? এ বিষয়ে কী দাবি করছে গোয়েন্দা, জেনে নিন বিস্তারিত
হাইলাইটস:
- কিছু দিন আগে ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে সাহায্য করছিল তুরস্ক
- এবার পাকিস্তানের পর বাংলাদেশে টাকা দিয়ে সাহায্য করছে এই দেশ
- তবে কাদের দিচ্ছে জানেন? জানলে অবাক হবেন
Turkey Helps Bangladesh Jamaat: অপারেশন সিঁদুর অভিযানের সময়, পাকিস্তানকে সবরকমভাবে সহায়তা করেছিল তুরস্ক। তুরস্কের ড্রোন নিয়ে ভারতের ওপর একাধিক হামলা চালিয়েছিল পাকিস্তান৷ তবে এখানে শেষ নয়, এবার অন্য ষড়যন্ত্র করছে ভারতের বিরুদ্ধে এই দেশ৷ গভীর ষড়যন্ত্রে এবার শামিল হয়েছে। সম্প্রতি, গোয়েন্দা সূত্রের খবর, ওপার বাংলার মৌলবাদী সংগঠন জামাত-ই-ইসলামিকে টাকা দিয়ে সাহায্য করছে তুরস্ক৷ এমনকি, অস্ত্রও সরবরাহ করছে তারা এই জঙ্গি সংগঠনকে।
We’re now on WhatsApp- Click to join
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এই পুরো ষড়যন্ত্রের তৃতীয় প্রান্ত হল পাক আইএসআই। তবে অর্থ সরবরাহ করছে তুরস্ক। তৈরি করছে আইএসআই নেটওয়ার্ক। তা বাস্তবায়িত করছে জামাত। এই ত্রয়ীর সহায়তায়, ভারতের জন্য একটি নয়া ‘ফ্রন্টলাইন’ হয়ে উঠতে পারে বাংলাদেশ, যেখান থেকেই অস্ত্র, মৌলবাদ এবং ভুয়া আখ্যান পাঠানো যেতে পারে ভারতে।
We’re now on Telegram- Click to join
বাংলাদেশের ঢাকার মগবাজারে জামাতের অফিস পুনর্নির্মাণের জন্য অর্থ পাঠিয়েছে তুরস্কের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। এই তহবিল শুধু ভবন তৈরির জন্য নয়, বরং জামাতের সাংগঠনিক কাঠামো ও প্রচার ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করার জন্যও ব্যবহৃত হচ্ছে ভারতে। এর সরাসরি অর্থ হচ্ছে জামাতকে ট্রেনিং দেওয়া সামরিক প্রযুক্তি এবং নেটওয়ার্কিং সম্পর্কে।
জামাতকে সাহায্য তুরস্কের
গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, জামাত ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে যাতে সন্ত্রাস ছড়াতে পারে, প্রচার করতে পারে বিচ্ছিন্নতাবাদী মনোভাব, এটি নিশ্চিত করতেই এই কাজ করছে এই দেশ। জামাতকে আর্থিক, আদর্শগত দিক থেকে সাহায্য করছে তুরস্কের গোয়েন্দা সংস্থা এবং মৌলবাদী প্রতিষ্ঠানগুলি৷ সামরিক সহায়তাও দিচ্ছে। এটি শুধু বাংলাদেশের রাজনীতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলি সহ কেরল পশ্চিমবঙ্গ এবং কাশ্মীরেও ছড়াচ্ছে।
তুরস্ক দক্ষিণ এশিয়ায় একটি প্যান-এজেন্ডা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের নেতৃত্বে। অনুষ্ঠিত হচ্ছে ধর্মীয় কর্মশালা। বিতরণ করা হচ্ছে বৃত্তি। টাকা দেওয়া হচ্ছে মৌলবাদী প্রতিষ্ঠানগুলিকে।
ওপার বাংলার সাথে ভারতের সীমান্ত রয়েছে, বিশেষ করে ত্রিপুরা, অসম, মেঘালয় এবং মিজোরামের মতো রাজ্যগুলি বিপুল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। যদি জামাত তুরস্ক থেকে অস্ত্র, অর্থ এবং ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে সক্রিয় করে তোলে আদর্শ গত সমর্থন পায় এবং মায়ানমারের আরাকান আর্মির মতো সংগঠনগুলিকে, তাহলে এটি সরাসরি হুমকি ভারতের জন্য।
Read More- এবার সম্পর্কের বিরাট বড় মোড় ভারত-বাংলাদেশের! আচমকাই ইউনূসকে চিঠি লিখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
ইতিমধ্যে এনজিও এবং সংগঠনগুলি জামাতের সাথে যুক্ত কেরলে সক্রিয়, যারা উস্কানি দিচ্ছে শিক্ষা ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানের নামে তরুণ মুসলিমদের। পাকপন্থী সংগঠনগুলির সঙ্গে আদর্শগত সংমিশ্রণ এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্রচারও চলছে জম্মু ও কাশ্মীরে। বর্তমানে তুরস্কের সহায়তায়, আন্তর্জাতিক বৈধতা ও আদর্শগত শক্তি পাচ্ছে জামাত, যা সামাজিক কাঠামো ও ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্রকেও প্রভাবিত করতে পারে ভারতের।
এইরকম আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।
