Mamata Banerjee On Wrestlers Protest: এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তীব্র আক্রমণ শানিয়ে বলেন, ‘দিল্লিতে নন্দলাল সরকার চলছে’
হাইলাইটস:
- ভারতীয় কুস্তি গীরদে র পাশে থাকার বার্তা মখু্যমন্ত্রীর
- কুস্তি গীরদে র উপর পুলি শি অভি যানে র বি রুদ্ধে মি ছি লে অংশ নি লে ন তি নি
- শুধুতাই নয়, প্রধানমন্ত্রী নরে ন্দ্র ম োদীকে নাম না করে নন্দলাল বলে কটাক্ষ করলে ন তি নি
Mamata Banerjee On Wrestlers Protest: গত রবিবার নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধনের দিনে, আন্দোলনকারী কুস্তিগীরদের কর্মসূচি ঘিরে যন্তরমন্তরে তুলকালাম কান্ড বেধে যায়। অভিযোগ উঠে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনস্থ দিল্লি পুলিশ কুস্তিগীরদের উপর পুলিশি হেনস্থা করা হয়। আর এই ঘটনার প্রতিবাদেই বুধবারের পর আবারও গতকাল কুস্তিগিরদের সমর্থনে মিছিলে পা মেলালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কুস্তিগীরদের ন্যায় বিচারের দাবি নিয়ে তাঁর সঙ্গে পথে নামলেন ক্রীড়া জগতের ব্যক্তিত্বরাও।ভারতীয় কুস্তিগীররা এশিয়ান গেমস এবং অলিম্পিক্স-এর অনুশীলন না করে দিল্লির রাজপথে আন্দোলন করছেন। তাঁদের দাবি যৌন হেনস্তার অভিযুক্ত সংস্থার সভাপতি ও বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ শরণ সিংকে গ্রেফতার করতে হবে। তবে দিল্লি প্রশাসন এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেয়নি ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে। এমন প্রেক্ষাপটে ফের একবার কুস্তিগীরদের পাশে দাঁড়ালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। গতকাল গোষ্ঠ পালের মূর্তির পাদদেশ থেকে গান্ধী মূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত মোমবাতি মিছিল করেন তিনি।
দিল্লিতে কুস্তিগীরদের উপর পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবারও প্রতিবাদে শামিল হন বাংলার খেলোয়াড়রা। বুধবারের মিছিল যেখান থেকে শেষ করেছিলেন, এদিন ঠিক সেখান থেকেই শুরু করেন বাংলার খেলোয়াড়রা। যাঁর নেতৃত্ব দেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোষ্ঠ পালের মূর্তির পাদদেশ থেকে তিনি সাক্ষী, বজরংদের পাশে থাকার বার্তা দেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন “মোমবাতি মিছিল করে গিয়ে বাপুজির আশীর্বাদ নেব। কুস্তিগীরদের সঙ্গে যা হয়েছে তা সব জগতের মানুষের সঙ্গেই হতে পারে। এটা চলতে দেওয়া যায় না। আজাদির জন্য লড়াই চালাতে হবে।”
মোমবাতি হাতে হেঁটে এদিন গোষ্ঠপালের মূর্তির পাদদেশে পৌঁছে প্রধানমন্ত্রীকে ফের ‘নন্দলাল’ বলে আক্রমণ করেন মমতা। তিনি বলেন, “দিল্লিতে নন্দলালের সরকার চলছে। কুস্তিগীরদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে। তাদের ভয় দেখানো হচ্ছে। ব্রিজভূষণ শুধু পদত্যাগ করলেই হবে না। তাঁকে গ্রেফতার করতে হবে। আমরা সর্বস্তরে খোলায়াড়দের পাশে আছি। ক্রিকেট বোর্ড থেকে শুরু করে সব খেলার মাথায় বিজেপি নেতারা বসে আছেন। আগে নিয়ম ছিল যে রাজনৈতিক নেতারা কখনও কোনও ক্রীড়া সংস্থার চেয়ারম্যান বা প্রধান হবেন না। আমি ক্রীড়ামন্ত্রী থাকার সময় রুল জারি করেছিলাম। আমি এর প্রতিবাদ করছি।” তিনি আরও বলেন, “আমি আবার তাঁদের সমর্থনে প্রতিনিধিদল পাঠাব। কাউকে না কাউকে প্রতিবাদে সামিল হতে হয়। বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধতে হয়।” প্রসঙ্গত, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব পদে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পুত্র জয় শাহ ও প্রাক্তন সভাপতি ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। আর কুস্তি সংস্থার প্রধান পদে রয়েছেন বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ শরণ সিংহ।
এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর সাথে ছিলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মনোজ তিওয়ারি, শ্যাম থাপা, দিব্যেন্দু বড়ুয়া, রহিম নবি-সহ বাংলার বেশ কিছু ক্রীড়াবিদরা। ছিলেন ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহামেডানের কর্মকর্তারাও। এ দিন সভা থেকে বাংলার দুই কুস্তিগিরকে চাকরি দেন মুখ্যমন্ত্রী। সকলের হাতেই ছিল কালো প্ল্যাকার্ড। তাতে লেখা ছিল— ‘উই আর প্রাউড আওয়ার রেস্টলার্স’। মিছিল চলাকালীন এক চিত্রসাংবাদিক আহত হলে নিজে তাঁকে চিকিৎসার জন্য দ্রুত হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে অবশেষে মিছিল শেষ করে এক নিরাপত্তারক্ষীর বাইকে চড়ে ঘটনাস্থল থেকে রহনা দেন বাড়ির উদ্দেশ্যে।
এইরকম ভ্রমণ সংক্রান্ত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।