Travel

Travel North Sikkim: ডিসেম্বরের শুরুতেই খুলে যাচ্ছে মঙ্গনের রাস্তা, শীতের ছুটি কাটাতে বেরিয়ে পড়ুন উত্তর সিকিমের উদ্দেশ্যে

তবে পর্যটকদের জন্য খুশির খবর! এবারের শীতে উত্তর সিকিম ভ্রমণের যদি প্ল্যান বানিয়ে ফেলুন। কারণ আগামী ১লা ডিসেম্বর থেকে মঙ্গনের রাস্তা খুলে যাচ্ছে পর্যটকদের জন্য। 

Travel North Sikkim: আগামী ১লা ডিসেম্বর থেকে পর্যটকদের জন্য খুলে যাচ্ছে উত্তর সিকিমে যাওয়ায় অন্যতম রাস্তা মঙ্গন

হাইলাইটস:

  • প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরে এতদিন বন্ধ থাকলেও ডিসেম্বরে শুরু থেকে খুলে যাচ্ছে মঙ্গনের রাস্তা
  • এবার থেকে উত্তর সিকিম যেতে চাইলে আর কোনও বাধা নেই
  • নিরাপদে এবং নিশ্চিন্তে বেছে নিন উত্তর সিকিমের এই পর্যটন কেন্দ্রগুলি

Travel North Sikkim: গত বছর থেকেই একের পর একে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছে প্রতিবেশী রাজ্য সিকিম (Sikkim)। এমনকি চলতি বছরেও ভারী বৃষ্টিপাত এবং একাধিক জায়গায় ভূমিধসের জেরে বন্ধ ছিল উত্তর সিকিমের মঙ্গন সহ বহু রাস্তা। যার ফলে বড়বড় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় সে রাজ্যের পর্যটন শিল্প। তবে সময়ের সঙ্গে সিকিম ফের নতুন রূপে সেজে উঠেছিল। তবে মঙ্গন এত দিন ধরে বন্ধই ছিল। এর ফলে, উত্তর সিকিমে পর্যটকদের আনাগোনাও বেশ কিছুটা কমে গিয়েছিল।

We’re now on WhatsApp – Click to join

তবে পর্যটকদের জন্য খুশির খবর! এবারের শীতে উত্তর সিকিম ভ্রমণের যদি প্ল্যান বানিয়ে ফেলুন। কারণ আগামী ১লা ডিসেম্বর থেকে মঙ্গনের রাস্তা খুলে যাচ্ছে পর্যটকদের জন্য।

এই মঙ্গনের রাস্তা দিয়ে পৌঁছানো যায় উত্তর সিকিমের একাধিক পর্যটনকেন্দ্রে। এদিকে শীতের মরশুমে উত্তর সিকিমের বিভিন্ন জায়গায় তুষারপাত দেখতেই ভিড় জমায় পর্যটকরা। কারণ এই সময়ই সিকিমের এক অন্য সৌন্দর্যের মুখোমুখি হওয়া যায়। জেনে নিন এবারের শীতে উত্তর সিকিমের কোন কোন জায়গা মিস করা একেবারেই চলবে না।

We’re now on Telegram – Click to join

লাচুং

উত্তর সিকিমের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হল লাচুং গ্রাম। এই গ্রামটি লাচুং নদীর তীরে অবস্থিত একটি ছোট্ট গ্রাম। তবে এই গ্রামের আসল সৌন্দর্য হল লাচুং মনাস্ট্রি (Lachung Monastery)। ১৮০৬ সালের নাইংমাপা নামের এক বৌদ্ধ সন্ন্যাসী লাচুং গ্রামে এই মনাস্ট্রি প্রতিষ্ঠা করেন। যার ফলে এই মনাস্ট্রিই এখন লাচুংয়ের প্রধান আকর্ষণ। ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত লাচুং ঢাকা পড়ে যায় বরফের সাদা চাদরে। আপনিও যদি সেই অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে চান তবে এবারের শীতে পৌঁছে যেতে পারেন মঙ্গন পেরিয়ে লাচুংয়ের উদ্দেশ্যে।

সিংঘিক

মঙ্গন পেরিয়ে যেতে হয় উত্তর সিকিমের সিংঘিক। চুংথাং গ্রামের ঠিক আগেই সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৫৬০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত এই সিংঘিক গ্রাম। সিকিমের এই অপূর্ব সুন্দর পাহাড়ি গ্রাম থেকে ধরে দেয় মাউন্ট কাঞ্চনজঙ্ঘা এবং মাউন্ট সিনিওলচু। রূপকথার চাদরে মোড়া তিস্তা ও কনকা নদীর মাঝে গড়ে উঠেছে এই গ্রাম। যা ছবির মতো সাজানো। এখানে রয়েছে তেনসং মনাস্ট্রি (Tensong Monastery)। এ ছাড়া এখানকার মার্তাম লেক হল পর্যটকদের অন্যতম প্ৰিয় ভ্রমণস্থল। তাই এই শীতের ছুটিতে গ্যাংটক থেকে মাত্র ৫৮ কিলোমিটারের দূরত্বে অবস্থিত এই সিংঘিক গ্রামে ঘুরে যেতে পারেন।

Read more:- সিল্ক রুট দেখতে জুলুক যাচ্ছেন? সঙ্গে ঘুরে নিন এই ৫ জায়গাও, তালিকায় নাথু লা পাসও রয়েছে

চোপতা উপত্যকা

চোপতা ভ্যালি বললেই প্রথমে মাথায় আসে উত্তরাখণ্ডের কথা। তবে আপনি কী জানেন, উত্তর সিকিমের অন্যতম অফবিট পর্যটক কেন্দ্রের তালিকাতেও রয়েছে চোপতা উপত্যকা। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরে বর্তমানে গুরুদংমার লেক পর্যন্ত পৌঁছানো সম্ভব নয়। তবে আপনি যদি চান চোপতা ভ্যালি যেতে পারেন। গুরুদংমার লেকের প্রায় ৮০ কিলোমিটার আগে পড়বে এই চোপতা ভ্যালি। উত্তর সিকিমের লাচেন থেকে পৌঁছাতে হয় এখানে। তবে এখানকার নৈসর্গিক দৃশ্য আপনাকে মুদ্ধ করতে বাধ্য। আপনি যদি ট্রেক করতে চান তবে চোপতা থেকে মুগুথাং ভ্যালি পর্যন্তও ট্রেকিংয়েরও সুবিধা রয়েছে। তবে গ্যাংটক থেকে চোপতা উপত্যকা পৌঁছতে প্রায় ৭-৮ ঘণ্টা সময় লেগে যায়।

এই রকম ভ্রমণ সংক্রান্ত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button