Foods

Food For Holi: এই হোলিতে পাতে রাখুন রঙিন খাবার, রঙের উৎসবে মেতে উঠুন চেনা-অচেনা খাবারে, রইল সন্ধান

দোল মানেই হল রঙিন ব্যাপার। খাবারেই বা বাদ যাবে কেন রঙের ছোঁয়া? অসমে এই দিন খাওয়া হয় রাঙা ডিম। নামেই বোঝাই যাচ্ছে যে, খাবারটি ডিম হলেও সেটি রাঙা লাল। কিন্তু ডিম লাল হবে কী করে! এটাতেই তো আসল মজা। ডিমকে সেদ্ধ জরে নিয়ে প্রথমে ভেজে তার পরে ঝাল লাল মশলায় মাখিয়ে নিলেই সাদা ডিম রং বদলে রাঙা হয়ে যায়।

Food For Holi: নানা প্রদেশের খাবার আপন করে নিতে পাতে থাকুক রঙিন প্রাদেশিক দোলের খাবার

হাইলাইটস:

  • হোলি উদযাপনে কিছু প্রাদেশিক সেরা খাবারগুলি বেছে নিন
  • বিশেষ করে খাদ্যরসিক বাঙালিদের জন্য সেরা বিকল্প
  • এ বছর দোলে কিছু অল্প চেনা-অচেনা দোলের খাবারের রইল তালিকা

Food For Holi: দোলের দিন বাঙালিরা কী খায়? ভাবতে গেলেই উল্টে যাবে প্রশ্ন, বলুন কী খায় না! খাদ্যরসিক এই জাতি দোলের দিন নানা রকমের মিষ্টি, মঠ-ফুটকড়াই, ঠান্ডাই থেকে শুরু করে পাতে মাংস-ভাত, কোনও জিনিসই বাদ দেন না। নানা প্রদেশের খাবার আপন করে নেয় বাঙালিরা। তাই এবছর দোলেতে খান কিছু অল্প চেনা আর অচেনা প্রাদেশিক দোলের সেরা খাবার।

We’re now on WhatsApp- Click to join

১. রাঙা ডিম

দোল মানেই হল রঙিন ব্যাপার। খাবারেই বা বাদ যাবে কেন রঙের ছোঁয়া? অসমে এই দিন খাওয়া হয় রাঙা ডিম। নামেই বোঝাই যাচ্ছে যে, খাবারটি ডিম হলেও সেটি রাঙা লাল। কিন্তু ডিম লাল হবে কী করে! এটাতেই তো আসল মজা। ডিমকে সেদ্ধ জরে নিয়ে প্রথমে ভেজে তার পরে ঝাল লাল মশলায় মাখিয়ে নিলেই সাদা ডিম রং বদলে রাঙা হয়ে যায়।

অসমের এই ঐতিহ্যবাহী খাবার দোলের সময়ে খাওয়া হয়। সাধারণত রাঙা ডিমের সাথে পরিবেশন করা হয় পেঁয়াজ-আদা-রসুন বাটা, পাঁচফোড়ন এবং ঝাল লঙ্কা দিয়ে কষানো আলুভাজাও।

We’re now on Telegram- Click to join

২. নমক পারে

খাবারের নামটি একটু অন্য রকম হলেও খেতে একেবারে খাসা। দুর্গাপুজো হোক বা ভাইফোঁটা যে কোনও উৎসবেই বাঙালি ওই নোনতা খাবারে মুখ চালাতে ভালবাসেন। মূলত, উত্তর ভারতের এই খাবার দেখতে বাংলার নিমকির মতোন। তবে স্বাদে কিছুটা আলাদা। বাংলার এই নিমকি তৈরি হয় আটা এবং কালো জিরে দিয়ে। কেউ কেউ অনন্য স্বাদের জন্য এতে জোয়ানও দেন। নমক পারেতে এর পাশাপাশি হিং, গোলমরিচ এবং সুজিও দেয়। অর্থাৎ নিমকির থেকে একটু মশলাদার হল উত্তর ভারতীয় এই নোনতা খাবার নমক পারে।

রঙের উৎসবের দিন উত্তর ভারতে মুচমুচে স্ন্যাকস হিসাবেই নমক পারে-এর চল আছে। সাধারণত ঠান্ডাই আর চায়ের সাথে এটি পরিবেশন করা হয়। আবার কেউ কেউ ধনেপাতা এবং পুদিনার চাটনির সাথেও এটি খায়।

৩. গুলগুলে

Food For Holi

রঙের উৎসবে আবিরকে হিন্দিতে বলা হয় ‘গুলাল’। সেই নামের সাথেই মিল রয়েছে উত্তর ভারতের সোনালি রঙের ঘিয়ে ভাজা এই মিষ্টির। কলা, গুড়, আটা, মৌরি, এলাচ দিয়ে প্রস্তুত করা হয় এটিকে। দেখতে হয় ছোট সোনালি বলের মতোন। বাইরে থেকে মুচমুচে খাসা হলেও ভিতরে ঠিক ততটাই নরম। তাই আনায়াসে ৩-৪টি করে খাওয়াই যায়।

গুলগুলের আবির্ভাব উত্তরপ্রেদেশেই। তবে একে কিছুটা বাঙালির জনপ্রিয় মিষ্টি মালপোয়ার ছোট সংস্করণও বলা হয়ে থাকে।

৪. পুরন পোলি

মহারাষ্ট্রের এই খাবার ছাড়া অসম্পূর্ণ মারাঠি হোলি। দেখতে ঠিক পরোটার মতো হলেও স্বাদ কিছুটা মিষ্টির দিকেই যায়। আটার লেচির মধ্যে থাকে ছোলার ডাল, এলাচ, গুড় এবং জায়ফল দিয়ে তৈরি মিশ্রণ ভরে, পরোটার মত বেলে নিয়ে ঘি দিয়ে ভেজে প্রস্তুত করা হয় পুরন পোলি। দোলে তো বটেই, মারাঠিরা যে কোনও বড় উৎসবে এই পুরন পোলি বানিয়ে এর স্বাদ নেন।

এই পুরন পোলি শুধুমাত্র ঘি দিয়েও খাওয়া যায়। তবে দোলের সময় মহারাষ্ট্রে গরম দুধ, বাসুন্দি নামের দুধ থেকে তৈরি এটি এক মিষ্টির সাথে পরিবেশন করা হয়।

Read More- প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পাতে রাখুন প্রোটিন সমৃদ্ধ বিকল্প, পরামর্শ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের

৫. ধুসকা

ঝাড়খণ্ড এবং বিহারে দোলের সময়ে খাওয়া হয় ধুসকা। চাল-ডাল বেটে তাতে জিরে, ধনে, লঙ্কা দিয়ে ডুবো তেলে ভেজে প্রস্তুত করা হয় ধুসকা। দেখতে কিছুটা ফুলকো লুচির মতো, তবে দারুণ স্বাদের। লুচির সাথে তরকারি আর মিষ্টির দরকার হয় তবে ধুসকা একাই যথেষ্ট। সোনালি রঙের তেলে ভাজা এই নোনতা শুধু দোলে নয় অন্য উৎসবেও বেশ জনপ্রিয় বিহার-ঝাড়খণ্ডে।

তবে ধুসকা তরকারি দিয়েও খাওয়া যেতে পারে। ঝাড়খণ্ডে ধুসকা পরিবেশন করা হয় কাবলি ছোলার ঘুগনি আর আলুর তরকারির সাথে। কেউ পুদিনা বা তেঁতুলের চাটনি দিয়েও খান।

এইরকম আরও খাদ্য সংক্রান্ত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Back to top button