Gudi Padwa 2025: কেন ‘গুড়ি পড়বা’ পালিত হয়, জেনে নিন এর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব
মহারাষ্ট্র সহ আরও অনেক রাজ্যে মহা জাঁকজমকের সাথে পালিত এই উৎসব হিন্দু নববর্ষের প্রথম সকাল নিয়ে আসে। প্রতি বছর চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের প্রতিপদ তিথিতে 'গুড়ি পড়বা' উৎসব মহা জাঁকজমকের সাথে পালিত হয়।
Gudi Padwa 2025: এ বছর ৩০শে মার্চ পালিত হবে ‘গুড়ি পড়বা’ উৎসব
হাইলাইটস:
- আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন যে গুড়ি পড়বা উদযাপনের ঐতিহ্য কীভাবে শুরু হয়েছিল?
- ঘরের বাইরে গুড়ি কেন স্থাপন করা হয়?
- আসুন জেনে নিই এর সাথে সম্পর্কিত বিশেষ ঐতিহ্য সম্পর্কে
Gudi Padwa 2025: যখন সূর্যের প্রথম রশ্মি মাটি স্পর্শ করে এবং প্রতিটি ঘরে রঙ্গোলির সুবাস ছড়িয়ে পড়ে, তখন বুঝুন গুড়ি পড়বা এসে গেছে। এটি কেবল একটি উৎসব নয় বরং নতুন বছরের সূচনা, সুখ, সমৃদ্ধি এবং বিজয়ের প্রতীক।
মহারাষ্ট্র সহ আরও অনেক রাজ্যে মহা জাঁকজমকের সাথে পালিত এই উৎসব হিন্দু নববর্ষের প্রথম সকাল নিয়ে আসে।
প্রতি বছর চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের প্রতিপদ তিথিতে ‘গুড়ি পড়বা’ উৎসব মহা জাঁকজমকের সাথে পালিত হয়।
We’re now on WhatsApp- Click to join
এটি মহারাষ্ট্র এবং গোয়ায় হিন্দু নববর্ষের সূচনা করে। ২০২৫ সালে, গুড়ি পড়বা উৎসব ৩০শে মার্চ পালিত হবে। এই দিনটিকে কেবল উৎসব হিসেবেই নয়, সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক এবং ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। আসুন জেনে নিই এই পবিত্র উৎসবের গুরুত্ব, ইতিহাস এবং ঐতিহ্য সম্পর্কে।
We’re now on Telegram- Click to join
গুড়ি পড়বা’র গুরুত্ব
উৎসবের জাঁকজমকের মধ্যে আমরা প্রায়শই তাদের আসল তাৎপর্য ভুলে যাই। গুড়ি পড়বা কেবল একটি ঐতিহ্য নয় বরং এর পিছনে গভীর সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক বিশ্বাস রয়েছে। আসুন জেনে নিই এই নামের মধ্যে লুকিয়ে থাকা ‘গুড়ি’ এবং ‘পড়বা’ দুটি শব্দের অর্থ।
গুড়ি হল একটি পতাকা বা প্রতীক, যা বিজয় এবং সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি বাড়ির দরজা, জানালা বা বারান্দায় একটি উচ্চতায় স্থাপন করা হয়। এটিকে ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মার প্রতীক হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। যেখানে ‘পড়বা’ অর্থ চান্দ্র মাসের প্রথম দিন, যা হিন্দু ক্যালেন্ডারের নতুন বছরের সূচনা করে।
গুড়ি কিভাবে তৈরি হয়?
গুড়ি তৈরির জন্য প্রথমে একটি তামা বা রূপার পাত্র নেওয়া হয় এবং বাঁশের কাঠির উপর উল্টো করে রাখা হয়।
এটি সোনালী পাড়যুক্ত উজ্জ্বল সবুজ বা হলুদ কাপড় (শাড়ি বা ধুতি) দিয়ে সজ্জিত।
গুড়িটি নিম বা আমের পাতা, ফুল এবং মিষ্টির মালা দিয়ে সাজানো হয়।
এটি বাড়ির বাইরে একটি উচ্চতায় লাগানো হয়, যাতে অশুভ শক্তি দূরে থাকে এবং সমৃদ্ধি বজায় থাকে।
Read More- শারদীয়া নবরাত্রি কখন শুরু হয়? তারিখ, এবং শুভ সময় জেনে নিন এখনই
গুড়ি পড়বা কেবল একটি উৎসব নয়, বরং এটি নতুন সংকল্প, নতুন শক্তি এবং নতুন সূচনার উদযাপন। এটি আমাদের শিক্ষা দেয় যে প্রতিটি অসুবিধার পরে জীবনে আলো আসে, ঠিক যেমন ভালো মন্দের উপর জয়লাভ করে।
এইরকম আরও আধ্যাত্মিক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।