Abhishek Banerjee: সুপ্রিম কোর্ট দিয়ে স্বস্তি পাওয়ার পরেও নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিষেককে হাজিরার নোটিশ পাঠালো সিবিআই
আজ সকাল ১১টায় নিজাম প্যালেসে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল সিবিআই
হাইলাইটস:
•সুপ্রিম কোর্ট দিয়ে স্বস্তি পাওয়ার পরেও অভিষেককে হাজিরার নোটিশ পাঠালো সিবিআই
•আজ সকাল ১১টার মধ্যে নিজাম প্যালেসে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল সিবিআই
•সিবিআই-এর এই নোটিশের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছেন অভিষেক
কলকাতা: গতকালই নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সুপ্রিম কোর্ট থেকে স্বস্তি পেয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। দেশের সর্বোচ্চ আদালত অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়ে জানিয়েছিল, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত কুন্তল ঘোষের চিঠির বিষয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে এখনই জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে না সিবিআই। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে অমান্য করেন সোমবার দুপুর ১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ অভিষেকের ইমেল মারফত একটি নোটিশ আসে সিবিআই-য়ের তরফে। সেই নোটিশে লেখা আছে আজ সকাল ১১ টার মধ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) যেন নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেন।
উল্লেখ্য, গত ২৯শে মার্চ শহিদ মিনারে অনুষ্ঠিত তৃণমূলের ছাত্র-যুব সমাবেশ থেকে অভিষেক দাবি করেছিলেন, সারদাকাণ্ডে যখন কুণাল ঘোষ এবং মদন মিত্র জেল হেফাজতে ছিলেন, তখন নাকি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাঁদেরকে অভিষেকের নাম নিতে জোর করেছিলেন। ঠিক একইভাবে দীর্ঘ দিন ধরে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুবনেতা কুন্তল ঘোষ অভিযোগ করছেন যে, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা তাঁকেও নাকি অভিষেকের নাম বলার জন্য তাঁর উপর চাপ সৃষ্টি করছেন। এই প্রসঙ্গে জেলে বসেই তিনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতের বিচারককে চিঠিও লিখেছিলেন। এই একই অভিযোগ প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারের মাধ্যমেও পাঠানো হয়েছিল হেস্টিংস থানায়। কুন্তল ঘোষ মূলত এই বিষয়ে পুলিশি হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন।
গত বুধবার নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুবনেতার চিঠি প্রসঙ্গটি কলকাতা হাই কোর্টে তুলেছিল ইডি। ফলে প্রয়োজনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কুন্তলের মুখোমুখি বসিয়ে ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে বলেও নির্দেশনামায় জানিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক। সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য গতকালই তাঁকে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছিল। কিন্তু তার কিছুক্ষন পরেই সিবিআই-এর তরফে হাজিরার নোটিশ আসে অভিষেকের কাছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে অমান্য করে সিবিআই-এর আই নোটিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) সহ তৃণমূল অন্যান্য নেতারা।
In its desperation to ‘harass’ and ‘target’ me, BJP EXPOSES CBI & ED to CONTEMPT OF COURT!
SC stayed the Calcutta HC’s order in the morn that granted permission to the Central Agencies to summon me.
Yet, the ‘SUMMON’ was HAND-DELIVERED today at 1:45 pm
Grave State of affairs! pic.twitter.com/p7wVT4Eycq
— Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) April 17, 2023
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সিবিআই-এর পাঠানো নোটিশের ছবি দিয়ে একটি ট্যুইট করেন। ট্যুইটে তিনি লেখেন, “আমাকে ‘টার্গেট’ করে ‘হয়রানি’ করার জন্য ইডি এবং সিবিআইকে আদালত অবমাননা করতে বাধ্য করছে বিজেপি। সুপ্রিম কোর্ট সকালে কলকাতা হাইকোর্টের কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে সংক্রান্ত নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে। অথচ আজ দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে আমাকে ‘সমন’ পাঠানো হয়েছে। বেহাল দশা!” এমনকি এই নোটিশের বিরুদ্ধে পুনরায় দেশের সর্বোচ্চ আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবীরাও। তাঁর আইনজীবীদের বক্তব্য, নোটিশ আসার অনেক আগেই সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ দিয়েছে। ফলে নোটিশের বৈধতা কার্যত নেই বললেই চলে। বরং সিবিআই আধিকারিকরা নিজেরাই দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশকে অবমাননা করছেন।
অন্যদিকে গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে সরাসরি আক্রমণ করে বলেন, একজন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর শপথ নিয়ে তিনি কখনোই বলতে পারেন না ৩৫টি আসন পাবো বাংলায়। ৩৫টি আসন পেলেই সরকার চলে যাবে। তার মানে একজন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নির্বাচিত রাজ্য সরকার ভাঙার চক্রান্ত করছেন। এমনকি বিরোধীদের পিছনে ইচ্ছাকৃতভাবে সিবিআই এবং ইডি লাগিয়ে দেওয়া নিয়েও এদিন তিনি সরব হন। তিনি বলেন, “হামসে যো পাঙ্গা লেগা ও চুর চুর হো যায়েগা।” দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে সিবিআই তলব নিয়েও তীব্র প্রতিবাদ জানান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
এইরকম রাজনৈতিক বিষয়ক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।