Nusrat Jahan: তৃণমূল সাংসদ এবং অভিনেত্রী নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে এবার আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ তুলে প্রতারিতদের নিয়ে ইডির দ্বারস্থ বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পান্ডা
Nusrat Jahan: তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি টাকা নিয়ে প্রতারিত ব্যক্তিদের ফ্ল্যাট দেননি
হাইলাইটস:
- ফের নতুন বিতর্কে নাম জড়ালো তৃণমূল সাংসদ নুসরাত জাহানের
- তাঁর বিরুদ্ধে প্রায় ২৪ কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ উঠে এসেছে
- বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পান্ডার সাথে ইডির দ্বারস্থ প্রতারিত ব্যক্তিরা
Nusrat Jahan: ফের নতুন বিতর্কে নাম জড়ালো অভিনেত্রী সাংসদ নুসরাত জাহানের। কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ-এর অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। ২০১৪ সালে ফ্ল্যাট দেওয়ার নাম করে তাঁর সংস্থা মোট ৪২৯ জনের কাছ থেকে প্রায় ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা করে নিয়েছিল। তবে আজ পর্যন্ত সেই ফ্ল্যাট পাননি তাঁরা। বরং তাঁদের সাথে প্রতারণা হয়েছে বলে এবার ইডির দ্বারস্থ হন প্রতারিত ব্যক্তিরা। গতকাল সন্ধ্যায় বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পান্ডা প্রতারিত ব্যক্তিদের মধ্যে বেশ কয়েকজন সিনিয়র সিটিজেনকে নিয়ে আচমকাই ইডির দফতরে দ্বারস্থ হন।
প্রতারিত ব্যক্তিদের দাবি, ২০১৪ সালে টাকা নেওয়ার সময় নুসরাতের সংস্থা তাঁদের বলেছিল, আগামী ৩ বছরের মধ্যে রাজারহাট হিডকোর কাছে তাঁদের প্রত্যেককে 3BHK করে ফ্ল্যাট দেওয়া হবে। তবে ১০ বছর হতে চলল তাও তাঁরা ফ্ল্যাটও পেল না আর টাকাও ফেরত পেল না। যার ফলে প্রতারিত ব্যক্তিরা প্রথমে গড়িয়াহাট থানায় এফআইআর দায়ের করেছিলেন। তারপর আলিপুর কোর্টে দায়ের করা হয়েছে মামলাটি। তবে শেষ পর্যন্ত কোনও উপায় খুঁজে না পেয়ে কার্যত বাধ্য হয়েই তাঁরা দ্বারস্থ হন ইডির দফতরে।
তবে তাঁদের আরও দাবি, নুসরাতের এই সংস্থায় আরও একজন ডিরেক্টর আছেন। যার নাম রাকেশ সিং। তিনিই তাঁদের বলেছিলেন ফ্ল্যাট দেবেন। প্রতারিত ব্যক্তিদের মধ্যে বেশিরভাগই সিনিয়র সিটিজেন। যার ফলে তাঁদের পাশে এসে দাঁড়ালেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পান্ডা। তিনিই তাঁদের নিয়ে গেলেন ইডির দফতরে। বিজেপি নেতার অভিযোগ, গড়িয়াহাট রোডে সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড নামে যে কোম্পানিটি রয়েছে তাঁর ডিরেক্টর তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান। তিনি আরও অভিযোগ করেন, প্রতারিত ব্যক্তিদের থেকে টাকা নিয়ে নুসরাত নিজের জন্য পাম এভিনিউতে ফ্ল্যাট কিনেছেন।
শঙ্কুদেব পান্ডার কথায়, “আলিপুর আদালত থেকেও বারংবার ডেকে পাঠানো হয়েছে অভিনেত্রী সাংসদ নুসরত জাহানকে। তবে অভিনেত্রী সমন পেয়েও কোর্টে হাজিরা দেননি।” তিনি আরও বলেন, প্রশাসনের তরফ থেকেও নাকি মামলা তুলে নেওয়ার চাপ দেওয়া হচ্ছে প্রতারিত ব্যক্তিদের।
এইরকম রাজনৈতিক বিষয়ক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।