Jadavpur University: লালবাজারের পুলিশের একাধিক প্রশ্নের মুখে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু
Jadavpur University: প্রায় চার ঘন্টা ধরে চলে তাঁর জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব
হাইলাইটস:
- গতকাল লালবাজারে ডেকে পাঠানো হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এবং ডিনকে
- তবে রেজিস্ট্রার ম্যাডাম এলেও, আসতে পারেননি ডিন
- লালবাজারের পুলিশের একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়েন রেজিস্ট্রার ম্যাডাম
Jadavpur University: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুন্ডুর অস্বাভাবিক মৃত্যুরহস্যে এবার বিশ্ববিদ্যালয়েরই রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল ডেকে পাঠানো হয়েছিল লালবাজারে। কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারে বুধবার অর্থাৎ গতকাল দুপুরেই তিনি উপস্থিত হয়েছিলেন।
তবে লালবাজারের তরফে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অফ স্টুডেন্টসকেও ডেকে পাঠানো হয় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। তবে তিনি আসতে পারেননি। পরে যাদবপুর থানা লালবাজারকে জানায় ডিন-কে ছাত্ররা ঘেরাও করে রেখেছে তাই তিনি লালবাজারে আসতে পারছেন না। যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যু রহস্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের গাফিলতির উপর ‘আঙুল’ উঠেছে।
শুধু তাই নয়, যাদবপুরের অধ্যাপক সংগঠনও (JUTA) ‘আঙুল’ তুলেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুর দিকে। এইরকম মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে যাওয়ার পাঁচদিন পর রেজিস্ট্রার ম্যাডাম আসেন বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। এসেই তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। তবে JUTA-এর তরফে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেই কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে। বিশেষ করে গোটা ঘটনায় রেজিস্ট্রার ম্যাডামের ভূমিকাকে ‘অসংবেদনশীল’ বলে দাবি করেন যাদবপুরের অধ্যাপক সংগঠন। রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু যে তাঁর দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ তাও JUTA-র বৈঠকে উল্লেখ করা হয়। কারণ বর্তমানে কোনও স্থায়ী উপাচার্য না থাকায় রেজিস্ট্রারের ভূমিকা এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে রেজিস্ট্রারের উদাসীনতায় এইরকম মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে যাওয়ায় যাদবপুরের অধ্যাপক সংগঠনের একাংশ রেজিস্ট্রারের বিরোধিতা করে সোশ্যাল সাইটে একাধিক পোস্ট শেয়ার করছেন।
সূত্রের খবর, এদিন লালবাজারের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে প্রায় চার ঘণ্টায় ধরে একাধিক প্রশ্ন করেন। যার বেশিরভাগ প্রশ্নের উত্তর রেজিস্ট্রার ম্যাডাম দিতে পারেন নি। তাঁকে যে যে প্রশ্নগুলি করা হয়েছিল –
১. বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলে কারা থাকতে পারবেন?
২. হস্টেল চত্বরে কারা ঢুকতে পারবেন?
৩. প্রাক্তনীরা যে অতিথি হিসাবে ছিলেন, তার অনুমতি কীভাবে মিলেছি তাঁদের?
৪. UGC নির্দেশ থাকার পরেও কোনও CCTV কী ছিল হস্টেল চত্বরে?
৫. হস্টেলে নজরদারির কী কোনও ব্যবস্থা রয়েছে?
৬. হস্টেলে কিছু অঘটলে ঘটে গেলে তার দায় কার?
৭. বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘অ্যান্টি র্যাগিং’ কমিটির আসল কাজ কী?
৮. বিশ্ববিদ্যালয়ে কমিটি থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে পড়ুয়ারা এইভাবে ‘হেনস্থার শিকার’ হচ্ছেন?
এইরকম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।