Coromandel Express Accident: চাঞ্চল্যকর দাবি রেলওয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার! নাম প্রকাশ না করার শর্তে দিলেন বেশ কিছু তথ্য
২রা জুন, শুক্রবার দুপুর ২-৩টে সময় করে শালিমার স্টেশন থেকে করমণ্ডল এক্সপ্রেস যাত্রা শুরু করে চেন্নাইয়ের উদ্দেশ্যে।
Coromandel Express Accident: দুর্ঘটনার সময় কর্মরত পাঁচ কর্মচারীর ভবিষ্যত নির্ভর করছে সিআরএসের তদন্তের ফলাফলের উপর
হাইলাইটস:
• দুর্ঘটনার তদন্তভার বাহানগা বাজারের স্টেশন মাস্টার সহ পাঁচজন রেল কর্মচারীর ওপর দেওয়া হয়
• রেলের আধিকারিকদের ইঙ্গিত ইন্টারলকিং সিস্টেমে ইচ্ছাকৃত ক্ষতিসাধনের কারণেই এই দুর্ঘটনা
• এই রেল দুর্ঘটনাকে রাজনীতিকরণ করার ফলে ব্যথিত দুই রেল কর্মচারী ইউনিয়ন
Coromandel Express Accident: ২রা জুন, শুক্রবার দুপুর ২-৩টে সময় করে শালিমার স্টেশন থেকে করমণ্ডল এক্সপ্রেস যাত্রা শুরু করে চেন্নাইয়ের উদ্দেশ্যে। সেদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ ওড়িশার বালেশ্বরের বাহানাগা ষ্টেশনের নিকটে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। শুধুমাত্র করমণ্ডল এক্সপ্রেস নয় পাশাপাশি ওই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হাওড়া-বেঙ্গালুরু যশবন্তপুর এক্সপ্রেস এবং একটি মালগাড়ি। স্বাধীনতার পর এইরকম মর্মান্তিক রেল দুর্ঘটনার কথা বারবারই ঘটেছে। এই মর্মান্তিক রেল দুর্ঘটনাটিও ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে।
ওড়িশার বালেশ্বর জেলায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয় বাহানগা বাজারের স্টেশন মাস্টার সহ পাঁচজন রেল কর্মচারীকে। সরকারি সূত্র এ তথ্য সামনে এসেছে গতকাল। জানা গেছে ২৮৮ জন নিহত ও এক হাজারের বেশি যাত্রী আহত হয়েছেন এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায়। তিনি বলেন, স্টেশন মাস্টার ছাড়া আরও চারজন কর্মচারী সিগন্যাল সংক্রান্ত কাজ করছিলেন এবং এই মাসের শুরুর দিকে দুর্ঘটনার সময় ডিউটিতে ছিলেন তারা। সূত্র অনুযায়ী, বর্তমানে পাঁচজন কর্মচারী নিজেদের কাজ করছেন। উল্লেখ্য, এনাদের ভবিষ্যত নির্ভরশীল সিআরএস অর্থাৎ রেলওয়ে নিরাপত্তা কমিশনারের দুর্ঘটনা তদন্তের ফলাফলের ওপর। অপরাধমূলক অবহেলার কারণে ২রা জুন বাহনগা বাজার স্টেশনে দুর্ঘটনার তদন্ত করছেসেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন।
রেলওয়ে মন্ত্রকের আধিকারিকরা ইঙ্গিত দিয়েছেন ইন্টারলকিং সিস্টেমে ইচ্ছাকৃত ক্ষতিসাধন করার সন্দেহ ইন্টারলকিং সিস্টেমের সাথে সম্ভাব্য কারচুপির, এর ফলে করমন্ডল এক্সপ্রেসের সিগন্যালটি সবুজ হয়ে যায় ও ট্রেনটি লুপ লাইনের দিকে চলে গিয়েছিল৷ এরফলেই ঘটে যায় সেদিনের ওই মারাত্মক দুর্ঘটনা৷ সেদিন করমন্ডল এক্সপ্রেস ধাক্কা মারে একটি দাঁড়িয়ে থাকা মালবাহী ট্রেনকে৷ ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে স্বয়ংক্রিয় ইন্টারলকিং সিস্টেমে ইচ্ছাকৃত গণ্ডগোলকেই দেখা হচ্ছে।
রেলওয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ‘বর্তমানে তদন্তের কেন্দ্রে পাঁচজন রেলকর্মী রয়েছেন। রেলওয়ে নিরাপত্তা কমিশনারের থেকে চূড়ান্ত রিপোর্ট শীঘ্রই প্রত্যাশিত।” সূত্রের খবর তিনটি সম্ভাব্য পরিস্থিতি পরীক্ষা করা হচ্ছে। সেগুলি হলো, সিস্টেমটি ভুলবশত বা ইচ্ছাকৃতভাবে বা এটি এলাকায় চলমান রক্ষণাবেক্ষণ কার্যের কারণে হয়েছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করে দেখা হচ্ছে৷
রেলওয়ের দুটি সংগঠন দুর্ঘটনা নিয়ে বিরোধী দলগুলির তীব্র সমালোচনার মধ্যে সমর্থনে এসেছে, রেলের সমর্থনে নেমেছে দুটি রেল কর্মচারী ইউনিয়ন। একটি যৌথ বিবৃতিতে, এআইআরএফ অর্থাৎ অল ইন্ডিয়া রেলওয়েম্যানস ফেডারেশন এবং এনএফআইআর অর্থাৎ ন্যাশনাল ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান রেলওয়েম্যান এর সাধারণ সম্পাদকরা বলেছেন যে তাঁরা ব্যথিত ট্রেন দুর্ঘটনার রাজনীতিকরণের জন্য। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই ট্রেন দুর্ঘটনাকে কীভাবে রাজনীতি যোগ করা হয়েছে এবং প্রিন্ট মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ায় রেলের কর্মক্ষমতাকে যেভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে তা দেখে খুবই দুঃখিত আমরা। আমাদের সততা এবং কর্তব্যের প্রতি নিষ্ঠার অপমান এই ধরনের প্রতিটি আক্রমণ।
এইরকম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।