lifestyle

Stop Loving a Married Woman: আপনি কী কোনও বিবাহিত নারীর প্রেমে মজেছেন? এখনও সময় আছে এই ৫টি কৌশলে নিজেকে সামলে নিন

ভালোবাসার মতো সুন্দর জিনিস পৃথিবীতে আর কোনও কিছু হয় না। তবে পরের স্ত্রীকে ভালোবাসা কিন্তু অনেক বড় অপরাধ।

Stop Loving a Married Woman: সময় থাকতে যদি সামলাতে না পারেন, পরবর্তীকালে মহা বিপদের সম্মুখীন হতে পারেন

হাইলাইটস:

• বিবাহিত নারীর প্রেমে পড়া অনেক বড় অপরাধ

• এই সমস্যা দেখা যায় বেশিরভাগ অবিবাহিত পুরুষদের ক্ষেত্রে

• যার ফলে এই সম্পর্কের কোনও ভবিষ্যৎ নেই

Stop Loving a Married Woman: ভালোবাসার মতো সুন্দর জিনিস পৃথিবীতে আর কোনও কিছু হয় না। তবে পরের স্ত্রীকে ভালোবাসা কিন্তু অনেক বড় অপরাধ। আমাদের দেশ এখনও এতটাও আধুনিক হয়ে যায়নি যে, পরকীয়াকে সকলে হাসি মুখে মেনে নেবে। হ্যাঁ, বিদেশের এইসবের চল আছে, তবে আমাদেরকে তো আমাদের দেশের সংস্কৃতি ভুললে চলবে না।

পরের স্ত্রী মানে, তিনি কারও স্ত্রী এবং তাঁর পরিবারের সম্মান। কারও পরিবারের সম্মান নিয়ে ছেলেখেলা করার কোনও অধিকার আমাদের কারও নেই। আমাদের সমাজ ব্যবস্থা পরকীয়াকে কোনওদিন মেনে নেয়নি এবং ভবিষ্যতেও মেনে নেবে না। অনেক সময় দেখা যায়, অনেক পুরুষই বিবাহিত মহিলার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। এবং পরে তাঁকে ভালোও বেসে ফেলেন। তখন তাঁরা দুজনেই বিবাহিত-অবিবাহিতের পার্থক্যকে কার্যত ভুলতে বসেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই সমস্যাটি দেখা যায়, অবিবাহিত পুরুষদের ক্ষেত্রে। তাঁরা তখন সমাজ কী বলবে তার কোনও পরোয়া করে না।

তবে একটি কথা সব সময় মনে রাখা উচিত, যে বিবাহিত মহিলার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন, তাঁরও যে সংসার আছে। তাই এইরকম অবৈধ সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। আপনিও যদি এইরকম সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন যত দ্রুত সম্ভব, এমন সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসুন। আমরা আপনাকে সাহায্য করার জন্যই এখানে এই কয়েকটি সহজ কৌশল নিয়ে এসেছি, যা আপনাকে সাহায্য করবে এইরকম সম্পর্ক থেকে পিছু ছাড়ানোর। তবে দেরি না করে দেখে নিন টিপসগুলি –

১. এই সম্পর্কের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এইরকম সম্পর্কের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কোনও থাকে না। কারণ বিবাহিত মহিলাটি আপনার সাথে সম্পর্কে থাকলেও, তিনি তাঁর স্বামী এবং সাজানো সংসার ছাড়বেন না। এখানে আপনাকেই বলির পাঁঠা হতে হবে। ফলে এইরকম সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসাই বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ আপনি জানেন এই সম্পর্কের কোনও ভবিষ্যৎ নেই, তবুও যদি পড়ে থাকেন তবে কষ্ট পাবেন আপনি নিজেই। তাই সময় থাকতে নিজেকে শুধরে নিন এবং যত দ্রুত সম্ভব বেরিয়ে আসুন।

২. সমাজ জানলে মহা বিপদ:

আমাদের সমাজ ব্যবস্থা যথেষ্ট উন্নত, তবে পরকীয়াকে স্বীকৃতি দেওয়ার মতো আধুনিক না। সমাজ যদি একবার আপনাদের এই অবৈধ সম্পর্কের কথা জানে, তবে আপনার পরিবার এবং সেই মহিলার পরিবারে এই সম্পর্কটির ব্যাপারে জানাজানি হয়ে গেলে বুঝতেই পারছেন কী হতে পারে। দুই পরিবারের পাহাড় প্রমাণ চাপ এসে পড়বে আপনার উপর। তখন কিন্তু পরিস্থিতি সামলানো আপনার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে। কিন্তু আপনাদের কথা মানুন, এইরকম সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসাই আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্য মঙ্গলময় হবে।

৩. পারলে তাঁকেও বোঝান:

একটি সম্পর্ক তৈরির সময় যেমন দুজন মানুষের সমান মত লাগে, ঠিক তেমনই একটি সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার সময় দুজন মানুষের সমান মতের প্রয়োজন। আপনি সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছেন, তবে আপনার প্রণয়ী এই বিচ্ছেদকে মেনে নিচ্ছে না, তবে কিন্তু আপনার একার পক্ষে সম্ভব না সম্পর্ক ভাঙা। তাই আপনি যদি চান এই সম্পর্কটি থেকে বেরিয়ে আসতে, তবে তাঁকেও এই সম্পর্কটির নেতিবাচক দিকগুলি বুঝিয়ে বলুন। তাঁকে ঠান্ডা মাথায় বোঝান যে, এই সম্পর্কটির কোনও ভবিষ্যৎ নেই। এবং সম্পর্কটি এগিয়ে নিয়ে যেতে গেলে যে, আপনাদের দুজনকেই একাধিক জটিল থেকে জটিলতর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে তাও তাঁকে বুঝিয়ে বলুন। আশা করছি, এইরকম সমস্যার কথা শুনলে তিনি বুঝতে পারবেন। কারণ তাঁরও যে স্বামী রয়েছে, একটি সাজানো সংসার রয়েছে।

৪. যোগাযোগ বন্ধ করুন:

যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করলে অনেক কিছুর সমাধান হতে পারে। আপনি যখন একবার ভেবেই ফেলেছেন এই সম্পর্কটি থেকে বেরিয়ে আসার, তবে আর পিছন ফিরে তাকাবেন না। তাই যত দ্রুত সম্ভব তাঁর সাথে যোগাযোগ বন্ধ করুন। কারণ মায়া বাড়িয়ে যে আর লাভই নেই। আপনি যদি একবার এই বড় পদক্ষেপটি নেন, তবে দেখবেন অনেকটা সুবিধা হয়েছে তাঁকে ভুলে যাওয়ার। এই উপায়েই আপনার মন এবং মাথা থেকে তাঁর স্মৃতি ধীরে ধীরে কেটে যাবে। নিজেকে কিছুটা সময় দিন, কারণ সময় মানুষকে সব কিছু ভুলিয়ে দেয়।

৫. কাছের বন্ধুর থেকে পরামর্শ নিন:

এই কৌশলগুলিও যদি তাঁকে ভোলার কোনও কাজে না লাগে, তবে কাছের বন্ধুর সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলুন। কারণ এইরকম পরিস্থিতিতে একা থাকলে আপনি বিষণ্ণতায় ভুগতে পারেন। তাই তার থেকে ভালো বন্ধুর শেয়ার শেয়ার করুন, দেখবেন মনটাও অনেকটা হালকা লাগবে। অবশ্য বন্ধু কী পরামর্শ দেন, সেটাও শুনে নিন। কাছের বন্ধু যেকালে ভালো পরামর্শই দেবেন।

এইরকম সম্পর্ক বিষয়ক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button