Travel

Belpahari In Monsoon: বর্ষার মরশুমে ঘাঘরা, ঢাঙ্গিকুসুমের রূপ উপভোগ করতে চান? চলে আসুন জঙ্গল ঘেরা বেলপাহাড়িতে

Belpahari In Monsoon: বেলপাহাড়ির জলাধার, ঝর্না, পাহাড় ও সবুজের সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে বর্ষাই আদৰ্শ সময়

 

হাইলাইটস:

  • বছর দশেক আগে ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ির নাম শুনলেই প্রথমেই মাথায় আসত মাওবাদীদের কথা
  • তবে এখন সেই বেলপাহাড়ি পর্যটকদের বেশ পছন্দের জায়গা হয়ে উঠেছে
  • সপ্তাহান্তে সপরিবার ঘুরেই আসতে পারেন এই বেলপাহাড়ি থেকে

Belpahari In Monsoon: ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি, বছর দশেক আগে এই জায়গার নাম শুনলেই প্রথমেই মাওবাদীদের কথা মাথায় আসত। তবে এখন সেই বেলপাহাড়ি পর্যটকদের বেশ পছন্দের জায়গা হয়ে উঠেছে। শীতকালে খ্যাঁদারানির ধারে, ঘাঘরার পাড়ে বসে চড়ুইভাতির আসর জমাতে এখন অনেকেই সেখানে বেড়াতে যাচ্ছেন। কলকাতা থেকে আগত অসংখ্য পর্যটক সেখানে ভিড় জমাচ্ছেন। বেলপাহাড়ির আনাচ-কানাচে শালের জঙ্গেলর ভিতরে কোথাও রয়েছে প্রাগৈতিহাসিক গুহা, কোথাও আবার রয়েছে মন শান্ত করা জলাধার।

We’re now on WhatsApp – Click to join

শীতের বেলপাহাড়ির এক সুন্দর রূপ দেখা গেলেও বর্ষায় মেঘে ঢাকা আকাশের নিচে বেলপাহাড়ি অন্য রকম রূপ দেখা যায়। শুকনো ঝর্নাগুলি তখন ভর্তি থাকে জলে। আর বর্ষা তো এসেই গেছে। সপ্তাহান্তে সপরিবার ঘুরেই আসতে পারেন এই বেলপাহাড়ি থেকে। সেখানকার সবুজ মাঠঘাট, খোলা প্রান্তর, শালের জঙ্গল যে শহুরে ক্লান্তি ভুলিয়ে দেবে, সে কথা বলাই বাহুল্য!

বেলপাহাড়িতে কোথায় কোথায় ঘুরবেন জেনে নিন

গাড়রাসিনী পাহাড় – জঙ্গলের মধ্যে উঠে গিয়েছে পাথুরে রাস্তা। সেই পথে হাঁটলে প্রথমেই পড়বে একটি বাসুদেব মন্দির। সেখানে কিছুক্ষন জিরিয়ে নিন। সেই মন্দিরের পাশ দিয়েই রাস্তা উঠে গিয়েছে চূড়ার দিকে। সেখানেও একটি মন্দির রয়েছে। তবে চারপাশের রূপ দেখে পাহাড়ের চূড়ায় ওঠার ক্লান্তি ভুলেই যাবেন।

ঢাঙ্গিকুসুম – পাথরের উপর দিয়ে কুলু কুলু শব্দ করে বয়ে চলেছে জল। তবে এখানে বর্ষাকালে না এলে জমবে না।

ঘাঘরা জলপ্রপাত – এই জলপ্রপাত বেলপাহাড়ি থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ঘাঘরার সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে ভরা বর্ষায় যেতে হবে। এখানে একটি গিরিখাত রয়েছে। পাথরের বিভিন্ন জায়গায় জলের তোড়ে গর্ত তৈরি হয়েছে। যখন কয়েক দিনের বৃষ্টিতে এই গিরিখাত দিয়ে প্রবল শব্দে জল বয়ে চলে, তখন সেই রূপের কোনও জবাব নেই।

We’re now on Telegram – Click to join

তারাফেনি জলাধার – ঘাঘরার জলপ্রপাতের কাছেই অবস্থিত তারাফেনি জলাধার। সবুজের মাঝে এই জলাধারের রূপ দেখতে বেশ ভালো লাগবে।

খ্যাঁদারানি হ্রদ – শালে ঘেরা জঙ্গলের মাঝে অবস্থিত খ্যাঁদারানি হ্রদ। পড়ন্ত বিকেলে খ্যাঁদারানির সৌন্দর্য দেখলে মন ভরে যাবে। এর পাশেই একটি কংক্রিটের সেতু রয়েছে। সেখান থেকেই পাহাড়ের কোলে সূর্যাস্ত্র দেখতে দারুন লাগবে।

চাতন পাহাড় – এ ছাড়াও বেলপাহাড়ির চাতন পাহাড়ও ঘুরে নিতে পারেন। এই পাহাড় থেকে চারপাশের নিসর্গ মুগ্ধ করবে আপনাকে।

এ ছাড়াও বেলপাহাড়িতে অনেক কিছু দেখার মতো রয়েছে। ঝাড়গ্রাম দিয়ে বেলপাহাড়ি যাওয়ার পথেই বেশ কিছুটা জায়গা ঘুরে নিতে পারেন। সেখান থেকে দ্বিতীয় দিনে ঘুরে নিতে পারেন মকুটমণিপুর, তালবেড়িয়া জলাধার। তবে দিন তিনেক হাতে থাকলে কাঁকড়াঝোরের দিকটাও ভাল করে ঘুরে নিতে পারবেন।

Read more:- এই বর্ষায় এক টুকরো স্বর্গ পেতে বেড়িয়ে পড়ুন হিমালয়ের এই ৩ ট্রেকিং পথে

যাবেন কী ভাবে?

কলকাতা থেকে বেলপাহাড়ির দূরত্ব সড়কপথে ২০০ কিমি। ঝাড়গ্রাম হয়ে বিভিন্ন জায়গা ঘুরতে ঘুরতে বেলপাহাড়ি যেতে পারেন। আবার ট্রেনে চড়ে ঝাড়গ্রাম স্টেশনে নেমে সেখান থেকেই গাড়ি ভাড়া করে বেলপাহাড়ি যেতে পারেন। কলকাতা থেকে বেলপাহাড়ির বাসও রয়েছে। বেলপাহাড়িতে থাকার জায়গারও কোনও সমস্যা হবে না।

এইরকম ভ্রমণ সংক্রান্ত আরও প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

One Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button