Ambani’s ancestral home: আম্বানিদের পৈতৃক বাড়ির বিষয়টি অনেকেরই অজানা, এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে আম্বানিদের পৈতৃক সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য

Ambani’s ancestral home: তবে চাইলে কিন্তু আপনিও প্রবেশ করতে পারবেন আম্বানিদের পৈতৃক বাড়ির অন্দরমহলে

হাইলাইটস:

• আম্বানিদের পৈতৃক বাড়ির সম্বন্ধে অনেকেই ঠিক মতো জানেন না

• রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিষ্ঠাতা স্বর্গীয় ধীরুভাই আম্বানি এই বাড়িতেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

• তবে ২০১১ সালে এই দ্বিতল বাড়িটিকে একটি স্মৃতিসৌধে রূপান্তরিত করা হয়।

Ambani’s ancestral home: বর্তমানে আম্বানি পরিবার আমাদের দেশের অন্যতম বিখ্যাত পরিবারগুলির একটি। ব্যবসায়িক পরিচিতির পাশাপাশি পারিবারিক মূল্যবোধের জন্যও বেশ পরিচিত এই পরিবার। ব্যয়বহুল জীবনযাত্রার জন্যও বিখ্যাত এই পরিবার। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানির বাসভবন ‘অ্যান্টিলিয়া’ তাঁর মূল্যবান জিনিসের মধ্যে অন্যতম। বিশ্বের দ্বিতীয় মূল্যবান বাড়ি ‘অ্যান্টিলিয়া’।

অনেকেরই আম্বানির এই ‘অ্যান্টিলিয়া’ পরিদর্শনের ইচ্ছা থাকে। কিন্তু বাইরে থেকে এই বিলাসবহুল বাড়ি পরিদর্শনের সুযোগ হলেও, এই বাড়ির ভেতরের পরিবেশ দেখার হয়তো সুযোগ হয়নি বাইরের কারোর। কিন্তু ‘অ্যান্টিলিয়া’ দেখার সুযোগ না হলেও আম্বানি পরিবারের পৈতৃক বাড়িটি দেখার সুযোগ পাবেন সাধারণ মানুষ। জেনে নেওয়া যাক কীভাবে আম্বানিদের পৈতৃক বাড়ি থেকে ঘুরে আসা যাবে।

• পৈতৃক বাড়িটিকে এখন স্মৃতিসৌধ করা হয়েছে:

গুজরাটের জুনাগড় জেলার চোরওয়াড় গ্রামের বাসিন্দা আম্বানিরা। ওই গ্রামেই রয়েছে রয়েছে তাঁদের শতাব্দী প্রাচীন পৈতৃক নিবাস। চোরওয়াড় গ্রামের এই বাড়িটি ২০০২ সালে কিনেছিলেন আম্বানিরা। বিংশ শতাব্দীর গোড়া থেকে ২০০২ সালের আগে অবধি ওই বাড়িতেই ভাড়া থাকতেন তাঁরা। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ-এর প্রতিষ্ঠাতা ধীরুভাই আম্বানি জন্মগ্রহণ করেছিলেন ওই বাড়িতেই। এই দ্বিতল বাড়িটি ২০১১ সালে রূপান্তরিত করা হয় একটি স্মৃতিসৌধে।

• বাড়িটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক:

আম্বানিদের এই পৈতৃক বাড়িটির কাঠামোতে বহু পরিবর্তন করা হয়েছে। যদিও আম্বানিদের পক্ষ থেকে ওই দ্বিতল বাড়িটির মূল স্থাপত্য বজায় রাখার যথেষ্ট চেষ্টা করা হয়েছে। বাড়ির নানান জিনিসপত্র সংস্কার করা হয়েছে। কাঠের আসবাবপত্র, তামার বাসনপত্র, পিতলের জিনিস সহ ধীরুভাই আম্বানির থাকার জায়গাটিও সংস্কার করা হয়েছে। আম্বানি পরিবারের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে প্রতিফলিত করে এটি।

• পৈতৃক বাড়িটি অতীতে ছিল ভাড়া বাড়ি:

আম্বানিদের এই পৈতৃক বাড়ির একটি অংশ মুকেশ আম্বানির প্রপিতামহ জমনাদাস আম্বানি ভাড়া নিয়েছিলেন বিংশ শতকের গোড়ার দিকে। এই বাড়ির মাঝখানে রয়েছে একটি বড় উঠোন, যা ঘিরে আছে একটি বারান্দা এবং বেশ কয়েকটি ঘর। গুজরাটি শৈলীতে নির্মিত এই বাড়িটি।

• তিনটি ভাগে বিভক্ত এই বাড়ি:

বিশাল ১.২ একর জমি জুড়ে বিস্তৃত আম্বানিদের এই পৈত্রিক বাড়ির সম্পত্তি। চারিদিক সবুজে ঘেরা এই বাড়ির। তিনভাগে বিভক্ত এই বাড়ির একটি অংশ বসবাসের জন্য, একটি অংশে আছে নারকেল তাল সহ গাছপালা এবং তৃতীয় অংশটি হল ব্যক্তিগত উঠোন। যদিও এই সময়ে এই দুটি ভাগে বিভক্ত এই সম্পত্তিটি। একটি ব্যক্তিগত অংশ ছাড়া অন্য অংশটি উন্মুক্ত রাখা হয়েছে জনসাধারণের জন্য।

• ধীরুভাইয়ের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে বাড়িটির:

এই বাড়িতেই বড় হয়েছেন ধীরুভাই আম্বানি ইয়েমেন থেকে ফিরে আসার পর। এমনকি মুম্বইয়ে একজন সফল ব্যবসায়ী হয়ে থাকার সময়ও ধীরুভাই নিয়মিত তাঁর শৈশবের বাড়িতে যেতেন। তাঁর স্ত্রী কোকিলাবেন আম্বানি এখনও তাঁর পৈতৃক বাড়িতে যান। ধীরুভাই আম্বানিকে সম্মান জানাতে গুজরাটে আম্বানি হাউসটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। অতীতে এই বাড়িটি ‘মাঙ্গারোলভালানো ডেলো’ নামে পরিচিত ছিল। ২০১১ সালে আম্বানিদের পৈতৃক বাড়িটি মেমোরিয়াল হাউস হিসেবে উদ্বোধন করা হয়েছিল।

• মুকেশ আম্বানির কাছে এই বাড়ির গুরুত্ব:

আম্বানিদের পৈতৃক বাড়িটি মুকেশ আম্বানির কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার প্রধান কারণ এই বাড়িতে তাঁর ছোটবেলার স্মৃতি জড়ানো স্থান। প্রতি গ্রীষ্মে মুকেশ আম্বানি এখানে আসতেন এবং তাঁর দাদু-দিদা সহ পুরো পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতেন। মঙ্গলবার থেকে রবিবার পর্যন্ত সকাল ৯:৩০ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত সেখানে যেতে পারেন দর্শণার্থীরা। সোমবার বন্ধ রাখা হয় ওই স্মৃতিসৌধ। বাড়িটি দর্শন করতে চাইলে ৫০ টাকার বিনিময়ে টিকিট কেটে দর্শণার্থীরা দেখতে পারবেন।

এইরকম আরও নিত্য নতুন প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলা পেজটি ফলো করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.