Rahul Gandhi: ভারতীয় সেনাবাহিনীকে মণিপুর হিংসা দমনে কাজে লাগানো হচ্ছে না বলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সরাসরি নিশানা করলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী
Rahul Gandhi: তাঁর কথায়, ভারতীয় সেনাবাহিনী চাইলে ২ মিনিটে মণিপুরে শান্তি ফিরিয়ে আনতে পারে
হাইলাইটস:
- গতকাল সাংবাদিক সম্মেলন থেকে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী
- ভারতীয় সেনাবাহিনীকে মণিপুর হিংসা দমনে কাজে লাগানো হচ্ছে না বলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিস্ফোরণ অভিযোগ করলেন তিনি
- ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সংসদে দাঁড়িয়ে রসিকতার করা মানায় না বলেন তোপ দাগলেন তিনি
Rahul Gandhi: দুই জনগোষ্ঠীর জাতিগত দ্বন্দ্বে বিগত কয়েকমাস ধরে কার্যত অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্য মণিপুরে। যার ফলে এবারের বাদল অধিবেশনের প্রথম দিন থেকেই মণিপুর ইস্যু নিয়ে সংসদে সরব হয়েছেন বিরোধীরা।
তবে বিরোধীদের দাবি মেনে এবং কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের জবাবি ভাষণে গতকালই সংসদে মণিপুর ইস্যুতে বক্তব্য রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার সাংবাদিক বৈঠক দেখে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী।
গতকাল সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান, ভারতীয় সেনাবাহিনী দু দিনের মধ্যে মণিপুরের হিংসাত্মক পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পারে। তবে কেন্দ্রের তরফে সেনাবাহিনীকে হিংসা দমনে কাজে লাগানো হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি। কারণ তাঁর মতে, প্রধানমন্ত্রী চান মণিপুর এইভাবেই জ্বলুক। মণিপুরে শান্তি ফেরাতে তিনি চান না।
বৃহস্পতিবার লোকসভায় দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী ২ ঘণ্টা ১৩ মিনিট ধরে ভাষণ দিয়েছেন। তবে মণিপুর ইস্যুতে কথা বলার জন্য তিনি মাত্র ২ মিনিট নিয়েছেন। ফলে মণিপুর ইস্যুতে বিরোধীদের তরফে আনা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ হওয়ার পর গতকাল সাংবাদিক সম্মেলন করে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী।
রাহুলের কথায়, উত্তর-পূর্ব ভারতের এই মণিপুর রাজ্য এখন প্রায় দুই রাজ্যে ভাগ হয়ে গেছে। আমি প্রায় ১৯ বছর ধরে রাজনীতির ময়দানে আছি। তবে মণিপুরে যা দেখলাম এমন পরিস্থিতি আগে কোনওদিন দেখিনি। এমনি এমনি আমি সংসদে দাঁড়িয়ে বলিনি মণিপুরে ভারত মাতার হত্যা করা হয়েছে। কেন বলেছি তার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।” তখন তিনি বলেন, তিনি যখন মণিপুরের কুকি গিয়েছিলেন তখন তাঁকে বলা হয়েছিল তাঁদের নিরাপত্তায় যেন কোনও মেইতেই না থাকে। আর মেইতেই এলাকায় গিয়েও তাঁদের একই কথা শুনতে হয়েছিল। তা না হলে তারা একে ওপরকে মেরে দেবে।
তাঁর বক্তব্য, এইরকম ভয়াবহ পরিস্থিতি মণিপুরে তবে প্রধানমন্ত্রী কাছে মণিপুর ইস্যুতে কথা বলার জন্য ছিল মাত্র ২ মিনিট। তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের সময় অন্যান্য বিজেপি সাংসদরা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে স্লোগান দিচ্ছিল। প্রধানমন্ত্রীও মণিপুর নিয়ে রসিকতার সুরেই তাঁর বক্তব্য রাখছিলেন। যা ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে একেবারেই তাঁকে শোভা দেয় না। সংসদে আলোচনার ইস্যু ছিল মণিপুর, কংগ্রেস নয়।”
এইরকম রাজনৈতিক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।