health

International Women’s Day: এই বিপজ্জনক এবং ঘাতক রোগগুলিতে মহিলারা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হন, নিজেকে রক্ষা করার উপায় জানুন

সংসার এবং অফিসের বিভিন্ন দায়িত্বের কারণে নারীরা সঠিকভাবে নিজেদের যত্ন নিতে পারেন না। যার কারণে তাঁদের রোগের ঝুঁকিও বেড়েছে।

International Women’s Day: রোগ কখনই নারী-পুরুষ বিচার করে না, তবে কিছু রোগ মহিলাদের জন্য খুবই বিপজ্জনক এবং জীবনঘাতী হতে পারে

হাইলাইটস:

  • বর্তমান সময়ে মহিলারা নানা ধরণের শারীরিক ও মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হওয়ার কারণে মহিলারা বিভিন্ন রোগের ঝুঁকিতে পড়েন
  • ব্যস্ত জীবনযাত্রা এবং খারাপ খাদ্যাভ্যাসের কারণে অনেক গুরুতর রোগের ঝুঁকিও বেড়েছে

International Women’s Day: ৮ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। বর্তমান সময়ে মহিলারা নানা ধরণের শারীরিক ও মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। কারণ তারা পুরুষদের তুলনায় শারীরিকভাবে দুর্বল। যার কারণে তাঁরা প্রায়শই রোগে জর্জরিত থাকেন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হওয়ার কারণে মহিলারা বিভিন্ন রোগের ঝুঁকিতে পড়েন। ব্যস্ত জীবনযাত্রা, অবনতিশীল জীবনধারা এবং খারাপ খাদ্যাভ্যাসের কারণে অনেক গুরুতর এবং মারাত্মক রোগের ঝুঁকিও বেড়েছে।

We’re now on WhatsApp – Click to join

সংসার এবং অফিসের বিভিন্ন দায়িত্বের কারণে নারীরা সঠিকভাবে নিজেদের যত্ন নিতে পারেন না। যার কারণে তাঁদের রোগের ঝুঁকিও বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, আসুন জেনে নিই মহিলারা আক্রান্ত হন এমন কিছু বিপজ্জনক এবং প্রাণঘাতী রোগ এবং তাদের প্রতিরোধ সম্পর্কে…

১. স্তন ক্যান্সার (Breast Cancer)

স্তন ক্যান্সার মহিলাদের মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ ক্যান্সার। পরিসংখ্যান অনুসারে, ভারতে প্রতি চতুর্থ মিনিটে একজন মহিলা এই ক্যান্সারের শিকার হন এবং প্রতি ৮ মিনিটে একজন মহিলা এর কারণে মারা যান।

কীভাবে এড়ানো যায়

• নিয়মিত চেকআপের জন্য ম্যামোগ্রাফি করান।

• স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখুন।

• নিয়মিত ব্যায়াম করুন।

• অ্যালকোহল এবং সিগারেট থেকে দূরে থাকুন।

২. সার্ভাইক্যাল ক্যান্সার (Cervical Cancer)

বিশ্বে প্রতি দুই মিনিটে একজন মহিলা সার্ভাইক্যাল ক্যান্সারে মারা যাচ্ছেন। স্তন ক্যান্সারের পরে, এটি ভারতের মহিলাদের মধ্যে দ্বিতীয় সবচেয়ে বিপজ্জনক ক্যান্সার। সার্ভাইক্যাল ক্যান্সার হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাসের (Human Papillomavirus) কারণে ছড়িয়ে পড়ে।

কীভাবে এড়ানো যায়

• এইচপিভি ভ্যাকসিন নিন।

• নিয়মিত নিজের পরীক্ষা করান।

• নিরাপদ যৌনতা করুন।

• ধূমপান করবেন না।

• স্বাস্থ্যকর খাবার খান এবং ব্যায়াম করুন।

৩. জরায়ুর ক্যান্সার (Uterine Cancer)

জরায়ু ক্যান্সার হল আরেকটি বিপজ্জনক রোগ যা মহিলাদের মধ্যে দেখা যায়। এর লক্ষণগুলির মধ্যে থাকতে পারে পেলভিক ব্যথা, পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত রক্তপাত, মেনোপজের পরেও রক্তপাত, প্রস্রাব বা যৌন মিলনের সময় অসহ্য ব্যথা।

কীভাবে এড়ানো যায়

• নিয়মিত নিজেকে পরীক্ষা করান।

• স্বাস্থ্যকর খাবার খান এবং নিয়মিত ব্যায়াম করুন।

• ধূমপান বা অ্যালকোহল পান করবেন না।

We’re now on Telegram – Click to join

৪. পিসিওএস এবং পিসিওডি (PCOS/PCOD)

পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS) বা পলিসিস্টিক ওভারি ডিজিজ (PCOD) মহিলাদের আরেকটি বিপজ্জনক রোগ। এগুলো হরমোনজনিত ব্যাধি, যা ডিম্বাশয়ে সিস্টের কারণে হয়। এর কারণে, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয় এবং পিরিয়ডের সময় সমস্যা তৈরি করে।

কীভাবে এড়ানো যায়

• আপনার খাদ্যতালিকায় তাজা ফল, শাকসবজি, গোটা শস্য এবং চর্বিহীন প্রোটিন অন্তর্ভুক্ত করুন।

• দিনে কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন।

• আপনার ওজন বাড়তে দেবেন না।

• চাপ মুক্ত থাকুন।

• কোনও সমস্যা দেখা দিলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

৫. হৃদরোগ (Heart Disease)

পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে হৃদরোগের হার ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। চিকিৎসকরা বলছেন যে গত ৫ বছরে মহিলাদের মধ্যে ১০% হৃদরোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর বেশিরভাগ উচ্চ শ্রেণীর মহিলা ব্যবসায়ী এবং পেশাদার। এর প্রধান কারণ হল অতিরিক্ত চাপ নেওয়া।

কীভাবে এড়ানো যায়

• খুব বেশি চাপ নেবেন না।

• শারীরিক কার্যকলাপ করুন।

• প্রতিদিন যোগব্যায়াম, ধ্যান অথবা ব্যায়াম করুন

• স্বাস্থ্যকর খাবার খান।

• মদ্যপান এবং ধূমপান এড়িয়ে চলুন।

• উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করুন।

৬. ডায়াবেটিস (Diabetes)

ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ যা পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের জন্য বেশি বিপজ্জনক হতে পারে। এর প্রভাব সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উপর দেখা যায়। এটি একটি নীরব ঘাতকের মতো, যা ধীরে ধীরে শরীরকে দুর্বল করে দেয়। এতে মৃত্যুর ঝুঁকিও রয়েছে। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মহিলাদের হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি থাকে।

কীভাবে এড়ানো যায়

• আপনার খাদ্যাভ্যাস উন্নত করুন।

• চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

• প্রতিদিন ব্যায়াম করুন।

• মদ্যপান এবং ধূমপান করবেন না।

• নিয়মিত আপনার সুগার লেভেল পরীক্ষা করুন।

৭. অস্টিওপোরোসিস (Osteoporosis)

ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ এন্ডোক্রিনোলজি অ্যান্ড মেটাবলিজমে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, ৫০ বছরের বেশি বয়সী ২৪.৬% পুরুষ এবং ৪২.৫% মহিলা অস্টিওপোরোসিসে ভুগছেন। এতে হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে। মেনোপজের পর হাড়-রক্ষাকারী হরমোন ইস্ট্রোজেন দ্রুত হ্রাস পেতে শুরু করে, যা বিপজ্জনক হতে পারে।

Read more:- বয়স ২৫ পেরনো মাত্রই মহিলারা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলুন চিকিৎসকের এই পরামর্শগুলি, তাহলেই সুস্থ থাকার পথ প্রসস্থ হবে

কীভাবে এড়ানো যায়

• দুগ্ধজাত খাবার খান।

• ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ ফল খান।

• অবশ্যই ভিটামিন ডি গ্রহণ করুন। এর জন্য কিছুক্ষণ রোদে বসে থাকুন।

স্বাস্থ্য এবং জীবনধারা সংক্রান্ত আরও প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Back to top button