Daydreamer Wife: আপনার স্ত্রী কী খোলা চোখেই বড় বড় স্বপ্ন দেখেন? তবে তাকে বাস্তবের সাথে পরিচয় করানোর জন্য আপনাকে এই ৫টি কৌশলের সাহায্য নিতে হবে
এটি অত্যন্ত একটি বদভ্যাস যা সমস্যার সৃষ্টি করে
হাইলাইটস:
•আমরা প্রত্যেকেই স্বপ্ন দেখি, কারণ স্বপ্নতেই মানুষ বেঁচে থাকেন
•তবে দিবাস্বপ্ন দেখা অত্যন্ত খারাপ অভ্যাস
•এইরকম মনোভাব সম্পন্ন মানুষদের বাস্তব জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য নিচে দেওয়া কৌশলগুলি দেখে নিন
Daydreamer Wife: মানুষ মাত্রই স্বপ্ন দেখেন। কারণ স্বপ্নের মাধ্যমেই মানুষ বেঁচে থাকেন। কারণ স্বপ্নতে মানুষ যা দেখেন বাস্তব জীবনে তা কখনোই পূরণ হয় না। অনেকেই স্বপ্নে দেখেন আকাশ ছোঁয়ার, তা বলে কী বাস্তব জীবনে তা কোনওদিনও সত্যি হবে। তাও ভালো লাগে ওই স্বপ্নের দুনিয়ায় বাঁচতে, তবে ঘুমন্ত অবস্থায়। তাই তো স্বপ্ন দেখেই মানুষ আনন্দে থাকার চেষ্টা করেন। তবে দিবাস্বপ্ন (Daydreamer) দেখা কোনও কাজের কথা নয়। এটি অত্যন্ত একটি বদভ্যাস যা জীবনে সমস্যার সৃষ্টি করে। স্বপ্ন দেখার কোনও বাঁধা নেই, তবে দিবাস্বপ্ন দেখা আপনার জীবনে ভয়ঙ্কর বিপদ ডেকে আনতে পারে। কারণ দিবাস্বপ্ন দেখা মানুষরা অলীক ধারণায় বেঁচে থাকেন। তারা খালি বড়ো বড়ো ডায়লগ বাজি করেন, তবে সেই স্বপ্নপূরণ কী ভাবে হবে, সেই সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই। এবার আসল কথা হল, এই বদভ্যাসটি যদি আপনার স্ত্রীর (Daydreamer Wife) মধ্যেও দেখতে পান, তবে এখন থেকেই সাবধান হয়ে যায়। এইরকম মানুষকে বাস্তব দুনিয়ার সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য ৫টি কৌশললের কথা বলা হয়েছে এখানে। দেখে নিন সেগুলি –
১. স্ত্রীকে বেশি করে সংসারের দায়িত্ব দিন:
এইরকম মনোভাব সম্পন্ন মহিলাদের সংসারে মন কম থাকে। কারণ দিনের বেশিরভাগ সময় তারা ডায়লগ বাজিতে মত্ত থাকেন। আর খোলা চোখে বড়ো বড়ো স্বপ্ন দেখে। আপনি যদি আপনার স্ত্রীর মধ্যেও এইরকম বদভ্যাস খুঁজে পান, তাহলে তাকে বেশি করে সংসারের দায়িত্ব দিন। তাকে বলুন সংসার খরচের যাবতীয় হিসাব রাখতে। যদি সে সংসার ঠিক ভাবে চালাতে পারে তবেই সে বাস্তাবের সঙ্গে পরিচয় করতে পারবে। ফলে এই ছোট্ট ট্রিকেই আপনি বাজিমাত করতে পারেন। তখন দেখবেন স্ত্রীর দিবাস্বপ্ন দেখার অভ্যাস পাল্টে গেছে।
২. ভুল শুধরে দিন:
আপনি অত্যন্ত ধৈর্যবান একজন পুরুষ, তাই আজীবন স্ত্রীর সব কথা গিলে নেন। তার ভুল কিছুও তাকে বলেন না। সাবধান মশাই, এখানেই তো ভুলটা করেছেন। তবে এখন থেকে আর সেই ভুল করলে চলবে না। তার বড়ো বড়ো ডায়লগ আর শুনবেন না। তার বদলে তাকে তার ভুলটা ধরিয়ে দিন। আর চেষ্টা করুন তার ভুল শুধরে দেওয়ার। কারণ ভুল শুধরে দেওয়ার দায়িত্বটা আপনারই। এইভাবেই আপনি তাকে বাস্তবের সাথে পরিচয় করাতে পারবেন। ফলে সে আর দিবাস্বপ্ন দেখার কথা মাথাতেও আনবেন না।
৩. তাকে ভালো করে বোঝান:
আপনার উচিত দিবাস্বপ্নের খারাপ দিকগুলি নিয়ে স্ত্রীর সাথে আলোচনা করা। স্ত্রীকে পাশে বসিয়ে যথেষ্ট যুক্তি দিয়ে দিবাস্বপ্ন দেখার খারাপ দিকগুলি তাকে বোঝান। আর মাথা মাথায় তাকে বলুন, যাতে সে দিবাস্বপ্ন দেখা বন্ধ করে দেয়। এই ধরনের ভ্রান্ত ধারণা মনে রাখলে আগামীদিনে তিনিই সমস্যায় পড়বেন, সে ভালো করে তাকে বোঝান, অবশ্যই তিনি বুঝবেন। এইভাবেই আপনি তার মানসিকতা পরিবর্তন আনতে পারবেন।
৪. শুধু মুখে না, কাজে করেও দেখাতে বলুন:
দিবাস্বপ্নতে মত্ত মানুষরা খালি মুখের বড়ো বড়ো ডায়লগ দিতে পারে, কাজের বেলা অষ্টরম্ভা। সে যে ডায়লগ বাজিটি করে, সেই কাজটি যে বাস্তব জীবনে কোনওদিনও পূর্ণ হবে তারও কোনও দিশা তাদের কাছে নেই। কারণ তারা তো স্বপ্নের দুনিয়ায় আছেন। তাই যখনই সে এইরকম কোনও কথা বলবেন তখনই তাকে ঘুরিয়ে প্রশ্ন করুন, এই কাজটি সে বাস্তব জীবনে কোবে করতে পারবেন। আপনার এইরকম প্রশ্ন করাতে সে হতভম্ব হয়ে যাবে। হয়তো সুবুদ্ধি এলেও আসতে পারে। এই ট্রিকটিও কাজে লাগাতে পারেন।
৫. বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন:
এই কৌশলগুলিতেও কাজ না হলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। আপনার স্ত্রীর দিবাস্বপ্নের কথা বাইরের লোকজন জানতে পারলেও যে হাসাহাসি করবে। তাই সময় থাকতেই সাবধান হয়ে যান। তাকে নিয়ে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যান এবং তারপরই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। এমনকি প্রয়োজনে থেরাপিরও সাহায্য নিন। এইভাবেই আপনাদের দাম্পত্য জীবন সুখের হবে।
এইরকম সম্পর্ক বিষয়ক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।