Vaginal Skin Health: যোনির সুস্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে নিয়মিত সাবান বা ইন্টিমেট ওয়াশ দিয়ে পরিষ্কার করা কী উচিত?

Vaginal Skin Health: ত্বক ও চুলের পাশাপাশি অত্যন্ত জরুরি যোনির সুস্বাস্থ্য বজায় রাখা

 

হাইলাইটস:

  • দেশের মধ্যে এখনও অনেক মহিলাই আছেন যারা যোনির সুস্বাস্থ্য বজায় রাখা সম্পর্কে কিছুই জানেন না
  • তবে অনেকে আবার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে গিয়ে সাবান বা ইন্টিমেট ওয়াশ ব্যবহার করেন
  • আপনি কী জানেন এইগুলি যোনির পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে নিরাপদ কী না?

Vaginal Skin Health: শরীরের অন্যান্য অংশের সুস্বাস্থ্য যেমন বজায় রাখা জরুরি, তার থেকেও বেশি জরুরি যোনির সুস্বাস্থ্য বজায় রাখা। একথা সকলেরই জানা যে, যোনির সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার টিপস হল হাইজিন মেন্টেন করা। তবে এই হাইজিন মেন্টেন করতে গিয়ে অনেকেই সচেতনতার অভাবে ভুল নিয়মে যোনি পরিষ্কার করে চলেছেন বা নিয়মিত সাবান ব্যবহার করছেন। যার ফলে নানারকম সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে চলেছে। আপনি জেনে নিন কী ভাবে সঠিক উপায়ে যোনির সুস্বাস্থ্য বজায় রাখবেন –

We’re now on WhatsApp – Click to join

পরিষ্কার করা কী আদেও প্রয়োজন?

রূপ বিশেষজ্ঞদের মতে, “The vagina is a self-cleaning organ” অর্থাৎ যোনি সেলফ ক্লিনিং করে নিতে পারে। তাই প্রতিদিন বারবার এই সূক্ষ্ম অংশটি ঘষে ঘষে পরিষ্কার করার কোনও দরকারই নেই। তাছাড়া দেহের এই গোপনীয় অংশের একটি নির্দিষ্ট পিএইচ মাত্রাও রয়েছে। আপনি যদি সেই অংশ বারবার পরিষ্কার করেন তবে পিএইচ-এর ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই যোনির (Vagina) ভিতরের অংশ বারবার ক্লিনজিং না করাই ভালো।

কোন অংশগুলি ক্লিনজিং করা জরুরি জেনে নিন:

যোনির বাইরের অংশগুলি আপনি ক্লিনজিং করতেই পারেন। ক্লিটোরিস এবং ল্যাবিয়াকে নিয়মিত পরিষ্কার রাখলে আপনার গোপনাঙ্গের সুস্বাস্থ্য বজায় থাকে। তবে মনে রাখবেন, এক্ষেত্রে ভুলেও সাবানের ব্যবহার করবেন না। কারণ সাবানের ব্যবহারে ক্ষতির আশঙ্কা থাকতে পারে। এমনকি সংক্রমণ পর্যন্তও হতে পারে।

তাহলে কী ভাবে যোনি পরিষ্কার রাখবেন?

ভালভা ক্লিনজিং করার জন্য আপনার শুধুমাত্র দরকার ঈষদুষ্ণ গরম জল। তাই একটি পাত্রে পরিমাণ মতো ঈষদুষ্ণ গরম জল নিয়ে একটি পরিষ্কার সুতির কাপড় ওই গরম জলে ভিজিয়ে আপনার যোনির চারধার ভালো করে পরিষ্কার করে নিলেই যথেষ্ট। তবে একইসঙ্গে ল্যাবিয়া এবং ক্লিটোরিসের অংশও ভালো করে মুছুন। তারপর আরও একটি শুকনো কাপড় দিয়ে যোনির চারধার আরেকবার মুছে নিন। দিনে ২-৩ বার এই নিয়মে যোনি ক্লিনজিং করলেই আপনার গোপনাঙ্গের সুস্বাস্থ্য বজায় থাকবে।

সাবান কী ক্ষতিকারক?

বেশিরভাগ চিকিৎসকের মতে, কোনও সুগন্ধি সাবান বা বাজারচলতি ভ্যাজাইনাল সোপ গোপনাঙ্গের ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ যোনি নিজেই নিজেকে পরিষ্কার রাখতে পারে। তাই সেই অংশে বারবার সাবান দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। তাছাড়া যোনিপথে থাকে প্রচুর ‘ভালো ব্যাকটেরিয়া’, যেগুলি গোপনাঙ্গের ভিতরে পিএইচ-এর মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এদিকে সাবান দিলে এই পুরো সিস্টেমটাই নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

সুগন্ধি ব্যবহার করা কী ঠিক?

প্রত্যেকে মহিলার যোনিরই একটি অনন্য গন্ধ রয়েছে। তবে এই গন্ধকে খারাপ বলে ধরে নেওয়ার কোনও মানেই হয় না। আর সেই অংশে সুগন্ধ বজায় রাখার জন্য কোনও সুগন্ধি ব্যবহারেরও কোনও দরকার নেই। এই প্রাকৃতিক বিষয়টিকে স্বাভাবিক হিসেবে ধরে নেওয়াই হবে আসল বুদ্ধিমানের কাজ।

উল্লেখ্য, সাবান বা বাজারচলতি ইন্টিমেট ওয়াশ ব্যবহার করলে যোনির পিএইচ-এর মাত্রার হেরফের হতে পারে। যার ফলে গোপনাঙ্গে হতে পারে চুলকানি, জ্বালা এবং ব়্যাশ। শুধু তাই নয়, সেই সঙ্গে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে নানারকম সংক্রমণও। কিন্তু মনে রাখবেন, আপনার যোনি দিয়ে যদি সবসময়ই খারাপ গন্ধ ছাড়ে বা গোপনাঙ্গের ভিতরে সব সময়ে জ্বালা-চুলকানি হতে থাকে তবে দেরি না করে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

এইরকম বিউটি এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কিত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Sanjana Chakraborty

Professional Content Writer

Leave a Reply

Your email address will not be published.