Kunal Ghosh: তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক পদ থেকে অপসারিত কুণাল ঘোষ, অপসারণ নিয়ে মুখ খুললেন তিনি
Kunal Ghosh: কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ তৃণমূলের
হাইলাইটস:
- অপসারিত কুণাল ঘোষ
- বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়ের সাথে মঞ্চ শেয়ার করাই হল কাল
- এই প্রসঙ্গে কি বললেন তিনি?
Kunal Ghosh: বুধবার হঠাৎই তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। ভোটের আবহে আচমকাই তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদকের পদ থেকে সরানো হল কুণাল ঘোষকে। কিন্তু কেন? তৃণমূল সূত্রে জানা যাচ্ছে, বুধবারই উত্তর কলকাতায় অনুষ্ঠিত একটি রক্তদান শিবিরে তাঁকে একমঞ্চে দেখা যায় বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়ের সঙ্গে। শুধু তাই নয়, সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বিজেপি প্রার্থী প্রশংসাও করেন। আর এরপরেই কুণালের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করল তৃণমূল।
বেফাঁস মন্তব্য করার জন্য সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে থাকেন কুণাল ঘোষ। এদিন তাঁর অপসারণ নিয়ে মুখ খুললেন তিনি। গতকাল সন্ধ্যার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কুণাল ঘোষ দাবি করেন, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দলের (তৃণমূল) মুখপাত্র এবং রাজ্য সম্পাদকের পরিচিতি তিনি ব্যবহার করেন না। তিনি তো নিজে থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন। তবে তাঁকে হঠাৎ কেন সরানো হল, তার অর্থ খুঁজে পাচ্ছেন না বলেই জানান কুণাল ঘোষ।
এদিকে বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়ের সঙ্গে মঞ্চ ভাগ নিয়েও এদিন ব্যাখ্যা দেন তিনি। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ওই মঞ্চটি অরাজনৈতিক ছিল। সৌজন্যের খাতিরে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। তাপস রায় যে একজন সত্যিকারের ভালো নেতা, তা দীর্ঘদিন তাঁর সঙ্গে কাজ করেই তিনি বুঝেছেন এবং মঞ্চে সেই অভিব্যক্তিটুকু ব্যাক্ত করেছেন কুণাল ঘোষ।
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) May 1, 2024
এদিন কুণাল ঘোষ নাম না করে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনকে তোপ দাগেন। তিনি বলেন, ‘আমি নিজেই তো থাকতে চাইনি। এক্ষেত্রে আমি মিসফিট তাই অব্যাহতি দেওয়া হোক, তা আগেই বলেছি। এরপরেও ক্যুইজ মাস্টার কীভাবে এই রকম বিবৃতি দেন তা জানি না।’
এমনকি এদিন দেবের প্রসঙ্গও উঠে আসে কুণালের গলায়। তিনি বলেন, ‘যেই মিঠুন চক্রবর্তী দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন তাঁকে যখন দেব বাবার মতো বলেন এবং কিডনিও দিতে পারেন বলে জানান সেই সময় তো ক্যুইজ মাস্টার জেগে ওঠেন না? এখানে আমি কী দোষ করেছি? আজ আমাকে কেন অগ্নিপরীক্ষা দিতে হবে? দলে যাঁরা লড়াকু আছেন তাঁদের কেন অগ্নিপরীক্ষা দিতে হবে? কারও সঙ্গে দেখা হলেই যে রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন উঠবে এমন আবার হয় নাকি?’
We’re now on WhatsApp – Click to join
তবে কুণালের এই মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কুণাল ঘোষের সঙ্গে তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্কের কথা কারও অজানা নয়। সবমিলিয়ে বলা যায়, রাজ্যে তৃতীয় দফা নির্বাচনের আগে কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে দলীয় পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
এইরকম রাজনৈতিক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।