West Bengal Legislative Assembly: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে উত্তাল বিধানসভা! বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব বিজেপির

West Bengal Legislative Assembly: যাদবপুর কাণ্ডে বিধানসভায় জোর তরজা ব্রাত্য-শুভেন্দুর

হাইলাইটস:

  • বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব আনে বিজেপি
  • রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মুলতুবি প্রস্তাবটি পাঠ করেন
  • বিধানসভার অধ্যক্ষ প্রস্তাবটি গ্রহণ করেন

West Bengal Legislative Assembly: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনা টেনে বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব আনল রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল। বিধানসভার অধ্যক্ষ প্রস্তাবটি গ্রহণ করেন। বিধানসভায় প্রস্তাবটি পাঠ করেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।

এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “দেশবিরোধী কথা বলা ব্যক্তিদের ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসিটিভি বসানো-সহ যে সমস্ত নির্দেশিকা হাইকোর্ট দিয়েছিল, তা মানা হয়নি। কেন আদালতের নির্দেশিকা মানা হয়নি, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর কাছ থেকে সেটা জানতে চাই।” পাশাপাশি তাঁর মন্তব্য, “প্রাক্তণ উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তীকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছিলেন প্রাক্তণ শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।”

যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা নিয়ে ৪টি প্রধান প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু অধিকারী –

১) হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুরের নির্দেশিকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন কার্যকর করা হয়নি?

২) প্রাক্তন উপচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তীকে কেন পদ থেকে সরানো হয়েছিল?

৩) ব়্যাগিং আটকাতে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে?

৪) র‍্যাগিং রুখতে রাজ্য সরকার কি ব্যবস্থা গ্রহণ করছে?

পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এর উত্তরে বলেন, “যা ব্যবস্থা নেওয়ার আমরা নিচ্ছি। রাঘবেন্দ্র কমিটির সুপারিশ কার্যকরের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে তারপরেও সারা দেশেই অনেক কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও ব়্যাগিং বন্ধ করা যায়নি। সম্প্রতি খড়গপুর আইআইটিতেও এমন ঘটনার খবর প্রকাশ্যে এসেছে। শুভেন্দু অধিকারী এই সময় বলেন, “ব়্যাগিংকে সমর্থণ করছেন আপনি। বিভাজন করছেন আপনি।”

জবাবে শিক্ষা মন্ত্রী বলেন, “নিজের ইচ্ছামতো রাজ্যপাল উপাচার্য নিয়োগ করছেন। কিছুদিন আগেই যে ভাবে রাজ্যপাল ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে সরিয়েছেন। আমি তো মনে করছি এই ঘটনার জন্য একশো শতাংশ দায়ী রাজ্যপাল। রাজ্যপালের নির্ধারন করা নতুন উপাচার্য আসার পরে ইউজিসিকে যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে তাতে তো ইউজিসি সন্তুষ্ট হয়নি। আমি মুক্ত চিন্তার পক্ষে। কিন্তু স্বাধীনতা ও স্বেচ্ছাচারিতার মধ্যে একটা তফাৎ আছে সেটা বোঝা উচিৎ।”

রাজ্য সংক্রান্ত এইরকম গুরুত্বপূর্ণ আপডেট পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.