Mamata keeps faith on Anubrata: গরু পাচার মামলার প্রধান অভিযুক্ত অনুব্রত তিহারে বন্দি থাকলেও তাঁর উপরেই আস্থা মুখ্যমন্ত্রীর
বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতির পদেই থাকছেন তিনি
হাইলাইটস:
•তিহারে বন্দি অনুব্রততেই আস্থা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
•কেষ্টহীন বীরভূমের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিলেন নেত্রী
•রাজ্যের দুই হেভিওয়েট মন্ত্রীকেও দায়িত্ব দিলেন বীরভূম কোর কমিটিতে
কলকাতা: বিগত কয়েক বছর ধরে বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতির পদে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal) রয়েছেন। গত আট মাস আগে গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হন তিনি। বীরভূমের বাড়ি থেকে আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগার হয়ে বর্তমানে তিহার জেলে বন্দি অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু তিহাড়ে বন্দি অনুব্রততেই আস্থা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata keeps faith on Anubrata)। বীরভূমের জেলা সভাপতি পদে কোনও বদল আনল না তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।
গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাসভবনে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বীরভূম জেলার সংগঠন নিয়ে বিশেষ বৈঠক ছিল তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের। যে বৈঠকের নেতৃত্ব দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেই বৈঠকে কেষ্টকে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরানোর ধারকাছ দিয়েই গেলেন না তৃণমূল নেত্রী। সুতরাং এখনও অনুব্রত মণ্ডলের উপরই ভরসা রাখছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে একাধিক জল্পনা দেখা দিচ্ছিল যে, তিনি আর জেলা সভাপতি থাকবেন কিনা আর ঠিক তখনই শুক্রবার কালীঘাটের বীরভূমের সংগঠন নিয়ে ডাকা বিশেষ বৈঠকে সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটালেন তৃণমূল নেত্রী।
সূত্রের খবর, বৈঠকে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে আপাতত অনুব্রতর অনুপস্থিতিতে জেলা সংগঠন দেখবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে অভিষেক বন্দোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) প্রস্তাব দেন, প্রতি সপ্তাহে বীরভুমের কোর কমিটির বৈঠক হোক। নেত্রীও তাতে সমর্থন করে বলেন, ‘যা মিটিং ডাকার বিকাশ রায়চৌধুরী ডাকবে।’ কোর কমিটির সদস্য সংখ্যা বেড়ে ৯ জন রাখা হয়েছে। নতুন মুখ হিসাবে এলেন পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন চক্রবর্তী। এছাড়া বীরভূমের কোর কমিটিতে থাকছেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক এবং ফিরহাদ হাকিম। আবার আদিবাসী মুখ হিসাবে একজনকে এই কোর কমিটিতে যুক্ত করা হবে বলে দলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।
এদিনের বৈঠকে বীরভূমের দলের অন্তর্কলহ নিয়েও আলোচনা হয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সকলকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে বলেই সাফ জানান তৃণমূল নেত্রী। জানা গিয়েছে, বারবার মুখ খুলে বিতর্ক তৈরির করার জন্য নানুরের তৃণমূল নেতা কাজল শেখকেও মৃদু ধমক দেন নেত্রী। এছাড়া জেলার কোনও বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার অধিকারও একমাত্র বিকাশ রায়চৌধুরীকেই দিয়েছে ঘাসফুল শিবির।
প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে অবিলম্বেই পদক্ষেপ করেছিল তৃণমূল। তাঁকে দলীয় পদ থেকে সরানোর করার পাশাপাশি মন্ত্রিত্বও সরিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু অনুব্রত জেলে গেলেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। দলীয় নেতাদের মুখে অনুব্রতর পাশে থাকার বার্তাও শোনা গিয়েছে। অনুব্রত মণ্ডল আর পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেই যে সমান চোখে দেখেন না তা অনেক দিন আগেই বুঝিয়ে দিয়েছেন দলনেত্রী। সুতরাং গতকালের বৈঠক থেকে স্পষ্ট, বিরোধীরা যাই বলুন, বীরভূমে মমতার আস্থা রয়েছে সেই অনুব্রততেই (Mamata keeps faith on Anubrata) ৷ তাই তিহাড় জেলে বন্দি থেকেও বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলই থাকছেন৷ এবার দেখার পালা পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেষ্টহীন বীরভূমে শাসক দলের রেজাল্ট কি হয়।
এইরকম রাজনৈতিক বিষয়ক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।