Meghalaya Umiam Lake: মেঘালয়ের এই হ্রদ মানবসৃষ্ট, তবুও এই হ্রদ মেঘালয়কে স্বপ্নময় গন্তব্যে পরিণত করেছে

Meghalaya Umiam Lake: মেঘালয়ের এই হ্রদ এশিয়ার সবচেয়ে স্বচ্ছ ও পরিষ্কার হ্রদের তকমা পেয়েছে

হাইলাইটস:

  • বর্তমানে ভ্রমণপিপাসুরা ভিড় জমাছেন মেঘালয়ের উমিয়াম হ্রদে
  • ১৯৬৫ সালে অসমের বিদ্যুৎ পর্ষদ এই হ্রদ তৈরি করেছিল
  • বর্তমানে স্থানীয়রা এই হ্রদকে ‘বড়াপানি’ বলেন

Meghalaya Umiam Lake: মেঘালয় ভ্রমণের সেরা সময় বর্ষাকাল। এখানে রয়েছে চেরাপুঞ্জি, শিলং, মৌসিনরাম, লিভিং রুট ব্রিজ, সেভেন সিস্টার জলপ্রপাতের মতো বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র। গত কয়েক বছর যাবৎ মেঘালয়ের দাউকি পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই হ্রদের কাচের মতো স্বচ্ছ ও পরিষ্কার জলের ছবি ভাইরাল সমাজ মাধ্যমে। এমনকী এই হ্রদ এশিয়ার সবচেয়ে স্বচ্ছ ও পরিষ্কার হ্রদের তকমাও পেয়েছে। কিন্তু বর্তমানে ভ্রমণপিপাসুদের কাছে পছন্দের উমিয়াম হ্রদ। মেঘালয়ের অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠেছে এই উমিয়াম।

গুয়াহাটি থেকে শিলং বেড়াতে গেলে রাস্তাতেই পড়ে উমিয়াম হ্রদ। শিলং থেকে মাত্র ২০ কিমি দূরত্বে গড়ে উঠেছে এই পর্যটন কেন্দ্র। ছবির মতো সুন্দর এই হ্রদটি কিন্তু প্রকৃতির দান নয়। অসমের বিদ্যুৎ পর্ষদ এই হ্রদ তৈরি করেছিল। ১৯৬৫ সালে মেঘালয়ের পাহাড়ি নদী উমিয়ামের বুকে বাঁধ বসিয়ে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ করা হয়েছিল। উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রথম জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র এটি। বর্তমানে এই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র হয়ে উঠেছে পর্যটকদের আকর্ষণ কেন্দ্র।

স্থানীয় ভাষায় ‘উমিয়াম’ শব্দের অর্থ চোখের জলে তৈরি হ্রদ। অসমের বাসিন্দাদের মতে, অসম থেকে মেঘালয়ে যাওয়ার পথে হারিয়ে যাওয়া এক বোনের জন্য অন্য বোনের কান্নার জলে এই হ্রদ তৈরি হয়। তবে, এখন এই হ্রদ পর্যটকদের কাছে হয়ে উঠেছে সেলফি জ়োন। আর স্থানীয়রা এখন এটিকে ‘বড়াপানি’ বলেন।

বর্তমানে হ্রদের আশেপাশে রিসর্ট, হোটেলও গড়ে উঠেছে। পাহাড়ের কোল ঘেঁষে গড়ে ওঠা উমিয়ামে পর্যটকদের যাতায়াত লেগেই থাকে। এই হ্রদের আয়তন প্রায় ২২০ বর্গ কিলোমিটার। তবে বছরের বিভিন্ন সময় এই হ্রদের রং বদল হতে দেখা যায়। উমিয়ামের চারপাশে থাকা পাইনের সারি এই হ্রদের সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে তোলে।

প্রতিবছর মেঘালয়ের এই হ্রদে কায়াকি উৎসব আয়োজিত হয়। এই উৎসবকে রাইসিং সান ফেস্টিভ্যাল বলা হয়। এছাড়া সারাবছরই উমিয়াম হ্রদে কায়াকি করা যায়। এই ওয়াটার স্পোর্টসের পাশাপাশি উমিয়াম হ্রদে ওয়াটার সাইকেলিং, বোটিং ও স্কুটিংয়ের সুবিধা রয়েছে।

এইরকম ভ্রমণ সংক্রান্ত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.