SSKM Hospital: আবারও টাটার সাথে চুক্তিবদ্ধ হতে চলেছে রাজ্য সরকার, এসএসকেএম হাসপাতালে গড়ে উঠবে ক্যান্সার হাব
SSKM Hospital: সিঙ্গুর এখন অতীত, টাটাদের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ রাজ্য সরকারের
হাইলাইটস:
• এসএসকেএম হাসপাতালে গড়ে উঠবে ক্যান্সার হাব
• এক্ষেত্রে টাটাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হতে চলেছে রাজ্য সরকার
• রাজ্য মন্ত্রিসভার তরফে এ বিষয়ে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে
SSKM Hospital: তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের আমলে সিঙ্গুরে টাটার জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে টাটা গোষ্ঠীর কর্ণধার রতন টাটার অনেকটাই দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। তবে সে সব এখন অতীত। এবার ফের টাটার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে চলেছে রাজ্য সরকার৷ কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালের (SSKM Hospital) ক্যান্সার হাব হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্যের, এই উদ্যোগেই হাত মেলানো হয়েছে টাটাদের সঙ্গে। টাটাদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার ফলে রাজ্যবাসী বিশেষ করে কলকাতা ও শহরতলির মানুষ অনেক বেশি উপকৃত হবেন।
নবান্ন সূত্রে খবর, মন্ত্রিসভার বৈঠকে এসএসকেএমে ‘স্টেট অফ দ্য আর্ট’ হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার এই প্রকল্পে সিলমোহর দিল রাজ্য মন্ত্রিসভা৷ টাটা গোষ্ঠীর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে হবে এই ক্যান্সার হাব৷ এর পাশাপাশি ৫০ জন চোখের চিকিৎসক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার৷ যতদূর জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের চোখের আলো প্রকল্পে যাতে আরও ভালোভাবে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত নবান্নের। উল্লেখ্য, এরাজ্য থেকে প্রতি বছরই শত শত রোগীকে ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য মুম্বইয়ের টাটাতে যেতে হয়। সেই পরিস্থিতিতে বদল আনতেই রাজ্য সরকার এই বিরাট সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার ফলস্বরূপ, রাজ্যবাসী নিজের রাজ্যেই উন্নতমানের চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন।
এসএসকেএম হাসপাতালে এই ক্যান্সার হাব গড়ে তোলার দীর্ঘ দিনের ভাবনা ছিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ২০২১ সালে তিনি জানিয়েছিলেন, এসএসকেএমে ক্যান্সার হাসপাতাল গড়ে উঠবে, এ ব্যাপারে টাটাদের সঙ্গে উদ্যোগ নেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছিলেন তিনি। সেই ঘোষণার প্রায় একবছর পরে সেই বিষয়টি নিয়ে আরও স্পষ্ট হওয়া গেল। জানা গিয়েছে, রাজ্য মন্ত্রিসভার পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। অবশ্য অতীতে রাজ্য থেকে টাটারা বিদায় নেওয়ার পর প্রায় একযুগ এরাজ্যে আর টাটা গোষ্ঠীর বিনিয়োগ বড় আকারে চোখে পড়েনি। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যেই দুটি বড় ক্ষেত্রে বিনিয়োগের জন্য রাজ্য সরকারের সঙ্গে হাত বাড়িয়েছে টাটারা। তবে বলাই যায়, টাটারা তাদের ব্যবসার খাতিরে সুর নরম করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্য সরকারের প্রতি।
চলতি বছরেই জানা গিয়েছিল, জামশেদপুর থেকে খড়্গপুরে কারখানা সরিয়ে আনছে টাটা গোষ্ঠী। নতুন কারখানায় রাজ্যে কয়েকশো কোটি বিনিয়োগ করা হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছিল। মূলত জানা গিয়েছিল, টাটাদের তরফেই রাজ্য সরকারের কাছে প্রস্তাব আসে। সেই প্রস্তাবে সাড়া দেওয়ার পরেই এরাজ্যে টাটারা কারখানা স্থানান্তর করে। মূলত ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরে থাকা কারখানাটিতে ৬০ শতাংশ হিতাচি ও ৪০ শতাংশ মালিকানা রয়েছে টাটাদের। সেই কারখানাটাই এরাজ্যে সরিয়ে আনছে টাটারা। সেখানেই বেশ কিছু উৎপাদনও শুরু হয়৷ মার্চ মাসে ওয়েস্ট বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রি প্রমোশনাল বোর্ডের একটি বৈঠকে এই তথ্য দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টাটার এই আগমনকে রাজ্যের শিল্পবান্ধব পরিস্থিতি হিসাবেই বিবেচনা করছেন শিল্প বিশেষজ্ঞরা।
ইতিমধ্যে এসএসকেএম হাসপাতালে ক্যান্সার হাব বিল্ডিংও তৈরি হয়ে গিয়েছে। গোটা বিষয়টি দেখছেন এসএসকেএম হাসপাতালের ডিরেক্টর৷ কবে থেকে পরিষেবা চালু হবে, তা এখনই পর্যন্ত স্পষ্ট নয়৷ টাটা মেমোরিয়াল সেন্টারের ডিরেক্টর রাজেন্দ্র বাডওয়ে আগেই জানিয়েছিলেন, একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে এসএসকেএম ক্যান্সার কেন্দ্রের বহির্বিভাগের কাজ শুরু হবে। কখন এবং কীভাবে রোগীরা পরিষেবা পাবেন এবং বহির্বিভাগের পরিষেবা কবে শুরু হবে তাও এখন পরিকল্পনা স্তরে রয়েছে। তবে রাজ্য সরকার আশাবাদী এই চুক্তি বাস্তবায়িত হলে মারণ রোগের চিকিৎসায় দক্ষিণ বা পশ্চিম ভারতে যাওয়ার প্রবণতা অনেকটাই কমবে। এক্ষেত্রে টাটা ক্যান্সার হাসপাতালের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কাজ করবে এসএসকেএম হাসপাতাল। যার ফলে বিভিন্ন ধরণের ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে পারবেন রোগীরা।
এইরকম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।