lifestyle

Sleep hygiene in children: দুপুরে খাওয়ার পড়েই কি ভাত-ঘুম দেয় সন্তান? বাবা-মায়ে হিসাবে আপনার জেনে রাখা দরকার এই অভ্যাস আদেও ভালো কি না!

দুপুরে খাওয়ার পর দেহে ইনসুলিনের ক্ষরণ বেড়ে যাওয়ায় ঘুমের সহায়ক বেশ কিছু হরমোন নির্গত হয়। এই হরমোনগুলি মানব মস্তিষ্কে সেরোটোনিন ও মেলাটোনিনে পরিণত হয়, যা আলস্যতা আরও বাড়িয়ে দেয়।

Sleep hygiene in children: শুধু বড়রা নয়, দুপুরে ভাত খেয়ে ঘুমোনোর অভ্যাস আছে অনেকে শিশুরও

হাইলাইটস:

  • বাঙালির কাছে ভাত-ঘুমের চেয়ে আরাম আর কিছুই নেই
  • বড় থেকে ছোট সকলেই দুপুরে খাওয়ার পর বিছানায় একটু গড়িয়ে নেয়
  • কিন্তু আপনি কি জানেন, এই অভ্যাস তার জন্য আদেও ভালো কি না?

Sleep hygiene in children: বড় থেকে ছোট, বাঙালি মানেই ভাত-ঘুম দিতে পছন্দ করেন সকলেই। দুপুরে খাওয়ার পরে কিছুক্ষণ যদি গড়িয়ে নেওয়া না যায়, তবে যেন তৃপ্তি আসে না। বড়রা ভাত-ঘুম দিচ্ছেন তাও ঠিক আছে, তা বলে বাড়ির খুদে সদস্যটিরও কি দুপুরে খেয়ে উঠে ঘুমনোর অভ্যাস রয়েছে? আপনি কি জানেন এমন অভ্যাস আদেও ভালো কি না?

We’re now on WhatsApp – Click to join

Sleep hygiene in children

দুপুরে খাওয়ার পর দেহে ইনসুলিনের ক্ষরণ বেড়ে যাওয়ায় ঘুমের সহায়ক বেশ কিছু হরমোন নির্গত হয়। এই হরমোনগুলি মানব মস্তিষ্কে সেরোটোনিন ও মেলাটোনিনে পরিণত হয়, যা আলস্যতা আরও বাড়িয়ে দেয়। তাই মনোবিদরা মনে করেন, শরীর যদি খুব ক্লান্ত থাকে বা রাতে ঠিক মতো ঘুম না হয়, তা হলে দুপুরে ৩০ মিনিটের মতো ঘুমোনো যেতেই পারে। এতে শরীর চাঙ্গাই থাকে। কিন্তু খুব যদি প্রয়োজন না থাকে, তা হলে ঘুমোনোর দরকার নেই। বিশেষ করে বাড়ির ছোটদের ভাত-ঘুমের অভ্যাস না করানোই বুদ্ধিমানের কাজ। এতে ওদের আলসেমি আরও বেড়ে যেতে পারে। এদিকে কোন বয়সের শিশু কতটা ঘুমোবে, তারও একটা হিসাবও আছে।

• ৩ মাস অবধি দিনে ১৪-১৭ ঘণ্টা ঘুম জরুরি।

• ৪ থেকে ১২ মাসে ১২-১৬ ঘণ্টা ঘুমোতে হবে।

• ১ থেকে ২ বছরের শিশুর সারা দিনে ১১-১৪ ঘণ্টা ঘুমের দরকার।

• ৩ থেকে ৫ বছরে বাচ্চাদের ১০-১৩ ঘণ্টা ঘুম জরুরি।

• স্কুল পড়ুয়া ৬-১৩ বছরের বাচ্চাদের ৯-১২ ঘণ্টা ঘুম দরকার।

Sleep hygiene in children

We’re now on Telegram – Click to join

মনোবিদদের মতে, রাতে পর্যাপ্ত ঘুম হলে দুপুরে আর ভাত-ঘুমের প্রয়োজন পড়ে না। বরং ওই সময়ে নানা কাজে ব্যস্ত রাখতে হবে খুদেকে। কী কী কাজ?

• খেয়ে উঠে প্রথম কাজ হল কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করা। ঘরের ভিতরে, বাড়ির উঠোনে, ছাদে কিংবা যে কোনও জায়গায় হাঁটা যেতে পারে। এতে হজমশক্তি আরও ভালো হবে।

• দুপুরে গল্পের বই পড়ানোর অভ্যাস করাতে পারেন শিশুকে। বই পড়ার ইচ্ছা না থাকলে ছবি আঁকতে পারে। মোবাইল, ট্যাব, কম্পিউটার বা অন্য কোনও বৈদ্যুতিন ডিভাইসে চোখ না রেখে বরং সৃজনশীল কাজের অভ্যাস করাতে পারলে ভবিষ্যতে শিশুর ভালো হবে।

• বিকেলের দিকে ব্যায়াম, শরীরচর্চা বা পার্কে গিয়ে হাঁটা, স্পট জগিং করতে পারলে শরীর ভালো থাকবে। এর পাশাপাশি শরীরের ক্লান্তি দূর হবে, আলস্যতাও কাটবে।

• দুপুরের দিকে অনেকে বাচ্চারই অল্প খিদে পায়। তাই ওই সময়ে কোনও রকম ভাজাভুজি, চিপস বা চকোলেট হাতে না দিয়ে, ফ্রুট স্যালাড বা টক দই খাওয়াতে পারেন। এছাড়া বিভিন্ন রকম বাদাম, ড্রাই ফ্রুটসও দিতে পারেন তাকে।

Read more:- আপনার বাচ্চা কি একদমই পড়তে বসতে চায় না? শিশুকে পড়ায় মনোযোগী করতে এই সহজ টোটকাগুলি মেনে চলুন

• একটি বিষয় মাথায় রাখবেন, শিশু দুপুরের দিকে যেন পর্যাপ্ত পরিমানে জল খায়। কারণ শরীরে জলশূন্যতা দেখা দিতে ক্লান্তি বাড়বে। ফলে সেই সময় ফ্রুট জুস বা ডিটক্স পানীয়ও খাওয়াতে পারেন।

• যদি শিশুকে খুব ভোরে উঠে স্কুল যেতে হয় এবং বেলার দিকে সে ক্লান্ত বোধ করে, তা হলে ৩০ মিনিটের জন্য তাকে বিশ্রাম দিতে পারে।

এই রকম জীবনধারা বিষয়ক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Back to top button