Mamata Banerjee Darjeeling Visit: বিনিয়োগের তাগিদে চারদিনের পাহাড় সফরে মুখ্যমন্ত্রী, রয়েছে বাণিজ্য সম্মেলনও

Mamata Banerjee Darjeeling Visit: সব ঠিক থাকলে আজই পাহাড় যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী

হাইলাইটস:

• আবার পাহাড় সফরে মুখ্যমন্ত্রী

• রয়েছে শিল্পপতিদের সাথে বাণিজ্য সম্মেলনও

• মুখ্যমন্ত্রীর পাহাড় সফর নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে

Mamata Banerjee Darjeeling Visit: এ বছরে প্রথম পাহাড় সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে পাহাড়ের মানুষের সুবিধা-অসুবিধার কথা বুঝতে বারবার তিনি পাহাড়ে ছুটে গিয়েছেন। এর আগে গত বছর মুখ্যমন্ত্রী মমতা যখন পাহাড় সফরে গিয়েছিলেন সেই সময় পাহাড়ে শিল্পপতিদের বিনিয়োগ করার জন্য তিনি আবেদন করেছিলেন। তাঁর আবেদনে সাড়া দিয়ে চা শিল্প থেকে শুরু করে একাধিক ক্ষেত্রেই বিনিয়োগে তোড়জোড় শুরু করছেন শিল্পপতিরা। ফলে বলাই যায়, পাহাড়ের উন্নয়নে রাজ্য সরকার বদ্ধপরিকর।

নবান্ন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর এই পাহাড় সফরে সব থেকে বেশি প্রাধান্য পাবে বিনিয়োগ ও চা শিল্প। যা নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন শিল্প বিশেষজ্ঞরা। কারণ রাজ্য সরকার চাইছে বিনিয়োগ যাতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পাহাড়ে হয়। তাছাড়া চা শিল্পে নবজাগরণ এলে তা পাহাড়ের মানুষের জন্য ভালো হবে। এর পাশাপাশি একাধিক প্রথমসারির শিল্পপতিদের নিয়ে দার্জিলিঙে একটি বৈঠক হবে বলেও ইতিমধ্যে জানা গেছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, আগামী বুধবার ভানু ভবনে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এই বাণিজ্য সম্মেলন হতে পারে। অন্যদিকে বণিক সংগঠনের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তাঁরা দার্জিলিং জেলার পাহাড় ও সমতলে শিল্পোদ্যোগীদের বিভিন্ন সমস্যার কথা মুখ্যমন্ত্রীকে জানাবেন।

আপাতত স্থির হয়েছে, আজ দুপুরে উত্তরবঙ্গের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর আগামীকাল পাহাড়ে ব্যবসায়ী এবং শিল্পপতিদের নিয়ে একটি ‘রোড শো’ করার কথা রয়েছে তাঁর। যেখানে বিশেষ গুরুত্ব পাবে স্থানীয় বাণিজ্যের প্রসঙ্গ। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দার্জিলিং যাওয়ার কথা রয়েছে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসেরও। আবার এই বাণিজ্য সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী সাথে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীরও। আবার ইতিমধ্যে পাহাড়ে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনও হয়েছে অনেকটা। গত বছরের শেষে তৃণমূল থেকে সরে এসেছেন জিটিএ সদস্য বিনয় তামাং। শুধু তাই নয়, পাহাড়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়ে খোঁজখবর নিতে সম্প্রতি দিল্লিও যান তিনি।

অপরদিকে দার্জিলিং পুরসভা হামরো পার্টির হাতছাড়া হওয়াকে কেন্দ্র করে অনীত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার বিরুদ্ধে বিরোধীরা এক জোট হয়েছে। অনীত থাপা এবং তাঁর দল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের সঙ্গে বোঝাপড়া রেখে চলেছে। ফলে বলা যায়, এই চারদিনের মুখ্যমন্ত্রীর পাহাড় সফরে তাঁর সাথে অনীত থাপাও পাহাড়ের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হতে পারে। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর পাহাড় সফর নিয়ে অনীত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা ছাড়া অন্যান্য দলগুলির বিশেষ মাথা ব্যথা নেই।

গোর্খাল্যান্ডের দাবি পাহাড়ের দীর্ঘদিনের একটি সমস্যা। ফলে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে বেশ কয়েকটি সংগঠন ফের নতুন করে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে সোচ্চার হতে শুরু করেছে। বিশেষ করে বিমল গুরুয়ের দল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাও গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে সমর্থন জানিয়েছে। ফলে বলাই যায়, চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে গোর্খাল্যান্ড অন্যতম একটি বড় ইস্যু হতে পারে রাজ্যের অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে। আর সেই ইস্যুকে ধূলিসাৎ করতেই এবার মাঠে নেমেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। তিনি ‘শিল্পায়ন’-কেই হাতিয়ার করতে চাইছেন তিনি। এবার দেখা যাক জল কতদূর গড়ায়।

এইরকম রাজনৈতিক বিষয়ক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Sanjana Chakraborty

Professional Content Writer

Leave a Reply

Your email address will not be published.