Monsoon Trip in Cherrapunji: দু’দিনের জন্য বর্ষায় চেরাপুঞ্জি ঘুরতে যাওয়ার কথা ভাবছেন? কিন্তু বৃষ্টিতে চেরাপুঞ্জির অপরূপ সৌন্দর্য মাত্র দু’দিনে দেখবেন কী ভাবে?
Monsoon Trip in Cherrapunji: বর্ষাকালে চেরাপুঞ্জির থেকে ভালো গন্তব্যস্থল খুব কম আছে
হাইলাইটস:
- চেরাপুঞ্জি হল অন্যতম আকর্ষণীয় একটি পর্যটনস্থল
- যা বর্ষাকালে আরও মনোমুগ্ধকর হয়ে ওঠে
- আপনি যদি এই বর্ষায় চেরাপুঞ্জি যেতে চান, তবে বিস্তারিত জেনে নিন
Monsoon Trip in Cherrapunji: ঝর্না, পাহাড়, গুহা দিয়ে ঘেরা চেরাপুঞ্জির (Cherrapunji) ব্যাপারে জানেন না, এমন বাঙালি খুব কমই আছে। ছোটবেলায় ভূগোলের বইয়ের পাতায় প্রায় প্রত্যেকেই পড়েছেন এই চেরাপুঞ্জির নাম। যেখানে বিশ্বের সর্বাধিক বৃষ্টিপাত হয়। তবে বর্তমানে বদলেছে পরিবেশ। এমনকি সর্বাধিক বৃষ্টিপাতের স্থানও এখন বদলে গিয়েছে। তবে চেরাপুঞ্জির প্রতি পর্যটকদের আকর্ষণ একফোঁটাও কমেনি।
চেরাপুঞ্জি একটি আকর্ষণীয় পর্যটনস্থল। যা উত্তর-পূর্বের রাজ্য মেঘালয়ে অবস্থিত। খাসি সম্প্রদায়ের মানুষদের সাংস্কৃতিক পীঠস্থান হল এই মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জি। এখানে রয়েছে অজস্র ঝর্না, যা বর্ষায় আরও বেশি আকর্ষণ করে পর্যটকদের। এই সময় সবুজ পাহাড় হয়ে ওঠে আরও সবুজ। বিশেষ করে মেঘলা দিনে নতুন পোশাকে সেজে ওঠে চেরাপুঞ্জি। কিন্তু দু’দিনের ছুটিতে কীভাবে ঘুরবেন চেরাপুঞ্জি, বিস্তারিত আলোচনা করা হল –
We’re now on WhatsApp – Click to join
প্রথম দিন:
প্রথম দিনের শুরুটাই করুন এখানকার প্রধান আকর্ষণ উমশিয়ঙের ডবল ডেকার রুট ব্রিজ (Double Decker Living Root Bridge) দিয়ে। গাছের শিকড় দিয়ে তৈরি হয়েছে এই প্রাকৃতিক সেতু। সত্যি বলতে, প্রকৃতি ও প্রযুক্তির এই মেলবন্ধন আমাকে অবাক করবে।
এবার দুপুরে যেতে পারেন নোগরিয়াত গ্রামে রেনবো ফলস (Rainbow Falls) দেখতে। আগেই বলে রাখা ভালো যে, এটি দেখতে খাড়াই পথে অনেকটা উঠতে হয়। তবে ঝর্ণার অপরূপ সৌন্দর্য দেখে চড়াই পথের ক্লান্তি ভুলে যাবেন আপনি। এই ঝর্ণা ধারেই সেরে নিতে পারেন দুপুরের লাঞ্চ।
তারপর থেকে ঘুরে নিন সোজা চলে যান চেরাপুঞ্জির আর একটি জনপ্রিয় ঝর্ণা নহকালিকাই (NohKaLikai Falls) দেখতে। এই মনোমুগ্ধকর ঝর্ণাটি দেখে বিকেলে চলে যান ঘন সবুজে ঢাকা পাহাড়ি উপত্যকা মাওকডক ডিমপেপ ভ্যালি (Mawkdok Dympep Valley)। নহকালিকাই জলপ্রপাত থেকে এর দূরত্ব প্রায় ২৪ কিলোমিটার মতো। এই উপত্যকা ঘুরেই শেষ করুন আপনার প্রথম দিনের ভ্রমণ।
We’re now on Telegram – Click to join
দ্বিতীয় দিন:
দ্বিতীয় দিনের সকালে ঘুরে নিন মোসমাই কেভ (Mawsmai Cave)। এটি একটি চুনাপাথরের গুহা। গুহায় ফোঁটা ফোঁটা জল পড়ে তৈরি হয় স্ট্যালাকটাইট এবং স্ট্যালাগমাইট। এই গুহাটি বেশ রোমাঞ্চকর। কারণ এই গুহায় যেতে গেলে কোথাও হামাগুড়ি দিয়ে যেতে হয় তো আবার কোথাও একপাশ হয়ে যেতে হয়।
Read more:- আপনি কি এই বর্ষায় পাহাড়ে ভ্রমণের কথা ভাবছেন? তাহলে ঘুরে আসুন উত্তরবঙ্গের এই অফবিট লোকেশন থেকে
এখান থেকে বেরিয়ে চলে যেতে পারেন কাছেই নংথাইমাই ইকো পার্কে। ওখানে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে উপভোগ করুন চারপাশের অপরূপ সৌন্দর্য। তারপর বিকেল ঘুরে নিন আরও একটি গুহা। নাম আরওয়া কেভ (Arwah Cave)। এই গুহার মধ্যে রয়েছে নানা রকম জীবাশ্ম। বহু প্রাচীন এই গুহা।
এবার গুহা থেকে বেরিয়ে ঘুরে নিন এখানকার অন্যতম জনপ্রিয় জলপ্রপাত সেভেন সিস্টার্স (Seven Sisters Waterfall)। সাধারণত বিকেলের দিকে এই জলপ্রপাত দেখতে অপূর্ব লাগে। পাহাড়ের বুক চিরে নেমেছে ৭টি জলধারা। তবে বর্ষায় গেলে এই জলপ্রপাতের জলকণা ছিটকে এসে লাগে গায়ে। তারপর সন্ধ্যেবেলা ঘুরে নিন থাংকারাং পার্ক। ঝর্ণা, গাছপালা ঘেরা এই উদ্যান সান্ধ্যভ্রমণের জন্য একেবারে উপযুক্ত।
এইরকম ভ্রমণ সংক্রান্ত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।