Bangladesh News: কী চাইছে বাংলাদেশ? ইতিমধ্যে কেড়ে নিয়েছে মুজিবরের শেষ সম্মান…এবার বদলে দিল ‘মুক্তিযোদ্ধা’র সংজ্ঞাও
মঙ্গলবার রাতে একটি অধ্যাদেশ জারি করেছে বাংলাদেশ সরকার। যেখানে ‘মুক্তিযোদ্ধা’ শব্দের সংজ্ঞা বদলে দেওয়া হয়েছে। নয়া যে সংজ্ঞা আনা হয়েছে এর জেরে বঙ্গবন্ধু হারাচ্ছেন তাঁর 'বীর মুক্তিযোদ্ধা' মর্যাদা শেখ মুজিবুর রহমান।
Bangladesh News: তাঁদের নতুন নির্দেশিকা কী জানেন? এবং কি অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে? দেখে নিন
হাইলাইটস:
- গতকাল একটি অধ্যাদেশ জারি করেছে বাংলাদেশ সরকার
- এখানে পরিবর্তন করা হয়েছে ‘মুক্তিযোদ্ধা’র সংজ্ঞা
- নতুন সংজ্ঞা জেরে মুজিবুর হারাচ্ছেন তাঁর ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’র মর্যাদা
Bangladesh News: এবার ঠিক বাংলাদেশ কী করতে চাইছে? প্রথমে শেখ মুজিবরের ছবি বাংলাদেশের ‘টাকা’ থেকে মুছে দিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার৷ এবং এবার আবার বঙ্গবন্ধু হারালেন ‘মুক্তিযোদ্ধা’র তকমাও৷ তবে কি এবার বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে মুছে দিতে চাইছে মুজিবর রহমান এবং তাঁর পরিবারের নাম সে দেশের সরকার? তাঁদের নয়া নির্দেশিকা কী জানেন?
We’re now on WhatsApp- Click to join
‘মুক্তিযোদ্ধার’ সংজ্ঞা পরিবর্তন
মঙ্গলবার রাতে একটি অধ্যাদেশ জারি করেছে বাংলাদেশ সরকার। যেখানে ‘মুক্তিযোদ্ধা’ শব্দের সংজ্ঞা বদলে দেওয়া হয়েছে। নয়া যে সংজ্ঞা আনা হয়েছে এর জেরে বঙ্গবন্ধু হারাচ্ছেন তাঁর ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ মর্যাদা শেখ মুজিবুর রহমান।
We’re now on Telegram- Click to join
কেবল শেখ মুজিবর রহমানই নন, ৪০০ জনেরও বেশি বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের সময়কার রাজনৈতিক নেতার৷ এর মধ্যে রয়েছেন তাজউদ্দিন আহমদ, সঈদ নজরুল ইসলাম, এএইচএম কামারুজ্জামান এবং এম মনসুর আলি৷ এদের প্রত্যেকেরই মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে সরকারি স্বীকৃতি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের আইন মন্ত্রকের আইন এবং সংসদ বিষয়ক বিভাগের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা এই অধ্যাদেশ অনুসারে, এই নেতাদের এখন হিসাবে গণ্য করা হবে ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’, মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে না।
এই অধ্যাদেশ অনুসারে, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হচ্ছেন এমন কেউ যিনি ২৬শে মার্চ থেকে ১৬ই ডিসেম্বর, ১৯৭১-এর মধ্যে, যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন দেশের বিভিন্ন গ্রামে এবং গ্রহণ করেছিলেন প্রশিক্ষণও, কিংবা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য ভারতের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগদানের জন্য সীমান্ত অতিক্রম করেছিলেন। এই ব্যক্তিরা পাক সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
Read More- পচা মাল দিয়েছে চীন! জীবন বাঁচাতেই এবার ভারতের দ্বারস্থ হয়েছে পড়শি! চাপ বেড়েছে বাংলাদেশের?
এই ‘মুক্তিযোদ্ধা’র নয়া সংজ্ঞা অনুসারে, অবশ্যই বেসামরিক নাগরিক হতে হবে স্বীকৃত মুক্তিযোদ্ধারা৷ যাঁরা সরকারের দ্বারা নির্ধারিত বয়সের ছিলেন যুদ্ধের সময়। এছাড়া, মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে পরিচিত করা হবে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদেরও।
যেসব মহিলারা পাক বাহিনী ও নির্যাতিত হয়েছিলেন তাদের সহযোগীদের দ্বারা (বীরাঙ্গনা), সেইসাথে যেসব নার্স, ডাক্তার এবং চিকিৎসা সহকারী মুক্তিযুদ্ধের সময় ফিল্ড হাসপাতালে চিকিৎসা করেছিলেন আহত মুক্তিযোদ্ধাদের, তাঁরাও বিবেচিত হবেন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে।
এইরকম আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।
