T20 World Cup 2024: টি-২০ বিশ্বকাপ ছেড়ে নিউ ইয়র্ক থেকে পালিয়ে যেতে চাইছেন দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা ব্যাটার! কারণ কী?
T20 World Cup 2024: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিউ ইয়র্কের কঠিন পিচেও ৪৬ রান করে হেনরিখ ক্লাসেন বুঝিয়ে দিলেন কী ভাবে এই পিচে খেলতে হবে
হাইলাইটস:
- চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বার বার প্রশ্নের মুখে পড়ছে নিউ ইয়র্কের পিচ
- এই পিচে বড় রান করা ব্যাটারদের পক্ষে কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়াচ্ছে
- সোমবার হেনরিখ ক্লাসেন বুঝিয়ে দিলেন এমন পিচেও কী ভাবে ব্যাট করতে হবে
T20 World Cup 2024: চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বার বার প্রশ্নের মুখে পড়ছে নিউ ইয়র্কের পিচ। যে পিচে রান করাই কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ভারত-পাক ম্যাচে ভারত ১১৯ রানের বেশি করতে পারেনি। সেই রান তাড়া করতে নেমে আবার ১১৩ রানেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। বাংলাদেশ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচেও মাত্র ১১৩ রানেই আটকে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। আবার বাংলাদেশও সেই রান তাড়া করতে নেমে ১০৯ রানেই আটকে যায়। অর্থাৎ এই পিচে বড় রান করা কার্যত অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে ব্যাটারদের কাছে। আর এই পিচের জন্য এখন আমেরিকা থেকে পালিয়ে যেতে চাইছেন হেনরিখ ক্লাসেন (Heinrich Klaasen)।
We’re now on WhatsApp – Click to join
দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা ব্যাটার মনে করেন নিউ ইয়র্কের পিচ বোলারদের জন্য সহায়ক। ক্লাসেন বলেন, “সব ব্যাটাররাই এখান থেকে পালাতে চাইবে। যদিও বোলাররা থাকতে চাইবেন। তবে আমরা আমাদের কাজ করে দিয়েছি। এই মাঠে তিনটি ম্যাচের মধ্যে তিনটিতেই আমরা জিতেছি। যেটা বেশ কঠিন কাজ ছিল।”
We’re now on Telegram – Click to join
সোমবার ৪৪ বলে ৪৬ রান করে ক্লাসেন বুঝিয়ে দিলেন এমন পিচেও কী ভাবে খেলতে হবে। তাঁর ৪৬ রানের ইনিংসে ভর করেই স্কোরবোর্ডে ১১৩ রান তোলে প্রোটিয়ারা। পাওয়ার প্লে-তে ২৩ রানে ৪ উইকেট চলে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। সেখান থেকে দলকে লড়াই করার মতো স্কোরে পৌঁছে দেন হেনরিখ ক্লাসেনই। দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা উইকেট কিপার-ব্যাটার বলেন, “আমার মনে হয় আগের ম্যাচে ডেভিড মিলার দেখিয়ে দিয়েছে এই পিচে কী ভাবে খেলা উচিত। ওয়ান ডে ক্রিকেটের মতো করে এই পিচে খেলতে হবে। টি-টোয়েন্টি ম্যাচের মতো মানসিকতা নিয়ে এখানে খেললে হবে না। এখানে বল প্রতি রান করার চেষ্টা করতে হবে। এর মাঝে একটা, দুটো বলে বড় শট খেলার সুযোগ পাওয়া যাবেই। তখনই স্ট্রাইক রেট বেড়ে যাবে।”
হেনরিখ ক্লাসেন আরও জানিয়েছেন যে, তিনি ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচটি দেখেছেন। তিনি বলেন, “রবিবার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচটি আমি দেখেছি। দুটো বড় দলও এই পিচে বেশি রান করতে পারেনি। এর থেকেই বোঝা যায় যে আমাদের মানসিকতা বদলাতে হবে। মাঠে নেমেই বড় শট খেলতে গেলে হবে না। আমরা তাই এক দিনের ম্যাচ খেলার মানসিকতা নিয়ে খেলছিলাম। তবে ইনিংসের শেষ তিন ওভারে টি-টোয়েন্টির মানসিকতা নিয়ে খেলেছি।”
টি-২০ বিশ্বকাপ সংক্রান্ত সমস্ত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।