Trending News: হঠাৎই মৃত্যু ঘটে চিতা পবনের, সত্যিই কি জলে ডুবে মৃত্যু হয় নামিবিয়ান চিতার? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
Trending News: চিতা পবনের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ কী? মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা
হাইলাইটস:
- চিতা পবনের মৃত্যুতে উঠছে একাধিক প্রশ্ন
- ২৭শে আগস্ট নিথর অবস্থায় উদ্ধার করা হয় পবনের দেহ
- চিতা পবনের মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে
Trending News: কুনোর জঙ্গলেই জলে ডুবেই মৃত্যু হল পুরুষ চিতা পবনের। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
চিতা পবনের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট অনুসারে জানা যায়, ফুসফুস ও পেটে ঢুকেছিল জল আর বুকে জমাট বেঁধেছিল রক্ত এবং পাচণতন্ত্র ফুলে যাওয়ায় নাক থেকে বেরোচ্ছিল তরল।
We’re now on WhatsApp- Click to join
তবে বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞদের মতে, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট অনুসারে পবনের মৃত্যুর পিছনে অন্য সম্ভাবনা থাকার কিছু উল্লেখ নেই। তবে এভাবে জলে ডুবে মারা যাওয়ার আগে এমন অনেক পরিস্থিতিই তৈরি হতে পারে, যেমন চিতাটি বাঁচার জন্য জলের কাছাকাছি যেতে পারে বা এর মধ্যে বিষক্রিয়ার সম্ভাবনাও থাকতে পারে।
We’re now on Telegram- Click to join
এছাড়া, পবনের একাধিক অঙ্গের নমুনা পাঠানো হয়েছে ফরেন্সিক ল্যাবে। তাঁর কোনও অঙ্গে সংক্রমণ ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে খবর।
২০২২-এর ১৭ই সেপ্টেম্বর নামিবিয়া থেকে মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কে আনা হয়েছিল পবনকে। সেই সময় পবনের নাম ছিল ওবান। প্রথম থেকেই কুনোর জঙ্গলে নজর কেড়েছিল পবন। ছটফটে এবং দ্রুতগামী পবন একটা সময় জঙ্গল ছাড়িয়ে লোকালয়েও পৌঁছেছিল। তাকে ঘেরাও করে জঙ্গলে ফেরাতে নাস্তানাবুদ হয়েছিল কুনো কর্তৃপক্ষ। গত বছরের তীব্র গরমের পরে বর্ষায় ম্যাগট সংক্রমণে তার একের পর এক সঙ্গীসাথী মৃত্যুর হচ্ছিলো, তখনও তরতাজা ছিল চিতা পবন।
গত ২৭শে সেপ্টেম্বর কুনোর জঙ্গলের একটি ঝোপের পাশে জলাশয়ের মধ্যে উদ্ধার হয় পবনের নিথর দেহ। মাস খানেকেরও বেশি সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও এখনও অবধি, কুনো কর্তৃপক্ষ পবনের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ প্রকাশ্যে আনেনি।
একাধিক বিশেষজ্ঞের মতে, শ্বাসনালীতে জল জমে যাওয়ার মতো সমস্যাও এর কারণ হতে পারে।
Read More- গাড়ির আলো পড়তেই দেখা গেল জ্বলজ্বলে দুই চোখ! দার্জিলিঙে ফের দেখা মিলল ব্ল্যাক প্যান্থারের?
পবনের দেহ উদ্ধারের পরে কুনোর ডিরেক্টর উত্তম কুমার শর্মা জানিয়েছেন, কুনোর জঙ্গলের ভিতরে একটি নালার ধারে পবনকে নিথর দেহ পাওয়া যায়। তার মাথা-সহ শরীরের অর্ধেকটাই ছিল জলের ভিতরে। শরীরের কোথাও কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না।
উল্লেখ্য, কুনোর জঙ্গলের ওই নালা সারা বছর জলে ভরা থাকে না। তবে এবছর মধ্যপ্রদেশে প্রবল বৃষ্টির ও বন্যার জেরে ওই নালাও ভর্তি হয়েছিল বলে জানা যায়।
এইরকম আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।