Manna Dey Birth Anniversary: জীবনের জলসাঘরে আজ মান্না দে ১০৫: জন্মদিনে স্মৃতিচারণ কিংবদন্তি শিল্পীর
Manna Dey Birth Anniversary: কিংবদন্তি সঙ্গীত শিল্পী মান্না দে-র জন্মদিনে জানা–অজানা কথা
হাইলাইটস:
- কিংবদন্তি সঙ্গীত শিল্পী মান্না দে-র আজ ১০৫ তম জন্মদিন
- ভারতীয় সঙ্গীত জগতের এই উজ্জ্বল নক্ষত্র তাঁর গানের মাধ্যমে আজও সকলের মনে বেঁচে রয়েছেন
- জন্মদিনে স্মৃতিচারণ ভারতের কিংবদন্তি শিল্পীর
Manna Dey Birth Anniversary: কিংবদন্তি সঙ্গীত শিল্পী মান্না দে-র আজ ১ মে ১০৫ তম জন্মদিন। ভারতীয় সঙ্গীত জগতের এই উজ্জ্বল নক্ষত্র আজও বেঁচে রয়েছেন তাঁর গানে। এখনও তিনি রয়েছেন দেশবাসী, বিশেষত বাঙালির হৃদয়ের বিশেষ স্থানে। জন্মদিনে স্মৃতিচারণ ভারতের কিংবদন্তি শিল্পীর।
শোনা যায় কিংবদন্তি সঙ্গীত শিল্পী মহাম্মদ রফি, মান্না দে-র সবচেয়ে বড় অনুরাগী ছিলেন। বাংলা, হিন্দি, মারাঠি, ভোজপুরি, গুজরাটি, মারাঠি, পঞ্জাবি, মৈথিলি, ওড়িয়া, অসমিয়া, কোঙ্কানি, সিন্ধি, কন্নড়, মালায়ালাম, নেপালি সহ আরও একাধিক ভাষায় তিনি গান গেয়েছেন তিনি। নিজের সঙ্গীত জীবনে প্রায় ৩,৫০০ -র বেশি গান রেকর্ড করেছেন মান্না দে।
https://www.instagram.com/p/BjmB4M1BMri/?igsh=MXN3N2oyZjg1aWllYw==
১৯১৯ সালের ১ মে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন মান্না দে। প্রথমে তাঁর কাকা কৃষ্ণচন্দ্র দে-র কাছে মান্না দে-র সঙ্গীত চর্চার হাতেখড়ি হয়। এরপর ওস্তাদ দাবির খাঁ, উস্তাদ আমান আলি খান এবং উস্তাদ আব্দুল রহমান খানের কাছ থেকে তিনি গান শিখেছিলেন। এরপরে মুম্বইয়ে গিয়ে ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীত পরিচালক শচিন দেব বর্মণের অধীনে সহকারী পরিচালক হিসাবে কাজ করেন। এরপর মান্না দে-র কেরিয়ার শুরু হয় এবং নিজের শাস্ত্রীয় জ্ঞান এবং কণ্ঠের জাদুতে সকলের মন জয় করেছেন।
Read more – https://bangla.oneworldnews.com/lifestyle/lata-mangeshkar-birth-anniversary
অনেকের ধারণা মান্না দে কেবলমাত্র শাস্ত্রীয় সঙ্গীতই গেয়েছেন। তবে অনেক মজার গানও তিনি গেয়েছেন। অত্যন্ত চাপের সময়ও সেই গানগুলি মানুষকে স্বস্তি দিতে পারে। ভারত সরকার তাঁকে ১৯৭১ সালে পদ্মশ্রী, ২০০৫ সালে পদ্মবিভূষণ এবং ২০০৯ সালে দাদাসাহেব ফালকে সম্মানে ভূষিত করেছে৷ আবার পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১১ সালে তাঁকে ‘বঙ্গবিভূষণ’-ও প্রদান করেছে।
তবে অনেকেই জানেন না মান্না দে-র আসল নাম প্রবোধ চন্দ্র দে এবং ডাক নাম ‘মানা’। আর ‘মানা’ নাম থেকেই তিনি হয়ে উঠে ছিলেন মান্না৷ যেই নাম পরবর্তী কালে বিশ্বজোড়া খ্যাতি পায়।
মান্না দে প্রথম জীবনে খেলাধূলা করতে বেশ ভালোবাসতেন৷ কুস্তি, বক্সিংয়ের মতো খেলায় পারদর্শী ছিলেন তিনি। এছাড়া ফুটবল খেলতেও তিনি খুব ভালোবাসতেন।
বাঙালির গর্ব মান্না দে। তাঁর সৃষ্টির মধ্যে সর্বকালের সেরা গানগুলি রয়েছে। তার মধ্যে ‘কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই’ গানটি জানেন না এরকম বাঙালি হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না।
২০১৩ সালে মান্না দে ফুসফুসের সমস্যা নিয়ে ব্যাঙ্গালোরে একটি হাসপাতালের ভর্তি হন। সেই সময়ে তাঁর মৃত্যুর গুজব রটেছিল৷ কিন্তু চিকিৎসকেরাই নিশ্চিত করেন যে এটি ভুয়ো খবর।
এরপর সেই বছরই ২৪শে অক্টোবর কিংবদন্তি মান্না দে জীবন খাতার পাতায় সব হিসেব-নিকেশ চুকিয়ে জীবনের জলসাঘর থেকে চিরবিদায়।
এইরকম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।