TMC MLAs Oath Dilemma: শপথ গ্রহণ জটিলতা কি আজ মিটবে? আজ ফের ধর্নায় বসেছেন তৃণমূলের দুই বিধায়ক রায়াত এবং সায়ন্তিকা
TMC MLAs Oath Dilemma: আজ দুপুর তিনটের মধ্যে রাজ্যপাল শপথ গ্রহণ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না জানালে, ‘আনটোল্ড স্টোরি’ প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন কুণাল ঘোষ!
হাইলাইটস:
- এই শপথ জটিলতা ঘিরে নজিরবিহীন ঘটনা কার্যত ঘটতে চলেছে
- দুই নব নির্বাচিত বিধায়কের শপথ গ্রহণকে কেন্দ্র করে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত তুঙ্গে
- শাসক দলের অভিযোগ, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ইচ্ছাকৃত ভাবে শপথগ্রহণ ফেলে রাখছেন
TMC MLAs Oath Dilemma: আজ, সোমবার শপথ জটিলতা কি আজ মিটবে? এখন প্রশ্ন সেটাই৷ অপরদিকে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস আজ বিকেল তিনটের মধ্যে শপথ গ্রহণ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না জানালে, ‘আনটোল্ড স্টোরি’ প্রকাশ করা হবে বলে আগেই জানিয়েছেন তৃণমূলের কুণাল ঘোষ৷ ফলে এই শপথ জটিলতা ঘিরে যে নজিরবিহীন ঘটনা কার্যত ঘটতে চলেছে, সে কথা বলাই বাহুল্য৷ দুই নব নির্বাচিত বিধায়কের শপথ গ্রহণকে কেন্দ্র করে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত তুঙ্গে।
We’re now on WhatsApp – Click to join
শাসক দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হচ্ছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ইচ্ছাকৃত ভাবে শপথগ্রহণ ফেলে রাখছেন। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তাই বিধানসভার সিঁড়িতে ধর্নায় বসেছেন উপবির্বাচনে জয়ী তৃণমূলের দুই বিধায়ক রায়াত হোসেন সরকার এবং সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু যখন রাজ্যপালের অপেক্ষায় রায়াত এবং সায়ন্তিকা বিধানসভার সিঁড়িতে বসে রয়েছেন, সেই সময় রাজ্যপাল দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। এরপর রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, অর্থ মন্ত্রী, আইন মন্ত্রী সকলের সাথে দেখা করেছেন তিনি। গত ৪ জুন ভগবানগোলা এবং বরাহনগর উপনির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়, যেখানে রেয়াত এবং সায়ন্তিকা জয়ী হন। কিন্তু তার পর প্রায় একমাস হতে চলল, কিন্তু এখনও বিধায়ক হিসেবে শপথবাক্য পাঠ করতে পারেননি রায়াত এবং সায়ন্তিকা। সেই নিয়ে ইতিমধ্যে বিস্তর চিঠি চালাচালিও হয়ে গিয়েছে।
We’re now on Telegram – Click to join
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস রায়াত হোসেন সরকার এবং সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজভবনে এসে শপথ নিতে বলেছেন। কিন্তু বিধায়কদের বিধানসভাতেই শপথ নেওয়া দস্তুর যেখানে, কেন তাঁরা রাজভবনে শপথ নিতে যাবেন, সেই প্রশ্নই তুলেছে রাজ্যের তৃণমূল সরকার। রাজ্যপাল চাইলে বিধানসভায় এসে রায়াত এবং সায়ন্তিকাকে শপথবাক্য পাঠ করাতে পারেন বলেও জানায় সরকার। রায়াত এবং সায়ন্তিকা জানিয়েছেন, একমাস হতে চলল তাঁরা জয়ী হয়েছেন, কিন্তু এখনও শপথ গ্রহণ করতে পারেননি তাঁরা। জনগণকে তাঁরা যে কথা দিয়েছিলেন, সেগুলি তাঁরা রাখতে পারছেন না, নিজেদের কাজ করতে পারছেন না। তাই রাজ্যপাল যেন তাঁদের উপর দয়া করেন, আর্জি জানিয়েছেন তৃণমূলের দুই বিধায়ক।
Read more:- শুভেন্দুর আর্জিকে মান্যতা দিতেই কী রাজ্যপালের এই সন্দেশখালি সফর? জল্পনা তুঙ্গে
শপথ গ্রহণের ক্ষেত্রে রাজ্যপালের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য করা হয়। যদি তিনি শপথবাক্য পাঠ করাতে না পারেন, তখন তাঁর মনোনীত কোনও ব্যক্তি শপথবাক্য পাঠ করাতে পারেন। এই ধরনের ক্ষেত্রে বিধানসভার অধ্যক্ষের হাতেই মূলত দায়িত্ব তুলে দেন রাজ্যপাল। এর দরুণ ২০২১ সালে রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজভবনেই শপথবাক্য পাঠ করিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের তদানীন্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। ধূপগুড়ির বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়ের শপথ নিয়েও বিস্তর টানাপোড়েন চলে। তিনিও শেষ পর্যন্ত রাজভবনেই শপথবাক্য পাঠ করেছিলেন। যদিও রাজ্যের তরফে দাবি করা হয়েছে, বিধানসভা সাংবিধানিক নিয়ম মেনেই চলছে।
রাজ্য রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।