Jungle Safari: এই বর্ষায় সবুজে মোড়ানো প্রকৃতির প্রাণবন্ত রূপ দেখতে জঙ্গলে ভ্রমণে যাবেন ভাবছেন? রইল ভারতের সেরা জঙ্গল সাফারির ঠিকানা
সবচেয়ে পুরনো হওয়ায়, বৃষ্টির সময় এটি খুব সবুজ হয়ে ওঠে। ঝিকালার মতো অঞ্চলগুলি বন্ধ থাকে, এবং ঝির্না এবং সীতাবনী অঞ্চলগুলি নতুন প্রাণের সাথে উন্মুক্ত হয়। বৃষ্টি শাল বনকে জাগিয়ে তোলে, এবং পাখিপ্রেমীরা অনেক পরিযায়ী পাখির আগমনে অত্যন্ত আনন্দিত হন।
Jungle Safari: বর্ষাকালে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠা ভারতের সেরা ১০টি জঙ্গল সাফারি আবিষ্কার করুন
হাইলাইটস:
- সবুজে ঘেরা প্রকৃতি এবং প্রাণবন্ত বন্যপ্রাণীর অবিস্মরণীয় অ্যাডভেঞ্চারের অভিজ্ঞতা অর্জন করুন
- ভারতের সেরা ১০টি জঙ্গল সাফারি, উপভোগ করুন
- এখানে আপনি বর্ষাকালেও এক মনোমুগ্ধকর অ্যাডভেঞ্চার উপভোগ করতে পারবেন
Jungle Safari: অনেক পর্যটক যারা পুরো বর্ষাকালে বন এড়িয়ে চলতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, তাদের বিপরীতে, কিছু প্রকৃত প্রেমিকরা সর্বদা প্রকৃতির আসল সৌন্দর্য দেখার জন্য উপযুক্ত সময় খোঁজেন। ভারতে বর্ষাকালে জঙ্গল সাফারিগুলি জাদুকরী অভিজ্ঞতায় পরিপূর্ণ। এখানে বর্ষাকালে ভ্রমণের জন্য শীর্ষ ১০টি জঙ্গলের একটি তালিকা দেওয়া হল।
We’re now on WhatsApp- Click to join
১. জিম করবেট জাতীয় উদ্যান, উত্তরাখণ্ড
সবচেয়ে পুরনো হওয়ায়, বৃষ্টির সময় এটি খুব সবুজ হয়ে ওঠে। ঝিকালার মতো অঞ্চলগুলি বন্ধ থাকে, এবং ঝির্না এবং সীতাবনী অঞ্চলগুলি নতুন প্রাণের সাথে উন্মুক্ত হয়। বৃষ্টি শাল বনকে জাগিয়ে তোলে, এবং পাখিপ্রেমীরা অনেক পরিযায়ী পাখির আগমনে অত্যন্ত আনন্দিত হন।
We’re now on Telegram- Click to join
২. পেরিয়ার বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, কেরালা
বর্ষাকালে পশ্চিমঘাট পর্বতমালার ঘন বনভূমিতে পেরিয়ার সুন্দরভাবে অবস্থিত। হাতি, গৌর এবং বুনো শুয়োর দেখার জন্য পেরিয়ার হ্রদে ক্রুজ ভ্রমণ সবচেয়ে ভালো উপায়। এলাচ পাহাড়ের মধ্য দিয়ে ছড়িয়ে থাকা কুয়াশার প্রভাব ভারতের জঙ্গল-সাফারি সৌন্দর্যে এক অবাস্তব সুর তৈরি করে।
৩. কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যান, আসাম
একশৃঙ্গ গন্ডারের জন্য এটি বেশি পরিচিত, কাজিরাঙ্গার জলাভূমি বর্ষার মাসগুলিতে প্রায় প্রতিটি সম্ভাব্য পাখি এবং জলজ প্রাণীর দ্বারা পরিপূর্ণ।
৪. বান্দিপুর জাতীয় উদ্যান, কর্ণাটক
নীলগিরি বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভের নীচে অপূর্বভাবে সুউচ্চ, পার্কের ভেতরের ঝোপঝাড় বর্ষাকালে এক পান্না বিস্ময়ে রূপান্তরিত হয়। বর্ষার পাতার কারণে বাঘ দেখা বিরল হতে পারে, তবে কয়েকটি পানীয় জলের গর্তের কাছে হাতি এবং দাগযুক্ত হরিণের পাল সাধারণ। এই শীতল, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পরিবেশকে আরও সুন্দর করে তোলে।
৫. তাডোবা-আন্ধারী টাইগার রিজার্ভ, মহারাষ্ট্র
নিঃসন্দেহে, বর্ষাকালে খোলা থাকা কয়েকটি পার্কের মধ্যে এটি একটি। এটি বর্ষাকালেও বাঘ দেখার জন্য সেরা জায়গাগুলির মধ্যে একটি।
আজকাল বাঁশগুলি খুব আকর্ষণীয়ভাবে উঁচু এবং বৈচিত্র্যময় উদ্ভিদ ও প্রাণীকে আকর্ষণ করেছে।
৬. সাইলেন্ট ভ্যালি জাতীয় উদ্যান, কেরালা
ভারতীয় সীমান্তের মধ্যে সবচেয়ে অস্পৃশ্য বাস্তুতন্ত্রগুলির মধ্যে একটিকে রক্ষা করে, সাইলেন্ট ভ্যালি জীববৈচিত্র্যের একটি কেন্দ্র। এটি কেবল আরেকটি সাফারি নয় বরং একটি সত্যিকারের প্রকৃতির বিশ্রাম।
৭. ডান্ডেলি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, কর্ণাটক
ডান্ডেলি, আরেকটি বর্ষাকালীন সাফারি লুকানো রত্ন। এই বর্ষায় কালী নদী সাদা ফেনায় ভরে ওঠে এবং বন শিং, ময়ূর এবং ল্যাঙ্গুরের ডাকে ভরে যায়। অ্যাড্রেনালিন রাশ প্রেমীদের জন্য রাফটিং, কায়াকিং এবং জঙ্গল ট্রেকিং সম্ভবত অতিরিক্ত সুবিধা।
৮. নাগারহোল জাতীয় উদ্যান, কর্ণাটক
বর্ষাকালে নাগরহোল সবচেয়ে মনোরম স্থান হয়ে ওঠে। কাবিনীতে বনভূমির পাশাপাশি নদীটি প্রচুর সংখ্যক হাতি, গৌর এমনকি চিতাবাঘেরও লালন-পালন করে।
৯. বাল্মীকি জাতীয় উদ্যান, বিহার
বর্ষাকালে জঙ্গলপ্রেমীদের জন্য কম পরিচিত বাল্মীকি তার দরজা খুলে দেয়। ঘন বন দ্বারা আবৃত, এই পার্কটি বাঘ, স্লথ ভালুক এবং বাইসনের জন্য একটি আবাসস্থল প্রদান করে। জনসাধারণের মধ্যে কম বিখ্যাত হওয়ায় এটি তুলনামূলকভাবে শান্তিপূর্ণ এবং রোমাঞ্চকর জঙ্গল ভ্রমণ নিশ্চিত করে।
Read More- ইউরোপ জুড়ে গ্রীষ্মকালীন ফেস্টিভ্যাল খুঁজছেন? ২০২৫ সালের গ্রীষ্মকালীন ফেস্টিভ্যালগুলির রইল তালিকা
১০. সাতপুরা জাতীয় উদ্যান, মধ্যপ্রদেশ
কঠিন ভূখণ্ড এবং নৌকা সাফারির জন্য পরিচিত, সাতপুরা দেখতে অসাধারণ, বৃষ্টির সাথে মিশে আছে। কুয়াশাচ্ছন্ন পাহাড় এবং পান্না-সবুজ উপত্যকা বর্ষার সবচেয়ে সুন্দর দিকটি দেখায়। এটি খুব কম জায়গার মধ্যে একটি যেখানে হাঁটা এবং নৌকা ভ্রমণের সুযোগ রয়েছে; প্রকৃতিকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ।
বর্ষাকালে ভারতীয় জঙ্গল সাফারিরা সবুজ জাদু এবং শক্তিশালী বন্যপ্রাণীর সতেজতা উপভোগ করে।
এইরকম আরও ভ্রমণ সংক্রান্ত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।
