Bad Effects Of Drinking Too Much Water: তীব্র গরমে শরীরকে সুরক্ষিত রাখতে অত্যাধিক জলপান করছেন? সাবধান! নিজের অজান্তেই ডেকে আনছেন সমস্যা

Bad Effects Of Drinking Too Much Water: মাত্রারিক্ত জলপানের ফলে দেখা দিচ্ছে একাধিক শারীরিক জটিলতা

 

হাইলাইটস:

• প্রবল দাবদাহে শরীরকে সুরক্ষিত রাখতে অনেকেই মাতারিক্ত জলপান করেন

• প্রয়োজনের অধিক জলপান ডেকে আনছে একাধিক সমস্যা

• পরিস্থিতি জটিলতর হয়ে গিয়ে হাসপাতালেও ভর্তি হওয়ার সম্ভবনা থাকে

Bad Effects Of Drinking Too Much Water: হাওয়া অফিস জানাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে এই মুহূর্তে মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করেছে। তবে আবহাওয়ার দিকে তাকালে একেবারেই বোঝা যাচ্ছে না সেই কথা। প্রায় সারাদিনই মেঘাচ্ছন্ন আকাশ। কিন্তু সেই ভাবে অঝোর ধারায় বৃষ্টির দেখা মিলছে না। যদিও বা দু-এক পশলা বৃষ্টি হচ্ছে, গরম একেবারেই কমছে না তাতে।

আবহাওয়ার এই অবস্থার কারণে জলের মতো ঘাম বেরচ্ছে শরীর থেকে। তাই এইরকম পরিস্থিতিতে শরীরকে সুরক্ষিত রাখার জন্য জলপানের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছেন অনেকেই। অনেকে তো আবার এক কদম এগিয়ে দিনে ৭ থেকে ৮ লিটার জলও পান করছেন। আর এই দেখেই চোখ কপালে উঠছে চিকিৎসকদের। কারণ প্রয়োজনের অধিক জলপানও শরীরের ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। এক্ষেত্রে পিছু নিতে পারে নানা রকম শারীরিক জটিলতা। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক মাত্রারিক্ত জলপানের নেতিবাচক দিকগুলি সম্পর্কে।

১. মাথার যন্ত্রণার কারণ:

মাত্রারিক্ত জলপানের কারণে শরীরে যেই সমস্যাগুলি দেখা দেয় সেগুলিকে ডাক্তারি পরিভাষায় ‘ওয়াটার ইনটক্সিফিকেশন’ বলা হয়। প্রয়োজনের অতিরিক্ত জলপান করলে প্রথমেই যেই সমস্যাটি আপনার পিছু নেয়, তা হল মাথা ব্যথা। মূলত, যেই ব্যক্তি মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগছেন, তার এই সমস্যা হওয়ার সম্ভবনা বেশী।

২. বমি হওয়ার প্রবণতা তৈরী হয়:

বেশি পরিমাণে জলপান করলে পেটে যে নেতিবাচক প্রভাবগুলি পরে তার মধ্যে অন্যতম হল বমি বমি ভাব।​ প্রসঙ্গত, প্রয়োজনের বেশী জলপান করলে সেই জল পাকস্থলীকে টইটুম্বুর করে দেয়। পাকস্থলীতে আর জায়গা না থাকায় পাকস্থলী জলকে উপরের দিকে চাপ দেয়। যার ফলে বমি পায়। আবার অনেক সময় বমি হয়েও যায়। তাই এই বমি হওয়ার সম্ভবনা এড়াতে প্রয়োজন মতো জলপান করুন।

৩. একাধিক জটিলতা পিছু নিতে পারে:

শরীরের একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে ওয়াটার ইনটক্সিফিকেশন কারণে, সমস্যাগুলি হল –

ক. চোখে কম দেখা

খ. পেশিতে টান লাগা

গ. পেশির দুর্বলতা

ঘ. সব জিনিস দুটো দেখা

ঙ. শ্বাসকষ্ট

চ. বিভ্রান্তি ইত্যাদি।

এছাড়াও অনেক সময় শরীরে জলের পরিমান বেশি থাকলে সেরিব্রাল ইডিমাও হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এক্ষেত্রে মাথায় জল জমার জন্য দেহের সেন্টাল নার্ভাস সিস্টেম ঠিক মতো কাজ করেনা।

৪. হাসপাতালেও ভর্তি হওয়ার ঝুঁকি থাকে:

অনেক ক্ষেত্রে মাত্রারিক্ত জলপানের অভ্যাস পরিস্থিতিকে অনেক বেশী জটিলতর দিকে সংচালিত করে। সেক্ষেত্র ব্রেন ড্যামেজ এবং খিঁচুনির মতো মারাত্মক সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার কিছু ক্ষেত্রে পরিস্থিতি এতটাই জটিল আকার ধারণ করে যে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করেও চিকিৎসা করতে হয়। তাই অতিরিক্ত জলপান করা একেবারেই থামান।

​৫. সারাদিনে যথাযত জলপানের পরিমান:

সাধারণত একজন বেক্তির দিনে অন্তত পক্ষে ২.৫ থেকে ৩ লিটার জলপান করা উচিত। তবে এই প্রবল দাবদাহের মধ্যে যারা রাস্তায় রোদে বেরিয়ে কাজ করছেন, তাঁদের আরও পরিমাণে বেশি জলপান করতে হবে। সেক্ষেত্রে জল চেষ্টা পেলেই গলা ভিজিয়ে নিন। এতেই আপনার শরীরে জলের ঘাটতি মিটবে। আর প্রয়োজন হলে, একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন। আপনার শারীরিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে চিকিৎসকই আপনার দৈনিক জলের চাহিদা নির্ধারণ করে দেবেন।

এইরকম স্বাস্থ্য এবং জীবনধারা সম্পর্কিত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.