নিরামিষ তরকারি ছানার ডালনা বানানোর সহজ রেসিপি
নিরামিষ রান্নাও যেনও মুখে জল এনে দেয়
যে কোনও আমিষ রান্নার থেকে নিরামিষ রান্না অনেক বেশি কঠিন কিন্তু সুস্বাদুও বটে! অনেকেই আছেন যারা বলেন নিরামিষটা ঠিক মুখে রোচে না। তাই নিরামিষ শুনলেই মুখ ঘুরিয়ে নেওয়ার কিছু নেই। নিরামিষ রান্নার নাম শুনলে যাঁরা নাক সিঁটকোন তারা আদতে খাদ্যরসিক নন। শুধু তাই নয় অনেকক্ষেত্রে রান্নার প্যাঁচ কৌশলও ঠিক করে জানেন না। আবার অনেকে আছেন যারা গায়ের জোর দেখাবেন বলেই বাড়িতে নিরামিষের দিন জোর করে একটা ডিম ভেজে হলেও খান। এখনকার দিনে প্রায় সকলেরই হেঁশেল যাত্রা শুরু হয় ডিমের পোচ, অমলেট কিংবা চিকেন কষা দিয়ে। চিকেন কিংবা মটনের যে কোনও পদ কিন্তু অনেক সহজেই বানানো যায়। তুলনায় মাছ রান্না করা একটু কঠিন। আর খাঁটি বাঙালি নিরামিষ হেঁশেল সামলানো কিন্তু আরও বেশি কঠিন।
চটজলদি পাস্তা, চিকেনের ভিড়ে হারিয়ে যেতে বসেছে বাঙালির পুরনো ঐতিহ্য। মাছ, মাংস তো অনেক হল, এবার না হয় একটু নিরামিষ কিছু হোক। অনেক সময় দুধ জ্বাল দিতে গিয়ে কেটে যায়। সেই দুধ দিয়ে কী বানানো যায় তা ভাবতে গিয়ে মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড়। এমন দিনে বানিয়ে নিন ছানার ডালনা। সামান্য ঘি, ঘরম মশলা, হিং ফোড়নের সুবাসেই অতুলনীয় হয়ে ওঠে এই রান্নার স্বাদ। বানানো সহজ আর ভাত, রুটি, পোলাও যে কোনও কিছুর সঙ্গেই বেশ ভালো লাগে।
ছানার ডালনা তৈরির উপকরণ:
•১ টেবিল চামচ ঘি
•২৫০ গ্রাম কিউবড কটেজ পনির (পনির)
•১টি মাঝারি কিউব করা আলু
•ভাজার জন্য পরিমানমত তেল
•১/৪ চা-চামচ হলুদগুঁড়ো
•১ চা-চামচ আদা বাটা
•২-৩টি কাঁচালঙ্কা
•পরিমানমত লবণ
•১/২ চা-চামচ জিরে বাটা
•১/২ কাপ দুধ
•১/২ চা-চামচ জিরা
•১/২ চা-চামচ চিনি
•১/২ চা-চামচ গরমমশলা গুঁড়ো
•১ কাপ জল
ছানার ডালনা তৈরির পদ্ধতি:
১. প্রথমে তেল গরম করে আলুগুলি হালকা ভেজে তুলে রাখুন।
২. সেই একই তেলে পনির ভাজুন এবং গরম জলে রাখুন।
৩. একটি পাত্রে ঘি গরম করুন, জিরার সাথে মেশান এবং এটি ছড়িয়ে দিন।
৪. জিরা বাটাতে সামান্য জল দিয়ে আদা বাটা ও হলুদ গুঁড়োর সাথে মিশিয়ে নিন। তারপর মশলাটি ২ মিনিট ধরে ভাজুন।
৫. ভাজা আলু, কাঁচালঙ্কা, গরমমশলা গুঁড়ো, চিনি এবং লবণ মিশিয়ে ঢেকে দিন এবং আলু সিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
৬. জল থেকে পনির নামিয়ে আলুতে মিশিয়ে দিন।
৭. দুধ এবং অবশিষ্ট জলে মেশান এবং আরও ২ থেকে ৩ মিনিট সিদ্ধ হতে দিন (কম তাপমাত্রায় ধীরে ধীরে ফুটতে দিন)।
৮. তারপর গরম গরম পরিবেশন করুন।