Successful tolly star kids: এই ৫ জন টলি স্টারকিড তাঁদের মা-বাবার থেকেও বেশি সফল বিনোদন জগতে
বহু বছর ধরে একই অভিযোগ উঠে আসছে যে, বিনোদন জগতে স্টারকিডরা অর্থাৎ তারকাসন্তানরা অনেক বেশি প্রাধান্য পায় বিনোদন জগতের বাইরে থেকে আসা অভিনেতা-অভিনেত্রীদের থেকে।
Successful tolly star kids: অভিনয় জীবনের সফলতা তাঁদের মা-বাবাকেও ছাপিয়ে গেছে
হাইলাইটস:
• বলি থেকে টলি সব জায়গাতেই তকমা রয়েছে ‘নেপোটিজম’-এর
• তবে সবার ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য নয়
• কারণ অনেক স্টারকিড আছেন, যাঁরা নিজের মা-বাবার থেকেও বেশি সফল বিনোদন জগতে
Successful tolly star kids: বলিউড থেকে টলিউড সব ইন্ডাস্ট্রিতেই একটি চলতি কথা রয়েছে, তা হল ‘নেপোটিজম’। বহু বছর ধরে একই অভিযোগ উঠে আসছে যে, বিনোদন জগতে স্টারকিডরা অর্থাৎ তারকাসন্তানরা অনেক বেশি প্রাধান্য পায় বিনোদন জগতের বাইরে থেকে আসা অভিনেতা-অভিনেত্রীদের থেকে। এমনও অভিযোগ উঠে, প্রতিভা না থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র স্টারকিড বলে একের পর এক কাজের সুযোগ পান তাঁরা। তবে একথাটি একবারে ঠিক না। কারণ বিনোদন জগতে এমন অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রী আছেন যাঁরা স্টারকিড হয়েও তাঁদের মা-বাবার থেকেও বেশি সফল তাঁদের কেরিয়ারে। এটি অবশ্য বলিউড থেকে টলিউড সব ইন্ডাস্ট্রিতেই দেখা যায়। তবে আজ আমরা এমন ৫ জন টলি স্টারকিডের বলবো যাঁরা সাফল্যের নিরিখে নিজেদের মা-বাবাকেও পিছনে ফেলে দিয়েছেন। দেখে নিন তাঁরা কারা –
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়:
টলিউড ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম সুপারস্টার হলেন অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। টলিউডে তিনি বুম্বা দা নামেই বেশি পরিচিত। তাঁর বাবা হলেন অভিনেতা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়। টলিউড থেকে বলিউড সব ইন্ডাস্ট্রিতেই ভালোই নামডাক ছিল বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের। তবে বিনোদন জগতে বাবা বিশ্বজিৎকেও ছাপিয়ে গেছেন প্রসেনজিৎ। একটা সময় এমন ছিল যে, বাংলা সিনেমা মানেই প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করেছেন তিনি। বুম্বা দা তাঁর কেরিয়ারে এতটাই সফল যে, তাঁকে আর কোনও দিনই পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
রাইমা সেন:
রাইমা সেনকে চেনেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়াও দুষ্কর। তিনি হলেন অভিনেত্রী মুনমুন সেনের বড় মেয়ে। তবে তাঁর দিদিমাকে সকলেই এক নামে চেনেন। তাঁর দিদিমা ছিলেন ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ‘মহানায়িকা’ সুচিত্রা সেন। মুনমুন সেন ‘মহানায়িকা’ সুচিত্রা সেনের মেয়ে হলেও অভিনয় জগতে তিনি তেমন কোনও সাফল্য অর্জন করতে পারেন নি। তবে তাঁর মেয়ে রাইমা সেন সাফল্যের নিরিখে দিদিমাকে টেক্কা দিতে না পারলেও মা-কে ছাপিয়ে গেছেন একথা বলাই বাহুল্য। তবে রাইমা সেন টলিউড থেকে বলিউড দুই ইন্ডাস্ট্রিতে সমান পরিচিতি লাভ করেছেন।
আবীর চট্টোপাধ্যায়:
বাংলা টেলিভিশন জগতের অন্যতম অভিনেতা ফাল্গুনী চট্টোপাধ্যায়ের সুপুত্র হলেন আবীর চট্টোপাধ্যায়। বিনোদন জগতে সাফল্যের নিরিখে ফাল্গুনীবাবুকেও অনেক অংশে ছাপিয়ে গেছেন আবীর। তাঁর বাবা ফাল্গুনীবাবু বর্তমানেও বাংলা অনেক সিরিয়ালে কাজ করেন। তবে পুত্র তো এখন বং ক্রাশ। অভিনেতা আবীর চট্টোপাধ্যায় বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির প্রথম সারির অভিনেতাদের মধ্যে একজন। শুধু তাই নয় ইতিমধ্যে তিনি বলিউডের পা রেখেছেন।
ঋদ্ধি সেন:
অভিনেতা ঋদ্ধি সেন হলেন টলিউড ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম মুখ কৌশিক সেন এবং রেশমি সেনের একমাত্র পুত্র। শুধু তাই নয়, তিনি বাংলা সিনেমার কিংবদন্তী অভিনেত্রী চিত্রা সেনের নাতিও। খুবই কম বয়সে ঋদ্ধি পা রাখেন অভিনয় জগতে। তবে কম বয়সে পা রাখতেও তাঁর অভিনয় দক্ষতার জন্য পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। টলিউড থেকে বলিউড দুই ইন্ডাস্ট্রিতেই পরিচিতি লাভ করেছেন তিনি। যার ফলস্বরূপ তাঁর ঝুলিতে জাতীয় পুরস্কারও এসেছে এত কম বয়সে।
ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়:
ঋতব্রত মুখোপাধ্যায় হলেন বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বিখ্যাত অভিনেতা শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়ের পুত্র। শান্তিলালবাবুকে চেনেন না এমন দর্শক বাংলায় পাবেন না। তিনি খলনায়কের চরিত্রে বিশেষ পরিচিতি লাভ করেছিলেন। বাবার থেকে কোনও অংশে কম যান না ছেলে ঋতব্রত। ঋদ্ধির মতোই খুব কম বয়সে অভিনয় জগতে পা রেখেছিলেন ঋতব্রত। তাঁর প্রথম ছবিটিতে অসাধারণ অভিনয়ের জন্য তাঁকেও আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি।
এইরকম বিনোদন জগতের সমস্ত আপডেট পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।